আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০১৫-এর পুল ‘বি’-এর ২৯তম ম্যাচে অকল্যান্ডে মুখোমুখি হচ্ছে দুই সাবেক চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকা। টুর্নামেন্টের শুরুতে কিছুটা দুর্বল পারফরম্যান্সের পর এখন দুই দলই জয়ের ধারায় ফিরেছে। পাকিস্তান তাদের আগের ম্যাচে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে (ইউএই) ১২৯ রানে হারিয়ে আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছে, অন্যদিকে প্রোটিয়ারা পরপর দুই ম্যাচে (ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে) বড় জয়ে টগবগ করছে আত্মবিশ্বাসে।
পাকিস্তানের ওপেনিং ধাঁধা ও বোলিং শক্তি
পাকিস্তান দল পাবে বড় এক স্বস্তি ওপেনার আহমেদ শেহজাদ দুর্দান্ত ৯৩ রানের ইনিংস খেলেছেন ইউএই-এর বিপক্ষে। তবে ওপেনিং জুটিতে এখনও স্থিতি আসেনি। নাসির জামশেদ বারবার বেপরোয়া শট নির্বাচনে দলকে বিপদে ফেলেছেন, ফিল্ডিংয়েও দায়বদ্ধতার অভাব দেখা গেছে। তাঁর পরিবর্তে তরুণ সারফরাজ আহমেদকে এই ম্যাচে দলে দেখা গেলে অবাক হওয়ার কিছু নেই।
বোলিং বিভাগে পাকিস্তান এখন পর্যন্ত বেশ কার্যকর। সোহেল খান, ওয়াহাব রিয়াজ ও রাহাত আলী ধারাবাহিকভাবে ভালো করছেন। তবে টিম ম্যানেজমেন্ট চাইলে লেগ স্পিনার ইয়াসির শাহকে একাদশে নিয়ে নতুন চমক দিতে পারে, যা দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটারদের জন্য বাড়তি পরীক্ষা হয়ে দাঁড়াতে পারে।
দক্ষিণ আফ্রিকারও ওপেনিং ধাঁধা
প্রোটিয়াদের ওপেনার কুইন্টন ডি কক ফর্মে না থাকায় উদ্বোধনী জুটি নিয়ে চিন্তায় দলটি। ফলে ইনিংসের ভার পড়ছে হাশিম আমলা ও ফাফ ডু প্লেসির কাঁধে। আগের ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তাদের ২৪৭ রানের জুটি ছিল দেখার মতো।
দলের মধ্যম সারিতে রয়েছেন এবি ডি ভিলিয়ার্স, রিলি রুশো ও ডেভিড মিলার-যারা বর্তমানে দুর্দান্ত ছন্দে আছেন। আলোচনায় রয়েছে রুশোকে ওপেনিংয়ে পাঠিয়ে ডি ভিলিয়ার্সকে উইকেটকিপিং দায়িত্ব দেওয়ার বিষয়টি। এতে জেপি ডুমিনিকে ফেরানো সম্ভব হবে, যা দলের ব্যাটিং গভীরতা বাড়াবে।
ম্যাচের গুরুত্ব
এই ম্যাচটি দুই দলের জন্যই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দক্ষিণ আফ্রিকা যদি জেতে, তাহলে তারা নিশ্চিত করবে কোয়ার্টার-ফাইনালের টিকিট। অন্যদিকে পাকিস্তান হেরে গেলে তাদের জন্য পরের রাউন্ডে ওঠা অনেক কঠিন হয়ে পড়বে।
পাকিস্তান কোচ ওয়াকার ইউনুস আগের ম্যাচ শেষে বলেছিলেন,
আমাদের আত্মবিশ্বাস ফিরে পেতে এখন একটা বড় দলের বিপক্ষে জয় দরকার।
দক্ষিণ আফ্রিকা হতে পারে সেই দল যাদের হারিয়ে পাকিস্তান আবার বিশ্বকাপে নিজেদের ফিরে পেতে পারে।
আরো পড়ুন : আনচেলত্তির ব্রাজিল দলে নিশ্চিত জায়গা এক মিডফিল্ডারের
সম্ভাব্য একাদশ
দক্ষিণ আফ্রিকা: এবি ডি ভিলিয়ার্স (অধিনায়ক), হাশিম আমলা, কাইল অ্যাবট, ফারহান বেহারডিয়েন, কুইন্টন ডি কক (উইকেটরক্ষক), জেপি ডুমিনি, ফাফ ডু প্লেসি, ইমরান তাহির, ডেভিড মিলার, মর্নে মরকেল, ওয়েইন পারনেল, অ্যারন ফ্যাঙ্গিসো, ভার্নন ফিল্যান্ডার, রিলি রুশো, ডেল স্টেইন।
পাকিস্তান: মিসবাহ-উল-হক (অধিনায়ক), সারফরাজ আহমেদ (উইকেটরক্ষক), শহীদ আফ্রিদি, আহমেদ শেহজাদ, নাসির জামশেদ, ইউনুস খান, হারিস সোহেল, উমর আকমল, মোহাম্মদ ইরফান, রাহাত আলী, এহসান আদিল, সোয়েব মাকসুদ, ইয়াসির শাহ, সোহেল খান, ওয়াহাব রিয়াজ।