জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়নের অন্তত ৬টি গ্রামে ভারতীয় বন্যহাতির তাণ্ডবে দিশেহারা হয়ে পড়েছে হাজারো মানুষ। গত ১৭-১৮ দিন ধরে প্রায় ৩০-৩৫টি হাতির পাল লোকালয়ে ঢুকে ফসল, কলাবাগান ও গাছপালা নষ্ট করছে।
স্থানীয়রা জানান, হাতির পাল শুধু ফসলই নষ্ট করছে না বরং রাতের আধারে বাড়িঘরেও ঢুকে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। ফলে গ্রামের মানুষজন সারারাত জেগে কাটাচ্ছেন নিরাপত্তাহীনতায়।
স্থানীয়দের দুর্ভোগ
সাতানিপাড়ার আল মামুন জজ বলেন, প্রতি বছরই এ সময়ে পাহাড় থেকে হাতির পাল নেমে আসে। মানুষ দেখলেই তেড়ে আসে। প্রাণভয়ে অনেক সময় গ্রাম ফাঁকা হয়ে যায়।
সোমনাথপাড়ার হাসান হাবিব বলেন, হাতির পাল প্রায় মাসের ২০-২৫ দিন সীমান্ত এলাকায় অবস্থান করে। ফসলের মারাত্মক ক্ষতি হয়, কিন্তু কোনো স্থায়ী সমাধান নেই।
প্রশাসনের বক্তব্য
বকশীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. মাসুদ রানা বলেন,মানুষ ও হাতির দ্বন্দ্ব এখানে দীর্ঘদিনের। ভারতীয় সীমান্ত থেকেই হাতির পাল প্রবেশ করে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা তৈরি করে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা হবে।
স্থায়ী সমাধানের দাবি
এলাকাবাসীর দাবি, প্রতিবছর এই সময়ে হাতির পালের আগমন ঘটে এবং ফসলের ক্ষতি হয়। শুধু ক্ষতিপূরণ নয় এ সমস্যার স্থায়ী সমাধান চায় তারা।