মাত্র ১৩ মিনিটেই গোল পায় ব্রাজিল। ব্রুনো গিমারেশের নিখুঁত পাস ধরে বাম দিক থেকে ডান দিকে কেটে ভেতরে ঢুকে দারুণ ফিনিশে জালে বল পাঠান মেসিনিও। খেলার ধরন, গতি আর বাম পায়ের নিখুঁত নিয়ন্ত্রণে সত্যিই তিনি ছোট মেসির মতোই মনে করিয়ে দেন আর্জেন্টাইন মহাতারকাকে।
মেসিনিওর এটি টানা দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক ম্যাচে গোল। গেল মাসে চিলির বিপক্ষে জয়ী ম্যাচেও তিনিই প্রথম গোল করেছিলেন। ধারাবাহিক এই পারফরম্যান্সে ব্রাজিলের কোচ ও সমর্থকদের মধ্যে বাড়ছে আস্থা—এই তরুণই হয়তো আগামী দিনের ‘নতুন নেইমার’ বা ব্রাজিলের পরবর্তী সুপারস্টার।
বিরতির আগে রদ্রিগোর গোল
প্রথম গোলের পরও থেমে থাকেনি ব্রাজিল। কাসেমিরোর বাড়ানো দারুণ থ্রু পাস ধরে গোল করেন রদ্রিগো গোয়েজ। সেই সঙ্গে ২-০ ব্যবধানেই প্রথমার্ধ শেষ করে সেলেসাওরা। ম্যাচজুড়ে বল দখল, আক্রমণ গতি সব দিক দিয়েই এগিয়ে ছিল ব্রাজিল।
দক্ষিণ কোরিয়ার ডিফেন্স মাঝে মাঝে প্রতিরোধ গড়লেও মেসিনিও–রদ্রিগো–গিমারেশ ত্রয়ীর দ্রুত পাস এক্সচেঞ্জে তারা প্রায়ই হিমশিম খেয়েছে।
ছোট মেসি’ নামে পরিচিত মেসিনিও কে?
মাত্র ১৭ বছর বয়সী এস্তেভাও উইলিয়ানকে ব্রাজিলে সবাই চেনে মেসিনিও নামে। অর্থাৎ ছোট মেসি। বাম পায়ে খেলা, ডান দিক থেকে কাট ইন করে ভেতরে ঢুকে শট নেওয়া এই স্টাইলেই তিনি এখন ব্রাজিলের ভক্তদের মনে জায়গা করে নিয়েছেন।
আরো পড়ুন : রোহিত শর্মা নেতৃত্ব হারানোর কারণ জানালেন সৌরভ গাঙ্গুলী
চেলসি ইতোমধ্যে এই তরুণকে দলে ভেড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে, যা আগামী মৌসুমে আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর হবে। ফুটবল বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই পারফরম্যান্স যদি অব্যাহত থাকে, তাহলে মেসিনিও হতে পারেন ব্রাজিলের ভবিষ্যৎ পোস্টার বয়।