ক্লাউড সাইবার সিকিউরিটি প্ল্যাটফর্ম নেটস্কোপ আগামী সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হতে যাচ্ছে। ১৩ বছর আগে যাত্রা শুরু করা এ প্রতিষ্ঠানটির সবচেয়ে বড় প্রাথমিক বিনিয়োগকারী হলো লাইটস্পিড ভেঞ্চার পার্টনার্স, যারা রুব্রিকেও সমর্থন করেছিলো—রুব্রিক গত বছর শেয়ারবাজারে আত্মপ্রকাশ করে।
লাইটস্পিডের বড় অঙ্কের বিনিয়োগ
২০২১ সালে সেনটিনেলওয়ান এবং গত বছর রুব্রিকের পর এবার নেটস্কোপ সাইবার সিকিউরিটি খাতে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ আইপিও হিসেবে যুক্ত হচ্ছে। নেটস্কোপে লাইটস্পিডের মালিকানা ১৯.৩ শতাংশ। প্রতিষ্ঠানটি আইপিওর মূল্য নির্ধারণ করেছে প্রতিটি শেয়ার ১৫ থেকে ১৭ ডলারের মধ্যে। শেয়ারের সর্বোচ্চ মূল্যে হিসাব করলে লাইটস্পিডের প্রায় ১.১ বিলিয়ন ডলারের অংশীদারিত্ব হবে।
বিনিয়োগকারী ও প্রতিযোগীরা
নেটস্কোপের আরেক বড় বিনিয়োগকারী হলো আইকনিক গ্রোথ, যাদের অংশীদারিত্ব ১৯.২ শতাংশ। এছাড়া অ্যাকসেল রয়েছে প্রায় ৯ শতাংশ শেয়ারের মালিকানায়। প্রতিষ্ঠানটি মূলত Secure Access Service Edge (SASE) প্রযুক্তি সরবরাহ করে। এর সেবার মধ্যে রয়েছে সিকিউর ওয়েব গেটওয়ে ও ফায়ারওয়াল অ্যাজ আ সার্ভিস। বাজারে এর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হলো জিস্কেলার এবং পালো অল্টো নেটওয়ার্কস।
আরো পড়ুন: গঙ্গার পানি চুক্তি নবায়নে দিল্লিতে ঢাকা-দিল্লি বৈঠক আজ
২০২১ সালে আইকনিক গ্রোথের নেতৃত্বে নেটস্কোপ ৩০০ মিলিয়ন ডলার সংগ্রহ করেছিলো, তখন এর মূল্যায়ন ছিল ৭.৫ বিলিয়ন ডলার। ২০২৩ সালে প্রতিষ্ঠানটি আরও ৪০১ মিলিয়ন ডলারের কনভার্টেবল নোট নেয়। তবে এখনো লাভজনক হতে পারেনি। চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে এর আয় দাঁড়ায় ৩২৮.৫ মিলিয়ন ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ২৫১.৩ মিলিয়ন ডলার। একই সময়ে নেট ক্ষতি কমে দাঁড়ায় ১৬৯.৫ মিলিয়ন ডলার, যা আগের বছর ছিল ২০৬.৭ মিলিয়ন।
যদি নেটস্কোপ ৬.৫ বিলিয়ন ডলারের মূল্যায়নে বাজারে প্রবেশ করে, তবে এটি হবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এমন একাধিক কোম্পানির মধ্যে আরেকটি, যাদের শেয়ারবাজারে অভিষেক হয়েছে বেসরকারি মূল্যায়নের চেয়ে কম দামে। এর আগে চাইম এবং হিঞ্জ হেলথ একইভাবে তালিকাভুক্ত হয়েছিল। তবে সাম্প্রতিক সময়ে ফিগমা এবং সার্কেল-এর মতো কিছু নতুন আইপিও শেয়ারবাজারে প্রবল সাড়া ফেলেছে।