বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে আজকাল যেন নতুন এক অধ্যায় রচিত হচ্ছে। দেশের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক কাঠামো নির্ধারণে জনগণের মতামত কতটা মূল্যবান সে প্রশ্ন আবারও সামনে এসেছে। জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর আলোচনায় উঠে এসেছে গণভোটের প্রস্তাব। এই প্রস্তাব শুধু রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সমঝোতার বিষয় নয়, বরং কোটি মানুষের আকাঙ্ক্ষা ও অংশগ্রহণের প্রতিফলন।
রাজনৈতিক দলের আলোচনায় অগ্রগতি
রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অনুষ্ঠিত আলোচনায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ জানিয়েছেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া এখন প্রায় চূড়ান্ত ধাপে। তিনি বলেন, “আমরা মোটাদাগে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের দিকে এগোতে পেরেছি।”
গণভোটের প্রস্তাব কেন গুরুত্বপূর্ণ
সালাহউদ্দিন আহমদের মতে, শুধু রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যই যথেষ্ট নয়। জনগণের সরাসরি অংশগ্রহণ ও সম্মতি নেওয়াও জরুরি। তাই গণভোটের মাধ্যমে জনগণের রায় জানা গেলে সেটি হবে চূড়ান্ত অভিমত। তিনি উল্লেখ করেন, সংবিধান অনুযায়ী গণভোটে কোনো বাধা নেই এবং সংসদ নির্বাচনের সঙ্গেই একই দিনে ব্যালটের মাধ্যমে এটি আয়োজন করা সম্ভব।
আরো পড়ুন : বাংলাদেশ দলে আজ আসতে পারে পরিবর্তন, কেমন হবে একাদশ?
জনগণের রায়ই হবে চূড়ান্ত
এই বিএনপি নেতা স্পষ্ট করে বলেন, গণভোটের মাধ্যমে জনগণের যে সিদ্ধান্ত আসবে, সেটিই হবে সার্বভৌম রায়। এমনকি সংসদে বিরোধী দল সংখ্যাগরিষ্ঠ হলেও তারা জনগণের সেই রায় মানতে বাধ্য থাকবেন।
নোট অব ডিসেন্ট নিয়েও ব্যাখ্যা
জুলাই সনদের ভেতরে কিছু ধারা নিয়ে রাজনৈতিক দলের ভিন্নমত থাকলেও, সালাহউদ্দিন আহমদ আশ্বাস দিয়েছেন যে সনদটি সবার স্বাক্ষরে প্রণীত হবে এবং জনগণের সামনে স্পষ্টভাবে প্রকাশ করা হবে। এমনকি প্রতিটি রাজনৈতিক দলের ইশতেহারেও জুলাই সনদের প্রতিশ্রুতি থাকবে।