বলিউডের ইতিহাসে প্রেমের প্রতীক হিসেবে জায়গা করে নেওয়া ‘দিলওয়ালে দুলহনিয়া লে জায়েঙ্গে’ (ডিডিএলজে) আজ ৩০ বছর পূর্ণ করেছে। শাহরুখ খান ও কাজল অভিনীত এই ছবিটি এখনও কোটি ভক্তের হৃদয়ে বেঁচে আছে। ফোকাস কিওয়ার্ড ‘ডিডিএলজে’র ৩০ বছর উপলক্ষে কাজল জানালেন, কীভাবে এই সিনেমা শুধুমাত্র একটি প্রেমের গল্প নয়, বরং এক প্রজন্ম থেকে আরেক প্রজন্মে ছড়িয়ে পড়া আবেগের উত্তরাধিকার হয়ে উঠেছে।
কাজলের আবেগঘন প্রতিক্রিয়া

ডিডিএলজে’র সাফল্য নিয়ে কাজল বলেন, “এটা গর্বের নয়, বরং এক গভীর বিনয়ের অনুভূতি। আমরা কখনও ভাবিনি, এই সিনেমা একদিন এত বড় ‘লেগেসি’ হয়ে উঠবে। তখন শুধু ভালো একটা সিনেমা বানানোর ইচ্ছাই ছিল।”

তিনি আরও যোগ করেন, “আমাদের ধারণা ছিল না যে দর্শকেরা এটাকে তাদের জীবনের অংশ বানিয়ে নেবে। কিন্তু আজও মানুষ এই ছবিকে তাদের ভালোবাসার গল্পের সঙ্গে মিশিয়ে ফেলেছে। অনেকেই বলেন, তারা প্রেমে পড়েছেন এই সিনেমা দেখে, এমনকি এখন তাদের সন্তানদেরও সেটা দেখান। এটা একটা প্রজন্ম থেকে আরেক প্রজন্মে ভালোবাসার গল্প ছড়িয়ে দেওয়ার মতো।”
তিন দশক পরও একই আলোয় ‘ডিডিএলজে’

মুম্বাইয়ের বিখ্যাত মারাঠা মন্দিরে টানা তিন দশক ধরে চলছে ‘ডিডিএলজে’। এখন এটি শুধু সিনেমা নয়, এক ঐতিহ্য। কাজল কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, “যতদিন এই সিনেমা চলছে, সেটি দর্শকদের ভালোবাসার কারণেই সম্ভব হয়েছে। প্রতিটি দর্শক যারা এই গল্পকে নিজেদের জীবনের অংশ বানিয়েছেন, তাদের প্রতি আমার আন্তরিক ধন্যবাদ।”
আরো পড়ুন: আগামীকালের আবহাওয়া ২১ অক্টোবর ২০২৫
সিমরন চরিত্রে কিছু বদলাতে চান কি কাজল?

এই প্রশ্নে হাসিমুখে কাজল উত্তর দেন, “না, আমি কিছুই বদলাব না। সেই সময়ের জন্য গল্পটি ছিল একদম নিখুঁত। আজকের সময়ে হয়তো গল্পটা অন্যভাবে বলা যেত, কিন্তু তাতে ডিডিএলজে তার জাদু হারাত। সময়ের প্রেক্ষাপটে এটি ছিল একদম সঠিক।”
চিরন্তন ভালোবাসার প্রতীক

ডিডিএলজে শুধু একটি সিনেমা নয়, এটি ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে ভালোবাসার সবচেয়ে স্থায়ী প্রতীকে পরিণত হয়েছে। শাহরুখ–কাজলের রসায়ন, ইউরোপের রোমান্টিক ব্যাকড্রপ, আর সিমরনের সরল অথচ দৃঢ় মনোভাব—সব মিলিয়ে এটি এক চিরন্তন স্মৃতি হয়ে আছে দর্শকের হৃদয়ে।