আমরা সবাই জীবনের কোনো না কোনো সময়ে শুনেছি—“মনের কথা শুনো” বা “গাট ফিলিং ফলো করো।” কিন্তু বাস্তবে অন্তর্দৃষ্টি বা intuition কাকে বলে? আর কীভাবে আমরা বুঝব, এটি সত্যিই আমাদের ভেতরের জ্ঞানের কথা বলছে, নাকি কেবল উদ্বেগের বহিঃপ্রকাশ? আজ আমরা জানব কীভাবে নিজের অন্তর্দৃষ্টি বিশ্বাস করতে শেখা যায়, সহজ কিছু ধাপের মাধ্যমে।
অন্তর্দৃষ্টি কী?
অন্তর্দৃষ্টি মানে হলো ভেতরের জ্ঞান বা এমন এক অনুভূতি, যা অনেক সময় যুক্তি দিয়ে ব্যাখ্যা করা যায় না, তবুও সত্য হয়ে ওঠে। বিজ্ঞানী আইনস্টাইন থেকে শুরু করে নিকোলা টেসলা—অনেকে তাঁদের বড় আবিষ্কার বা সিদ্ধান্তে অন্তর্দৃষ্টির ওপর ভরসা করেছেন।
কেন অন্তর্দৃষ্টি গুরুত্বপূর্ণ?
আমাদের চারপাশের পরিবেশ, সম্পর্ক কিংবা জীবন নিয়ে বড় কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় অন্তর্দৃষ্টি অনেক সময় সঠিক পথ দেখায়। নিরাপত্তা থেকে শুরু করে সম্পর্কের সঠিকতা যাচাই—সব ক্ষেত্রেই নিজের ভেতরের এই কণ্ঠস্বর আমাদের গাইড করতে পারে।
কীভাবে অন্তর্দৃষ্টি বিশ্বাস করা শুরু করবেন
১. শরীরের সাড়া শুনুন – অনেক সময় অন্তর্দৃষ্টি শরীরের ভেতর অস্বস্তি, অজানা টান কিংবা হালকা ইঙ্গিতে প্রকাশ পায়।
২. ধ্যান করুন – প্রতিদিন কয়েক মিনিট মন শান্ত করে শ্বাসের ওপর মনোযোগ দিন। ধ্যান আপনার ভেতরের কণ্ঠস্বর স্পষ্টভাবে শুনতে সাহায্য করবে।
৩. স্বপ্ন বা জার্নাল লিখুন – প্রতিদিনের অনুভূতি, স্বপ্ন বা অভিজ্ঞতা লিখে রাখলে আপনার অবচেতন মন কী বলতে চাইছে তা বোঝা সহজ হবে।
৪. ইগো উপেক্ষা করুন – নিজের অহংকার অনেক সময় সত্যকে ঢেকে ফেলে। নতুন চিন্তা ও সম্ভাবনার জন্য মন খোলা রাখুন।
৫. ছোট সিদ্ধান্তে চর্চা করুন – বড় সিদ্ধান্তের আগে ছোট ছোট বিষয়ে অন্তর্দৃষ্টি ব্যবহার করুন। যেমন—কোথায় খাবেন, কোন বই পড়বেন।
অন্তর্দৃষ্টি বনাম উদ্বেগ
উদ্বেগ সাধারণত দ্রুত, অস্থির ও অগোছালো চিন্তার জন্ম দেয়। আর অন্তর্দৃষ্টি আসে শান্ত, ধীর ও গভীর অনুভূতি থেকে। যদি মন খুব অশান্ত থাকে, একটু সময় নিয়ে নিজেকে শান্ত করে আবার অনুভূতিকে বিচার করুন।
আরো পড়ুন: আবারও পিছোল টিকটক বিক্রির নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা, অনিশ্চয়তায় অ্যাপের ভবিষ্যৎ
নিজের অন্তর্দৃষ্টি বিশ্বাস করা মানে হলো নিজের ভেতরের জ্ঞানকে সম্মান দেওয়া। ধীরে ধীরে এটি চর্চা করলে সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ হবে, আর জীবনও হবে আরও পরিপূর্ণ।