চট্টগ্রামের একটি সরকারি স্কুলের ৫০০০ বর্গফুটের খেলার মাঠ বেচার চেষ্টা নিয়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। ভূমি অফিসে নামজারের আবেদন করার পর বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। এর আগে চারবার একই আবেদন খারিজ করেছিল ভূমি অফিস। বর্তমানে দুদক (দুর্নীতি দমন কমিশন) বিষয়টি তদন্ত করছে।
নেপথ্যে সম্ভাব্য চক্র
বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, মাঠ বিক্রির পেছনে সঙ্গবদ্ধ চক্র জড়িত থাকতে পারে। দুদকের তদন্ত টিম স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেছে এবং নথিপত্র পর্যালোচনা করেছে। প্রাথমিকভাবে কিছু অনিয়ম ও অসংগতি পাওয়া গেছে।
আরো পড়ুন:
সীমান্ত হত্যা বন্ধে কূটনৈতিক চাপ বাড়ানোর পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের
চট্টগ্রামের ডাক্তার খাস্তগির সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা জানিয়েছেন, স্কুলের খেলার মাঠ সম্পূর্ণ সরকারি সম্পত্তি। কেউ ভুয়া কাগজপত্র বা অন্য কোনো প্রক্রিয়ায় এটিকে দখল করতে চাইলে তারা সহ্য করবেন না। প্রশাসন ও আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও অবৈধ দখল চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তারা।

উল্লেখ্য, মাঠটি ২০০৬ সালে মাত্র ৩৯,৬০০,০০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। বর্তমানে একই জায়গার ওপর আরেক পক্ষের সাথে মামলা চলছে। স্কুল কর্তৃপক্ষ বলেছে, শিক্ষার্থীদের সুরক্ষা এবং স্কুলের প্রাকৃতিক ও শিক্ষামূলক পরিবেশ রক্ষার জন্য তারা মাঠটি দখলে রাখতে বদ্ধপরিকর।
দুদক জানায়, নামজারির আবেদন, জরিপ ও বেচাকেনার প্রক্রিয়া কীভাবে হয়েছে এবং যারা এই সরকারি সম্পদ ক্রয় করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কর্মকর্তারা আশ্বস্ত করেছেন, সমস্ত ভুল ও অনিয়ম তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।