
আজকের নামাজের সময়সূচী – ২৮ জুন ২০২৫
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ একজন মুসলমানের জন্য শুধু একটি দায়িত্ব নয়, এটি তার জীবনের মূল ভিত্তি। সময়মতো নামাজ আদায় করলে জীবনে বরকত আসে, পাপ কমে, হৃদয় হয় আল্লাহমুখী। কোরআন ও হাদিসে নামাজের গুরুত্ব বারবার উল্লেখ করা হয়েছে। তাই আমাদের উচিত নিয়মিত, খুশু-খুজু সহকারে নামাজ পড়া এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য সর্বদা সচেষ্ট থাকা।
নামাজের সময়সূচি – ২৮ জুন, ২০২৫ | |
---|---|
ফজর | ৩:৪৪ মিনিট |
জোহর | ১২:০৪ মিনিট |
আসর | ৪:৪০ মিনিট |
মাগরিব | ৬:৫২ মিনিট |
ইশা | ০৮:১৯ মিনিট |
বিয়োগ করতে হবে-
চট্টগ্রাম : ০৫ মিনিট।
সিলেট : ০৬ মিনিট।
যোগ করতে হবে-
খুলনা : ০৩ মিনিট।
রাজশাহী : ০৭ মিনিট।
রংপুর : ০৮ মিনিট।
বরিশাল : ০১ মিনিট।
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ: গুরুত্ব, সময়ানুবর্তিতা ও ইসলামের নির্দেশনা
নামাজ ইসলাম ধর্মের পাঁচটি মূল স্তম্ভের মধ্যে দ্বিতীয়। এটি একজন মুসলমানের দৈনন্দিন জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা শুধুমাত্র আল্লাহর ইবাদত নয়, বরং এটি আত্মশুদ্ধি, সময়জ্ঞান ও শৃঙ্খলার প্রতীক। নিচে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:
নামাজ পড়া কেন জরুরি?
নামাজ হচ্ছে আল্লাহ ও বান্দার মধ্যে সরাসরি সংযোগের মাধ্যম। এটি আত্মা ও চরিত্রের পরিশুদ্ধি আনে। ইসলাম অনুযায়ী, নামাজ না পড়া একটি মারাত্মক গুনাহ। নামাজ মানুষকে পাপ থেকে বিরত রাখে এবং আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণের প্রতীক। আল্লাহ তাআলা বলেন:
“নিশ্চয়ই নামাজ অশ্লীলতা ও মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখে।”
— (সূরা আনকাবুত, আয়াত ৪৫)
কেন সময়মতো নামাজ পড়া জরুরি?
নামাজের প্রতিটি সময় নির্ধারিত, এবং সেই সময় অনুযায়ী নামাজ পড়া ফরজ। সময়মতো নামাজ পড়া আল্লাহর নির্দেশ মানার প্রকাশ। যেমন সকাল, দুপুর, বিকেল, সন্ধ্যা ও রাতে নামাজ আদায়ের মাধ্যমে একজন মুমিন সারাদিন আল্লাহর স্মরণে থাকে।
“নিশ্চয়ই নামাজ মুমিনদের উপর নির্দিষ্ট সময়ে ফরজ করা হয়েছে।”
— (সূরা নিসা, আয়াত ১০৩)
সময়মতো নামাজ পড়লে অন্তরে শৃঙ্খলা আসে, কাজকর্মে গতি বাড়ে এবং জীবন হয় সুশৃঙ্খল।
নামাজের গুরুত্ব কী?
নামাজ হলো জান্নাতের চাবিকাঠি। প্রিয় নবী (সা.) বলেছেন:
“নামাজ ইসলাম ধর্মের মূল স্তম্ভ। যে একে প্রতিষ্ঠিত করল, সে ধর্ম প্রতিষ্ঠা করল; আর যে তা পরিত্যাগ করল, সে ধর্ম ধ্বংস করল।”
— (তাবরানি)
নামাজ মানুষকে অহংকার, হিংসা, লোভ থেকে রক্ষা করে। এটি একটি ব্যক্তির আত্মিক প্রশান্তি ও মানসিক শক্তির উৎস।
সময়মতো নামাজ পড়লে কী হয়?
- আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জিত হয়।
- গুনাহ মাফ হয়।
- জীবনে শান্তি ও সাফল্য আসে।
- সময় ব্যবস্থাপনায় উন্নতি ঘটে।
- অন্তরে আল্লাহভীতি তৈরি হয়।
কোরআনে নামাজ সম্পর্কে কী বলা হয়েছে?
পবিত্র কোরআনে বহুবার নামাজের কথা বলা হয়েছে। যেমন:
“তোমরা নামাজ কায়েম করো এবং যাকাত দাও এবং রুকু করো রুকুকারীদের সাথে।”
— (সূরা বাকারা, আয়াত ৪৩)
এছাড়া, নামাজ না পড়া বা অবহেলা করার জন্য কঠোর শাস্তির কথা উল্লেখ আছে:
“সুতরাং দুর্ভোগ সেসব নামাজিদের জন্য, যারা তাদের নামাজে অমনোযোগী।”
— (সূরা মাউন, আয়াত ৪-৫)
হাদিসে নামাজের গুরুত্ব
রাসূল (সা.) বলেন:
“কিয়ামতের দিন প্রথম প্রশ্ন করা হবে নামাজ নিয়ে। যদি নামাজ ঠিক থাকে, তবে সবকিছু ঠিক থাকবে। আর যদি নামাজ নষ্ট হয়, সবকিছুই নষ্ট হবে।”
— (তিরমিজি)
এছাড়া, রাসূল (সা.) প্রতিদিন পাঁচবার নামাজকে “পবিত্র জলে পাঁচবার গোসল” এর সাথে তুলনা করেছেন, যাতে কোন ময়লা অবশিষ্ট থাকে না।
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ একজন মুসলমানের জন্য শুধু একটি দায়িত্ব নয়, এটি তার জীবনের মূল ভিত্তি। সময়মতো নামাজ আদায় করলে জীবনে বরকত আসে, পাপ কমে, হৃদয় হয় আল্লাহমুখী। কোরআন ও হাদিসে নামাজের গুরুত্ব বারবার উল্লেখ করা হয়েছে। তাই আমাদের উচিত নিয়মিত, খুশু-খুজু সহকারে নামাজ পড়া এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য সর্বদা সচেষ্ট থাকা।