ইলন মাস্কের প্রতিষ্ঠিত নিউরালিঙ্ক আগামী অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রে শুরু করছে মস্তিষ্কের ইমপ্ল্যান্ট প্রযুক্তির নতুন ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল। এই ডিভাইস সরাসরি মস্তিষ্ক থেকে মানুষের চিন্তাভাবনাকে টেক্সটে রূপান্তর করতে সক্ষম, যা কথা বলতে অক্ষম রোগীদের জন্য হতে পারে বিপ্লবী সমাধান।
নিউরালিঙ্ক ট্রায়াল: চিন্তা থেকে টেক্সট
নিউরালিঙ্ক করপোরেশনের প্রেসিডেন্ট ডি. জে. সিও সিউলে এক উপস্থাপনায় জানান, প্রতিষ্ঠানটি আগামী অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রে নতুন ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু করছে। এর লক্ষ্য হলো মস্তিষ্কে ইমপ্ল্যান্ট বসিয়ে মানুষের চিন্তাকে সরাসরি লেখা বা কথায় রূপান্তর করা। তিনি বলেন, “আপনি যদি মনের মধ্যে কিছু বলার কথা ভাবেন, সেটি আমরা ডিভাইসের মাধ্যমে শনাক্ত করতে পারব।”
আরো পড়ুন: খরচ কমাতে গুগলের নতুন পদক্ষেপ: বন্ধ হচ্ছে FT সাবস্ক্রিপশন
এফডিএ অনুমোদন ও গবেষণার অগ্রগতি
মার্কিন খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন (FDA) ইতিমধ্যে নিউরালিঙ্ককে ‘ইনভেস্টিগেশনাল ডিভাইস এক্সেম্পশন’ দিয়েছে, ফলে অনুমোদনহীন হলেও এই প্রযুক্তির ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা চালানো সম্ভব হবে। বর্তমানে কোম্পানিটি পাঁচটি পৃথক ট্রায়াল পরিচালনা করছে, যেখানে পক্ষাঘাতগ্রস্ত রোগীরা মস্তিষ্কের ইমপ্ল্যান্ট ব্যবহার করে কম্পিউটার বা রোবোটিক ডিভাইস নিয়ন্ত্রণ করছেন।

স্বল্পমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য
নিউরালিঙ্কের তাৎক্ষণিক লক্ষ্য হলো স্ট্রোক বা এএলএস-এর মতো স্নায়বিক রোগে আক্রান্ত রোগীদের সাহায্য করা। তবে দীর্ঘমেয়াদে তারা সুস্থ মানুষদের জন্যও প্রযুক্তি উন্মুক্ত করার পরিকল্পনা করছে। কোম্পানির লক্ষ্য ২০৩০ সালের মধ্যে প্রথমবারের মতো সুস্থ ব্যক্তির শরীরে এই ডিভাইস প্রতিস্থাপন এবং ২০৩১ সালের মধ্যে বছরে ২০ হাজার মানুষের মধ্যে ইমপ্ল্যান্ট বসানো।
আরো পড়ুন: DJI Osmo Nano: উন্মোচনের আগেই ফাঁস হলো স্পেসিফিকেশন
এআই সংযুক্তির সম্ভাবনা
সিও জানান, ভবিষ্যতে এই প্রযুক্তি সরাসরি এআই মডেল বা চ্যাটবটকে মস্তিষ্কের চিন্তার মাধ্যমে প্রশ্ন করতে সক্ষম হবে। তিনি বলেন, “চিন্তার গতিতে এআই-এর সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হবে এবং ব্যবহারকারীরা ইয়ারপডের মতো ডিভাইসের মাধ্যমে তার উত্তরও শুনতে পারবেন।”