ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ ঘিরে চট্টগ্রামে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে নগরের ২ নম্বর গেট বিপ্লব উদ্যান এলাকায় স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল করেন। এ সময় তাঁরা দাবি করেন, নির্বাচনে সুষ্ঠু পরিবেশ নষ্ট করে কারচুপি করা হয়েছে।
চট্টগ্রামে উত্তাল বিক্ষোভ
বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেন নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব জমির উদ্দিন। তিনি অভিযোগ করে বলেন, রাত ১০টা পর্যন্তও নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়নি, যা প্রমাণ করে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় কারচুপি হয়েছে। তাঁর দাবি, পরিকল্পিতভাবে শিবিরকে বিজয়ী করার চেষ্টা চলছে।
আরো পড়ুন: ডাকসু নির্বাচনে অভিনব কারচুপির অভিযোগ উমামা ফাতেমার
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা নানা স্লোগান দেন। তাঁদের দাবি, “কারচুপির নির্বাচন মানি না, মানব না।” একইসঙ্গে তাঁরা জানান, ছাত্রদলের পাশে সবসময় থাকবে স্বেচ্ছাসেবক দল।
ডাকসু নির্বাচনে রেকর্ড সংখ্যক প্রার্থী
এবার ডাকসু নির্বাচনে ২৮টি পদের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ৪৭১ জন প্রার্থী। পাশাপাশি ১৮টি হল সংসদের প্রতিটিতে ১৩টি করে পদে নির্বাচন হয়েছে। সেখানে ২৩৪টি পদের বিপরীতে লড়েছেন ১ হাজার ৩৫ জন প্রার্থী। সব মিলিয়ে ভোটারদের দিতে হয়েছে ৪১টি করে ভোট।
সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রশ্ন
অভিযোগ উঠেছে, দীর্ঘ সময় ধরে ভোটগ্রহণ ও ফলাফল বিলম্বের কারণে শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়েছেন। অনেকের মতে, এই বিলম্বের মধ্যেই কারচুপির সুযোগ তৈরি হয়েছে। ফলে স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন শিক্ষার্থীরা।