চলতি বছরের ২৪ জুলাই অভ্যুত্থানের আগে এবং পরে দেশের বিভিন্ন থানা ও পুলিশ ফাঁড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারু লুট হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পুলিশের হিসেব অনুযায়ী, দেশের ৬৬৪ থানার মধ্যে ৪০৭ থানাসহ ১৪১টি ফাঁড়ি থেকে অস্ত্র ও গোলাবারু লুট করা হয়। এছাড়া বিশেষ সিকিউরিটি ফোর্সের কিছু অস্ত্রও দুর্বৃত্তদের হাতে চলে গেছে।
পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিভিন্ন সময় অভিযানের মাধ্যমে লুট হওয়া অস্ত্রের একটি বড় অংশ উদ্ধার করতে সক্ষম হলেও এখনও প্রায় ৩০০টির বেশি অস্ত্র এবং ২.৫ লাখের বেশি গোলাবারু হদিস মেলেনি।
আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি চলার পরিপ্রেক্ষিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী উদ্বেগ প্রকাশ করছে, এসব অস্ত্র ব্যবহার করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে।

সোমবার সচিবালয়ে আয়োজিত আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কমিটির বৈঠকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি জানান, লুট হওয়া অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে:
- পিস্তল – ৫০,০০০টি
- শটগান – ৫০,০০০টি
- চাইনিজ লাইফ – ১০০,০০০টি
- এসএমজি – ১৫০,০০০টি
- এলেম – ৫০০,০০০টি
- অন্যান্য গোলাবারু
তিনি আরও বলেন, এই তথ্যগুলো গোপন রাখা হবে এবং অবৈধ অস্ত্রের পাশাপাশি সময়োপযোগী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সব ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
আরো পড়ুন:
এখন দেশ নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত: প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস
উপদেষ্টা সতর্ক করে বলেন, “যদি আমাদের আত্মীয়, স্বজন বা বন্ধু বান্ধব কোন অবৈধ কর্মকাণ্ডে জড়িত হন, জনগণ যেন তা আমাদের জানান।” গাজীপুরের পুলিশ কমিশনারকে তিনি নির্দেশ দেন, যারা সড়কে যানবাহন বন্ধ করে চলাচলকে বাধাগ্রস্ত করছে তাদের শিগগিরই শোকাজ করা হবে।