বর্ষার আগমনের সঙ্গে সঙ্গে দেশে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। হাসপাতালগুলোতে প্রতিদিনই নতুন রোগী ভর্তি হচ্ছে, পাশাপাশি বেড়ে চলেছে মৃত্যুহার। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সময়মতো চিকিৎসকের পরামর্শ নিলে এবং ঘর-আশপাশ পরিষ্কার রাখলে এই পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২১ আগস্ট একদিনেই ডেঙ্গুতে মারা গেছেন পাঁচজন। মাত্র দুই দিন পর, ২৩ আগস্ট মৃত্যু হয়েছে আরও চারজনের। চলতি মৌসুমে সবচেয়ে বেশি প্রাদুর্ভাব দেখা গেছে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে। বিশেষ করে বরিশালে গত আট মাসে ৯ হাজার ৪৫৫ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন এবং প্রাণ হারিয়েছেন ১৮ জন।
আরো পড়ুন:
ভারতে স্বর্ণ-রুপার দামে সামান্য পতন, ডলারের উত্থান ও ফেডের ইঙ্গিতে বাজার স্থিতিশীল
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডেঙ্গুর লক্ষণ দেখা দিলে দেরি না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। কারণ, শুরুতেই চিকিৎসা শুরু করা গেলে মৃত্যু ও জটিলতা অনেকটাই এড়ানো যায়।
তারা আরও জানান, এডিস মশা সাধারণত জমে থাকা পরিষ্কার পানিতে ডিম পাড়ে। তাই বাড়ির আশপাশে ফুলের টব, পাত্র বা অন্য কোনো জায়গায় তিন দিনের বেশি পানি জমতে দেওয়া যাবে না। এজন্য নাগরিকদেরও সচেতন হতে হবে এবং সক্রিয়ভাবে হটস্পট ব্যবস্থাপনায় অংশ নিতে হবে।
এছাড়া রাতে মশারি ব্যবহার, নিয়মিত ঘর পরিষ্কার রাখা এবং পানির পাত্র ঢেকে রাখার অভ্যাস গড়ে তোলার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, সর্বোচ্চ সচেতনতা বজায় রাখলেই ডেঙ্গুর প্রকোপ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।