বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত সম্পূর্ণভাবে পৃথক করা হয়েছে। আইন মন্ত্রণালয়ের আজকের প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে আশা করা হচ্ছে, মামলার নিষ্পত্তি দ্রুততর হবে এবং দীর্ঘদিনের মামলাজট উল্লেখযোগ্যভাবে কমবে।
আগে জেলা আদালতগুলোতে যুগ্ম জেলা জজ, অতিরিক্ত জেলা জজ ও জেলা জজ—তিন পর্যায়ের বিচারকেরা একই সঙ্গে দেওয়ানি ও ফৌজদারি (দায়রা) মামলা পরিচালনা করতেন। এই দ্বৈত দায়িত্বই মামলা নিষ্পত্তিতে বিলম্বের প্রধান কারণ ছিল। আইন মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী, দেশের অধস্তন আদালতগুলোতে বর্তমানে বিচারাধীন দেওয়ানি মামলা প্রায় ১৬ লাখ এবং ফৌজদারি মামলা প্রায় ২৩ লাখ।
আরো পড়ুন:পদ্মা সেতুতে ইলেকট্রনিক টোল কালেকশন শুরু, রেজিস্ট্রেশন ও রিচার্জ যেভাবে করবেন
মামলাজট কমানোর উদ্দেশ্যে পৃথক ২০৩টি অতিরিক্ত দায়রা আদালত এবং ৩৬৭টি যুগ্ম দায়রা আদালত স্থাপন করা হয়েছে। এই আদালতগুলো শুধুমাত্র ফৌজদারি মামলার বিচার করবে। এর ফলে বিচারকের দ্বৈত দায়িত্ব শেষ হবে এবং প্রতিটি মামলার নিষ্পত্তিতে দ্রুততা আসবে।
আইন মন্ত্রণালয় আশা করছে, নতুন ব্যবস্থার ফলে শুধু মামলা নিষ্পত্তির গতি বৃদ্ধি পাবেই না, বরং আদালতের কার্যক্রম আরও কার্যকর ও নিরপেক্ষ হবে।
নতুন প্রজ্ঞাপনের ফলে বিচারিক প্রক্রিয়ায় দীর্ঘসূত্রতা কমবে এবং সাধারণ নাগরিকদের জন্য আদালতের অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থাও সহজ হবে। মামলার চাপ হ্রাস পেলে বিচারকদের ফোকাস শুধু মামলার বিচারকাজে কেন্দ্রীভূত হবে, যা দেশের আইনি ব্যবস্থার উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।