মধ্যপ্রাচ্য সফরে গাজা পরিস্থিতি তদারকির পথে বিমানযোগে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, তিনি পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যকার সীমান্তে চলা সংঘর্ষ সম্পর্কে শুনেছেন এবং উত্তেজনা প্রশমনে সাহায্য করতে আগ্রহী। ট্রাম্প বলেন, শান্তি প্রতিষ্ঠায় তার ‘দক্ষতা’ রয়েছে এবং প্রয়োজন হলে তিনি দ্রুত উদ্যোগ নেবেন।
সংঘর্ষ ও প্রাথমিক দাবিসমূহ
পাকিস্তানের সামরিক সূত্র (আইএসপিআর) দাবি করেছে, কাবুলের আগ্রাসনের জবাব দিতে গিয়ে পাকিস্তানের ২৩ জন সেনাসহ বহু জওয়ান নিহত হয়েছেন এবং প্রাথমিক রিপোর্টে তালেবান ও জঙ্গি বিরোধী বাহিনীর শতাধিক সদস্য নিহত বলে জানানো হয়েছে। অন্যদিকে কাবুল অভিযানের প্রসঙ্গে আফগান পক্ষ পাকিস্তানের আরেকটি বড় ক্ষয়ক্ষতির কথা উল্লেখ করে দাবি করেছে, সেই সংঘাতে পাকিস্তানের ৫৮ জন সেনা নিহত হয়েছে—নিযুক্ত সংখ্যায় দুই পক্ষের ব্যবধান রয়ে গেছে।
ট্রাম্পের বক্তব্য ও নীতিগত টোন
ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, তিনি আগেও বহু সংঘাত থামিয়েছেন এবং প্রয়োজন হলে এছারকম পরিস্থিতি দ্রুত সমাধান করতে পারেন। তিনি বলেছেন, গাজা নিয়ে শান্তি আনার প্রয়াসের পাশাপাশি এ ধরনের সীমান্ত ঝামেলা মেটাতে তিনি হস্তক্ষেপ করতে রাজি। একই সঙ্গে ট্রাম্প নোবেল পুরস্কারের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, পুরস্কার নিয়ে বিতর্ক থাকলেও তার কাজ মানুষের জীবন রক্ষা এটাই মূল উদ্দেশ্য।
প্রভাব ও আন্তর্জাতিক উদ্বেগ
ভারত-পাকিস্তানসহ অঞ্চলের দীর্ঘমেয়াদি প্রতিদ্বন্দ্বিতার প্রসঙ্গে ট্রাম্প আবারো মন্তব্য করেছেন তিনি আগেও একদিনের মধ্যে বিরোধ নিরসন দাবি করেছেন এ ধরনের মন্তব্য কূটনৈতিকভাবে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। সীমান্ত সংঘাত যদি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে না আসে, তবে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে শরণার্থী সঙ্কট, সীমান্ত নিরাপত্তা ও স্থানীয় বেসামরিক ক্ষতিসহ উপসর্গ দেখা দিতে পারে বলে বিশ্লেষকরা জানাচ্ছেন।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট ও উদ্বেগ
বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তা প্রভাবিত হতে পারে; সীমান্তবর্তী সংঘাতে অন্তর্ভুক্ত শক্তিগুলোর ওপর বৈরিতার জটিলতা বৃদ্ধি পেলে অঞ্চলীয় নীতি ও বাণিজ্যেও প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কূটনীতি বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্র বা তৃতীয় পক্ষ যদি সুবিধাজনক মধ্যস্থতা করেন, তাহলে উত্তেজনা কমতে পারে তবে জটিল কূটনৈতিক ও নিরাপত্তা বিষয়গুলো সমাধানের জন্য নির্দিষ্ট কৌশল প্রয়োজন।
আরো পড়ুন: এনসিপি একক বা জোটে নির্বাচনে যেতে পারে: সারজিস আলম
সামনের ধাপ
এ মুহূর্তে বিষয়টি অনিশ্চিত: নিহতের সংখ্যা ও দায়ারের বিবৃতিতে পার্থক্য রয়ে গেছে। শান্তি প্রক্রিয়া শুরু করতে হলে দুই দেশের সরকার এবং আঞ্চলিক অংশীদারদের মধ্যে প্রথম ধাপে নিশ্চিত যোগাযোগ ও তাত্ক্ষণিক যুদ্ধবিরতি দরকার হবে এমনটা না হলে পরিস্থিতি ঝুঁকিপূর্ণ রেখে দেবে।