৪১ বছরের দীর্ঘ ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এশিয়া কাপ ফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে ভারত ও পাকিস্তান। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ সময় রাত ৮টা ৩০ মিনিটে শুরু হবে এই মহারণ। টুর্নামেন্টের ১৭তম আসরের এই ফাইনালকে ঘিরে ক্রিকেটবিশ্বে এখন উত্তেজনার পারদ তুঙ্গে।
পাকিস্তানের লক্ষ্য ১৩ বছর পর শিরোপা
শেষবার পাকিস্তান এশিয়া কাপ জিতেছিল ২০১২ সালে। এরপর দু’বার ফাইনাল খেলেও শিরোপা হাতছাড়া হয়। এবার তাই ১৩ বছরের শিরোপা খরা কাটানোর স্বপ্ন দেখছে সালমান আঘার দল। পাকিস্তান অধিনায়ক বলেন, “২০১২ সালের পর আর শিরোপা জিততে পারিনি। তবে এবার আমাদের মূল লক্ষ্য ট্রফি নিয়েই দেশে ফেরা।
রেকর্ড নবম শিরোপার পথে ভারত
এশিয়া কাপে সবচেয়ে বেশি শিরোপা জয়ী দল ভারত। ইতিমধ্যে আটবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তারা। এবার নবমবারের মতো শিরোপা জয়ের হাতছানি সূর্যকুমার যাদবের দলের সামনে। টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত অপরাজিত ভারত ফাইনালেও ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। সূর্যকুমার বলেন এবার আমরা ছয়টি ম্যাচ খেলেছি, সবকটিতে জয় পেয়েছি। ফাইনালেও একই ধারায় খেলতে চাই। আমাদের একমাত্র লক্ষ্য শিরোপা।”
গ্রুপ ও সুপার ফোরে আধিপত্য ভারতের
এই আসরে গ্রুপ পর্ব ও সুপার ফোরে দুইবার মুখোমুখি হয়েছে ভারত-পাকিস্তান। দুই ম্যাচেই জয় পেয়েছে ভারত। প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানকে ৭ উইকেটে হারায় তারা। সুপার ফোরে পাকিস্তান ১৭১ রানের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেও অভিষেক শর্মার ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৭ বল হাতে রেখে জয় তুলে নেয় ভারত।
ইতিহাস বলছে, এগিয়ে ভারত
টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে এখন পর্যন্ত ১৫ বার মুখোমুখি হয়েছে দুই দল। এর মধ্যে ১১ বার জয় ভারতের, আর পাকিস্তানের জয় মাত্র ৩ বার। একটি ম্যাচ টাই হয়েছিল, যা বল আউটে জেতে ভারত। এশিয়া কাপে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে ২১ বার লড়াইয়ে ভারত জিতেছে ১২ বার, পাকিস্তান ৬ বার, আর ৩টি ম্যাচ হয়েছিল পরিত্যক্ত।
আরো পড়ুন : ওয়েস্ট হ্যামের ম্যাচে পরাজয়ের পর মাঠ ছাড়ছেন খেলোয়াড়রা।
দুই দলের সম্ভাব্য একাদশ
পাকিস্তান: সালমান আঘা (অধিনায়ক), শাহিন শাহ আফ্রিদি, ফখর জামান, হারিস রউফ, হাসান আলি, সাইম আইয়ুব, খুশদিল শাহ, মোহাম্মদ হারিস (উইকেটরক্ষক), মোহাম্মদ নাওয়াজ, ফাহিম আশরাফ, আবরার আহমেদ।
ভারত: সূর্যকুমার যাদব (অধিনায়ক), শুভমান গিল (সহ-অধিনায়ক), অভিষেক শর্মা, হার্দিক পান্ডিয়া, শিভম দুবে, অক্ষর প্যাটেল, জিতেশ শর্মা (উইকেটরক্ষক), জসপ্রিত বুমরাহ, আর্শদীপ সিং, বরুণ চক্রবর্তী, কুলদ্বীপ যাদব।