এক টুকরো জাম্বুরাতেই মিলতে পারে আপনার সারাদিনের ভিটামিন সি! শুধু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেই নয়, ত্বকের কোলাজেন তৈরি, রক্তের চর্বি নিয়ন্ত্রণ ও হজম শক্তি বাড়াতে দারুণ কার্যকর এই ফল। তবে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য যেমন উপকারী, দীর্ঘমেয়াদি কিডনি সমস্যায় আক্রান্তদের জন্য কিন্তু তা ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।
বেশি পরিমাণ জাম্বুরা খেলেও শরীরে তা জমা থাকে না, বরং প্রস্রাবের সঙ্গে বেরিয়ে যায়। তাই এক দিনে অনেকটা খেয়ে কয়েক দিনের ভিটামিন সি মজুত রাখা সম্ভব নয়। তবে অতিরিক্ত খেলে ক্ষতির আশঙ্কাও নেই।
শুধু ভিটামিন নয়, আঁশসমৃদ্ধ জাম্বুরা অন্ত্রের উপকারী ব্যাকটেরিয়ার পুষ্টি জোগায়, কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে এবং রক্তের খারাপ চর্বি কমাতে সাহায্য করে। পাশাপাশি এটি ওজন নিয়ন্ত্রণেও কার্যকর ভূমিকা রাখে।
তবে সতর্কতা আছে কিছু ক্ষেত্রে। যাঁরা কোলেস্টেরল কমানোর ওষুধ খান, তাঁদের ক্ষেত্রে জাম্বুরা খাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। কারণ এই ফল ওষুধের কার্যকারিতায় প্রভাব ফেলতে পারে। তাই নিয়মিত ওষুধ সেবনকারীদের অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে জাম্বুরা খাওয়ার অভ্যাস করা উচিত।
মৌসুমি ফল জাম্বুরা শুধু টক স্বাদের জন্যই নয়, বরং ভিটামিন সি-র অন্যতম সেরা উৎস হিসেবেও পরিচিত। অনেকেই জানেন না, প্রতিদিনের ভিটামিন সি–র চাহিদা পূরণ করতে আসলে কতটা জাম্বুরা খাওয়া প্রয়োজন।
আরো দেখুন: ৩৫টি ঔষধি গাছের গোপন রহস্য – প্রতিদিনের রোগের প্রাকৃতিক সমাধান
শুধু ভিটামিন সি নয়, জাম্বুরায় আছে ভিটামিন বি১, বি২, ফোলেটসহ গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান। রান্না করা খাবার থেকে এসব উপাদান পর্যাপ্ত পরিমাণে পাওয়া যায় না, তাই কাঁচা ফল যেমন জাম্বুরা নিয়মিত খাওয়া বেশ উপকারী।
বিশেষজ্ঞদের মতে, খোসা ছাড়ানোর পর একটি মাঝারি জাম্বুরার ওজন দাঁড়ায় প্রায় ৬০০ গ্রামের মতো। এতে থাকা ভিটামিন সি–এর পরিমাণ একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের দৈনিক প্রয়োজনের ৪০০ শতাংশেরও বেশি। অর্থাৎ একটি জাম্বুরার চার ভাগের এক ভাগ খেলেই দিনে প্রয়োজনীয় ভিটামিন সি পূর্ণ হয়ে যাবে।