বাংলাদেশ ফুটবল এখন তীব্র সমালোচনার মুখে, আর সেই তীরের কেন্দ্রে আছেন কোচ কাবরেরা। হংকংয়ের বিপক্ষে শেষ মুহূর্তে ৪-৩ গোলে হার দলের মনোবল যেন ভেঙে দিয়েছে। সমর্থকদের ক্ষোভের আগুন জ্বলে উঠেছে জাতীয় স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে। তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে দায়িত্বে থাকা এই স্প্যানিশ কোচের অধীনে বাংলাদেশ ফুটবলে দৃশ্যমান উন্নতি না থাকায় এখন জোরালো হচ্ছে কোচ পরিবর্তনের দাবি।
মূল প্রতিবেদন।
ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার রাতের ম্যাচটা যেন বাংলাদেশের ফুটবলের এক পরিচিত দৃশ্যের পুনরাবৃত্তি। শেষ বাঁশির আগে গোল খেয়ে হারের গ্লানি। এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের এই হারের পর ক্ষুব্ধ দর্শকরা আবারও কোচ কাবরেরার কৌশল ও দল নির্বাচনের সমালোচনায় মুখর।
২০২২ সালের জানুয়ারিতে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ৩৪ ম্যাচে ৯ জয় ৮ ড্র আর ১৭ হার এই পরিসংখ্যানই বলে দিচ্ছে কাবরেরার ব্যর্থতা। শেষ মুহূর্তে গোল হজম যেন তার দলের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।
আরো পড়ুন :নিজের ৬ কোটি টাকার ল্যাম্বরগিনি ভেঙে ফেললেন রোহিত শর্মা।
জাতীয় দলের সাবেক ডিফেন্ডার কায়সার হামিদ বলেন একজন বিদেশি কোচ হিসেবে কাবরেরা বুঝতেই পারেন না, বাংলাদেশের জয়ে বা পরাজয়ে মানুষের হৃদয়ের কতটা নাড়া লাগে। তিনি ম্যাচের শুরু থেকেই ভুল কৌশল নিয়েছেন।’ তার মতে, অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের বাইরে রেখে একাদশ সাজানোই ছিল মূল ভুল।
আরেক সাবেক ফরোয়ার্ড জাহিদ হাসান এমিলি মনে করেন, ম্যাচের শেষ পর্যায়ে কোচের সংযমী পরিকল্পনার অভাবেই দল গোল হজম করে।৩–৩ গোলের সময় খেলোয়াড়দের উল্লাসে না গিয়ে পরিকল্পনায় থাকা দরকার ছিল,’ বলেন এমিলি।
এর আগে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচেও একই কাহিনি পরীক্ষানিরীক্ষা ভুল কৌশল আর শেষ মুহূর্তে গোল হজম। তবুও বাফুফে কোচকে রাখার সিদ্ধান্তে অনড়। এখন সমর্থক ও সাবেক খেলোয়াড়দের প্রশ্ন বাংলাদেশ ফুটবল কি সত্যিই এগোচ্ছে নাকি কাবরেরার পরীক্ষাগারে হারিয়ে যাচ্ছে?
এদিকে হংকংয়ে ফিরতি ম্যাচ খেলতে শুক্রবার দুপুরে রওনা দিয়েছে জামাল ভূঁইয়ারা। দলের কয়েকজন তরুণ যেমন হামজা শমিত ফাহামিদুল ও জায়ান নিজেদের পারফরম্যান্সে আত্মবিশ্বাসী। তবে পরবর্তী ম্যাচে জয়ের প্রত্যাশা যতই থাকুক সমর্থকদের চোখ এখন কেবল এক ব্যক্তির দিকে কাবরেরা।