বৃষ্টি হলে রাজধানীর রাস্তায় হাঁটা কঠিন হয়ে ওঠায় নগরবাসী সস্তা ও টেকসই ক্ল্যাসিক স্যান্ডেলের দিকে ঝুঁকছেন। ফুটপাত থেকে অভিজাত জুতার দোকান পর্যন্ত, প্লাস্টিক ও রাবারের তৈরি এসব স্যান্ডেল বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ৫০০ টাকায়। বেশির ভাগ ডিজাইনই চীনা পণ্যের অনুকরণ।
মোহাম্মদপুরে নাহিদ নামের একজন বিক্রেতা জানান, প্রতিদিন তিনি ৫০-৭০ জোড়া স্যান্ডেল বিক্রি করেন। দৈনিক বিক্রি ৮–১০ হাজার টাকা, লাভ ২-৩ হাজার টাকা। সবচেয়ে বেশি চলে বাবর ৩৬০ ও সালিমা জি-৯ মডেল, দাম ১৫০–২০০ টাকা। অফিস পোশাকের সঙ্গে পরার জন্যও স্যান্ডেলের চাহিদা রয়েছে।
বাংলাদেশ পাদুকা প্রস্তুতকারক সমিতির তথ্য অনুযায়ী, দেশে প্রায় ৩০০-৪০০ কারখানা স্যান্ডেল উৎপাদন করছে, যার মধ্যে বড় কারখানা মাত্র ১০টি। দেশে তৈরি স্যান্ডেলের বাজারে অংশ প্রায় ৬০%, বাকি ৪০% চীনা পণ্যের দখলে।
চীনা নকশা ও পুনর্ব্যবহার কাঁচামাল

প্রস্তুতকারকরা চীনা মেশিন ও নকশা ব্যবহার করে দেশীয় উৎপাদনকে উন্নত করার চেষ্টা করছেন। তবে সোল ও রাবারের বেশির ভাগ কাঁচামাল চীনের থেকে আসে, যা কুরিয়ার মাধ্যমে দ্রুত ও কম খরচে আসে।
নতুন স্যান্ডেলের ৯৫% কাঁচামাল পুরোনো জুতা ও প্লাস্টিকজাত দ্রব্য থেকে আসে, যা পুনর্ব্যবহার করে তৈরি করা হয়। তবে টোকাইদের মধ্যে এখন আয় বেশি হওয়ায় অনেকেই প্লাস্টিক সংগ্রহের বদলে অটোরিকশা চালাচ্ছেন, ফলে কাঁচামাল জোগানে সমস্যা দেখা দিচ্ছে।
শীর্ষ ব্র্যান্ড ও বিক্রয়
দেশি শীর্ষ ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে রয়েছে: সালিম ফুটওয়্যার, বাবর শু, পার্লি, জেআর, আইডিয়া ফুটওয়্যার, সাকিব শু, সাব্বির শুজ, কোহিনূর শু ও খান ফুটওয়্যার।
আরো দেখুন: চালু হলো হোয়াটসঅ্যাপ পে: চ্যাটের পাশাপাশি এখন টাকা পাঠানও সহজে
অভিজাত দোকানেও স্যান্ডেলের চাহিদা বেড়েছে। উদাহরণস্বরূপ, কারওয়ান বাজারের বাটার ডিসকাউন্ট শপে ৭৯৯ টাকার স্যান্ডেল এখন ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ফ্লয়েটজ নামের মডেলটি বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয়।