ইতিহাস প্রায়ই বলে যে, ক্ষমতা ও নিরাপত্তার সমন্বয় এমন একটি ক্ষেত্র যেখানে সহজ সমাধান খুঁজে পাওয়া যায় না। সম্প্রতি, ইসরাইলের রাজনৈতিক ও সামরিক পরিবেশ আবারও এক জটিল মোড়ে দাঁড়িয়েছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু তাঁর জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা তজাচি হানেগবিকে বরখাস্ত করেছেন, যা ইসরাইলি সংবাদমাধ্যমে খবরের শিরোনাম হয়েছে।
বরখাস্তের পেছনের কারণ
জেরুজালেম পোস্ট-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নেতানিয়াহু হানেগবিকে জানান যে নতুন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের প্রধান নিযুক্ত করা হবে। এই পদক্ষেপে হানেগবির দায়িত্বকাল সমাপ্ত হলো। হানেগবি নিজেও এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন এবং বলেছেন, ইসরাইলের সাম্প্রতিক ব্যর্থতাগুলো নিয়ে “বিস্তারিত তদন্ত” করা উচিত।
তিনি নিজের ওপরও কিছুটা দায় স্বীকার করেছেন। বিশেষ করে ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর ইসরাইল যে নিরাপত্তা ব্যর্থতা দেখেছে, তাতে হানেগবির মতে, গভীর তদন্ত জরুরি।
গাজা অভিযান ও কাতারের হামলার মতবিরোধ
গত মাসে কাতারের রাজধানী দোহায় হামাস নেতাদের ওপর ইসরাইলি বিমান হামলা চালানো হয়। পাশাপাশি গাজা সিটি দখলের সামরিক অভিযানের বিষয়টিও ছিল বিতর্কিত। এই দুটি ইস্যুতে হানেগবি এবং নেতানিয়াহুর মধ্যে তীব্র মতবিরোধ দেখা দেয়।
হানেগবি মন্ত্রিসভায় প্রকাশ্যে নেতানিয়াহুর গাজা দখলের প্রস্তাবের বিরোধিতা করেন। তিনি সতর্ক করে বলেন, গাজা সিটি দখল করলে ইসরাইলি বন্দিদের জীবনের ঝুঁকি বাড়বে। আমি সেনাপ্রধান ইয়াল জামিরের সঙ্গে সম্পূর্ণ একমত।
আরো পড়ুন : আফগানিস্তানে পাকিস্তানের বিমান হামলায় নিহত ৪০, আহত অন্তত ১৭০
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া
উল্লেখযোগ্য, ৯ সেপ্টেম্বর দোহায় ইসরাইলি বিমান হামলায় পাঁচ হামাস সদস্য এবং এক কাতারি নিরাপত্তা কর্মকর্তা নিহত হন। এই হামলার নিন্দা করেছে বিশ্বজুড়ে বহু দেশ। বিষয়টি আন্তর্জাতিক মনোযোগ আকর্ষণ করেছে এবং ইসরাইলের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নীতিতে নতুন বিতর্ক উত্থাপন করেছে।