ঢাকায় বাংলাদেশ ও পাকিস্তান পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শুরু হয়েছে। আজ রোববার হোটেল সোনারগাঁওয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এবং পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার অংশ নেন। বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক ও সহযোগিতার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে এবং ছয়টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের সম্ভাবনা রয়েছে। ইসহাক দার সফরের প্রথম দিনে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে দুই দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদারের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
হোটেল সোনারগাঁওয়ে বৈঠক
আজ বেলা পৌনে ১১টার দিকে হোটেল সোনারগাঁওয়ে বৈঠক শুরু হয়। দুই দেশের কূটনীতিক ও পররাষ্ট্র কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকের মূল এজেন্ডা সম্পর্ক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা প্রসার করা।
ছয়টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক
দুই দেশের মধ্যে ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এগুলোতে বাণিজ্য, শিক্ষা, প্রযুক্তি, নিরাপত্তা ও সাংস্কৃতিক সহযোগিতা অন্তর্ভুক্ত হতে পারে।
প্রাতরাশ বৈঠক ও প্রথম দিনের কার্যক্রম
সকাল সোয়া ১০টার দিকে ইসহাক দার হোটেল সোনারগাঁওয়ে বাংলাদেশের বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের সঙ্গে প্রাতরাশ বৈঠক করেন। এরপর পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন।
আরো পড়ুন: বাগেরহাটে চারটি আসন বহালের দাবিতে জেলাজুড়ে অবরোধ ও হরতাল
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক
ঢাকায় পৌঁছানোর পরই ইসহাক দার বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এসব বৈঠকে দুই দেশের রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করা এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধার ভিত্তিতে সহযোগিতা বৃদ্ধি বিষয়ে আলোচনা হয়।
সৌজন্য সাক্ষাৎ ও গুরুত্বপূর্ণ সফর
আজ বিকেলে ইসহাক দার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। সন্ধ্যায় তিনি গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে দেখতে যাবেন।
ঢাকায় আগমণ ও স্বাগত অনুষ্ঠান
আরো পড়ুন: মারা গেছেন আওয়ামী লীগের যুক্তরাজ্য শাখার সভাপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সুলতান মাহমুদ শরীফের
ইসহাক দার দুই দিনের সফরের জন্য শনিবার ঢাকা পৌঁছান। বেলা দুইটার দিকে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তিনি অবতরণ করেন এবং পররাষ্ট্র সচিব আসাদ আলম তাঁকে স্বাগত জানান।
ডিসক্লেমার:
এই সংবাদটি বিভিন্ন সরকারি সূত্র, কূটনৈতিক সূত্র এবং সম্প্রতি অনুষ্ঠিত বৈঠকের তথ্যের ওপর ভিত্তি করে প্রস্তুত করা হয়েছে। এখানে প্রকাশিত তথ্য সময়োপযোগী হলেও, চূড়ান্ত চুক্তি ও সিদ্ধান্তগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষিত হওয়ার আগে পরিবর্তিত হতে পারে।