গাজা সিটি দখলের মিশনে একের পর এক সাঁজোয়া যান প্রবেশ করাচ্ছে ইসরাইলি সেনারা। পুরো রবিবার শহরের বিভিন্ন এলাকায় তাণ্ডব চালায় ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। জেতুন ও সাব্রা মহল্লায় প্রায় এক হাজার স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
শুধু গাজার শহরাঞ্চলেই নয়, উত্তরাঞ্চলেও সামরিক উপস্থিতি জোরদার করেছে ইসরাইল। ৪০১তম আর্মার্ড ব্রিগেডকে সরিয়ে এনে জাবালিয়াতে মোতায়েন করা হয়েছে। সেখানে ১৬২তম ডিভিশনের নেতৃত্বে হামাসকে নির্মূলের পাশাপাশি আশপাশের এলাকা দখলের অভিযানের ঘোষণা দিয়েছে আইডিএফ।
আরো পড়ুন: খুলনায় ট্রাক চাপায় নিহত ৪, কুমিল্লায় লরির ধাক্কায় প্রাণ গেল মোটরসাইকেল আরোহীর
এদিকে গাজা দখল অভিযান ও যুদ্ধবিরতি আলোচনার মধ্যে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর ওপর চাপ বাড়ছে। সেনাপ্রধান হারজি হালেভি সতর্ক করে বলেছেন, গাজা সিটি দখলের পরিকল্পনা ইসরাইলি বন্দিদের জীবনের জন্য চরম ঝুঁকিপূর্ণ। তিনি নেতানিয়াহুকে বন্দি বিনিময়ের প্রস্তাব মেনে নিতে আহ্বান জানিয়েছেন।
গাজায় প্রতিদিনই কমে যাচ্ছে আশ্রয়স্থলের সংখ্যা। ইসরাইলি বাহিনী বারবার খালি করার নির্দেশ দিলেও বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের জন্য নিরাপদ আশ্রয় পাওয়া যাচ্ছে না। প্রায় ২৪ লাখ মানুষের জীবন এখন গুরুতর ঝুঁকিতে।
এমন পরিস্থিতিতে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম গাজায় ২৫ মিলিয়ন ডলারের মানবিক সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি নেতানিয়াহু ও তার মন্ত্রিসভার সমালোচনা করে বলেন, “গাজার শিশুরা সন্ত্রাসী নয়, তারা হামাসের যোদ্ধা নয়। ফিলিস্তিনের ভাই-বোনদের পাশে আমরা সবসময় থাকব।”
অপরদিকে, সোমবারের ইসরাইলি হামলায় বহু ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে। অনাহার ও চিকিৎসা সংকটের কারণে মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়ছে দিন দিন।