নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে স্থলমাইন বিস্ফোরণে বিজিবির নায়েক আক্তার হোসেন গুরুতর আহত হয়েছেন। আজ রোববার সকাল পৌনে ১১টার দিকে বান্দরবানের ঘুমধুম ইউনিয়নের রেজু আমতলী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণের পর তাঁকে দ্রুত উদ্ধার করে রামু সেনানিবাসের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নেওয়া হয়। পুলিশ ধারণা করছে, মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির পুঁতে রাখা মাইনেই এই বিস্ফোরণ ঘটে।
নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে বিস্ফোরণে আহত বিজিবি সদস্য
বান্দরবানের ঘুমধুম সীমান্তে আজ সকালে ভয়াবহ মাইন বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে দায়িত্ব পালনরত বিজিবির নায়েক আক্তার হোসেন গুরুতর আহত হন। ঘটনাটি ঘটে কক্সবাজার বিজিবির ৩৪ ব্যাটালিয়নের অধীনে বাইশফাঁড়ি এলাকার রেজু আমতলী সীমান্ত চৌকির কাছে, ৪০ নম্বর পিলারের আনুমানিক ৫০০ গজ দূরে।
বিজিবির একটি টহলদল ওই এলাকায় পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকা মাইন, তিনটি হাতবোমা ও একটি মর্টারশেল পাহারা দিতে গেলে হঠাৎ বিস্ফোরণ ঘটে। এতে আক্তার হোসেনের দুই পায়ে গুরুতর আঘাত লাগে। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁকে উদ্ধার করে রামু সেনানিবাসের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ঘুমধুম ইউনিয়নের রেজু আমতলী এলাকা প্রশাসনিকভাবে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার অন্তর্ভুক্ত হলেও তা কক্সবাজার ৩৪ বিজিবির আওতায়। নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ওসি মাসরুরুল হক বলেন, মাইন বিস্ফোরণের ঘটনাস্থল বাংলাদেশের ভেতরেই। ধারণা করা হচ্ছে, মিয়ানমারের আরাকান আর্মির সদস্যরা পূর্বে পুঁতে রাখা মাইন থেকেই বিস্ফোরণটি ঘটেছে।
আরো পড়ুন:রোনালদো-তোরেসের পেনাল্টি মিসেও পর্তুগাল-স্পেন জিতল, গ্রুপ শীর্ষে টানা জয়
এর আগে সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে সাধারণ মানুষ আহত হলেও এই প্রথম কোনো বিজিবি সদস্য এতে আক্রান্ত হলেন। চলতি বছর জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ১৫ জনের বেশি সাধারণ মানুষ মাইন বিস্ফোরণে আহত হয়েছেন, যাদের অনেকেই পা হারিয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাতের কারণে সীমান্তবর্তী এই অঞ্চলে নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়ছে প্রতিনিয়ত। তারা দ্রুত ওই এলাকায় মাইন শনাক্ত ও অপসারণের দাবি জানিয়েছেন।