গিল অধিনায়কত্ব চাননি, বরং নির্বাচকরাই তাঁর ওপর নেতৃত্ব চাপিয়ে দিয়েছে এমন মন্তব্য করেছেন ভারতের সাবেক ক্রিকেটার মোহাম্মদ কাইফ। ওয়ানডে দলের নতুন অধিনায়ক হিসেবে শুবমান গিলের নিয়োগে ভারতীয় ক্রিকেটে তৈরি হয়েছে নতুন আলোড়ন। টেস্ট ও টি-টোয়েন্টিতে দায়িত্ব পাওয়ার পর এবার ওয়ানডেতেও নেতৃত্বে এসেছেন গিল, আর তাতেই কাইফের আশঙ্কা ‘অতিরিক্ত চাপ ক্যারিয়ারের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে।’
ভারতের ক্রিকেটে নেতৃত্বে বড় পরিবর্তন এসেছে হঠাৎ করেই। রোহিত শর্মা দলে থাকলেও হারিয়েছেন অধিনায়কত্ব। তাঁর স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন তরুণ ব্যাটার শুবমান গিল, যিনি গত মে মাসেই টেস্ট দলের নেতৃত্ব পেয়েছিলেন।
তবে গিল নিজে এই দায়িত্ব নিতে আগ্রহী ছিলেন না বলে দাবি করেছেন ভারতের সাবেক ক্রিকেটার মোহাম্মদ কাইফ। তাঁর অভিযোগ, অজিত আগারকারের নেতৃত্বাধীন নির্বাচক কমিটিই গিলকে নেতৃত্বের দায়িত্ব নিতে বাধ্য করেছে।
কাইফ তাঁর ইউটিউব চ্যানেলে বলেন, “গিলের অধিনায়ক হওয়াটা হয়তো সময়ের ব্যাপার ছিল, কিন্তু সেটা এখনই নয়। আমি ভেবেছিলাম, ২০২৭ বিশ্বকাপের পর সে এই দায়িত্ব নেবে। কিন্তু এখন তার কাঁধে একসঙ্গে তিন সংস্করণের চাপ পড়ছে, যা তার ক্যারিয়ারের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে।”
আরো পড়ুন: বিসিবি নির্বাচনে চমক: পরিচালক হলেন খালেদ মাসুদ, পিছিয়ে পড়লেন দেবব্রত পাল
রোহিত শর্মাকে হঠাৎ সরিয়ে দেওয়াকে কাইফ মনে করছেন নেতিবাচক সিদ্ধান্ত। তাঁর মতে, ৩৮ বছর বয়সী রোহিত এখনো দুর্দান্ত ব্যাটসম্যান এবং দলের মানসিক নেতৃত্বের প্রতীক ছিলেন। “অধিনায়কত্ব কেড়ে নেওয়া মানে একজন খেলোয়াড়ের আত্মবিশ্বাস কেটে দেওয়া,” বলেন কাইফ। “রোহিত হয়তো প্রতি ম্যাচে শতরান করেন না, কিন্তু বড় ম্যাচে পারফর্ম করে। এখন তাকে সিরিজ ধরে ধরে বিচার করা হবে।”
সম্প্রতি শেষ হওয়া এশিয়া কাপে ভারতের টি-টোয়েন্টি দলের সহ-অধিনায়ক ছিলেন গিল। এবার তিনি ওয়ানডে দলের পূর্ণ নেতৃত্বে আসছেন অস্ট্রেলিয়া সফরে। ১৯ অক্টোবর পার্থে শুরু হবে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ, যেখানে রোহিতও থাকবেন গিলের অধীনে খেলোয়াড় হিসেবে।
গিল অধিনায়কত্ব চাননি, তবু নেতৃত্বে চাপ দিল নির্বাচকেরা
ভারতের ক্রিকেট মহলে এখন আলোচনা একজন তরুণ খেলোয়াড়ের ওপর এত দ্রুত এত দায়িত্ব চাপানো কতটা সঠিক সিদ্ধান্ত। অনেকেই মনে করছেন, ২৬ বছর বয়সী গিলকে ‘ভবিষ্যৎ অধিনায়ক’ হিসেবে তৈরি করার সময় এখনো আসেনি।