দীর্ঘদিন পর আবারও নিজের সেরা ফুটবল দেখাল ব্রাজিল। দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে ৫–০ গোলের জয়ে তরুণ ত্রয়ী ভিনিসিয়ুস জুনিয়র, রদ্রিগো ও এস্তেভাও যেন নতুন দিনের সূর্যোদয় ফুটবলে নিয়ে এল। কোচ কার্লো আনচেলত্তির দল আজ ‘জোগো বনিতো’র মোহজাগানিয়া খেলা দেখিয়েছে, যেখানে ছন্দ, গতি ও দারুণ সমন্বয়ের মিশ্রণে দক্ষিণ কোরিয়ার ডিফেন্সকে সবধরনের চাপের মুখে ফেলে দিয়েছে ব্রাজিল।
মেসিনিও এস্তেভাও এবং রদ্রিগোদের চোখ ধাঁধানো পারফরম্যান্স
প্রথম গোলটা আসে ১৩ মিনিটে। মেসিনিও এস্তেভাও বক্সের বাইরে থেকে নিখুঁত এক পাস ধরে বল জালে পাঠান। এরপর প্রথমার্ধের শেষের দিকে রদ্রিগো কাসেমিরোর পাস থেকে দৃষ্টিনন্দন বাঁকানো শটে গোল করেন। যদিও প্রথমার্ধে ব্রাজিল অন্তত ছয়টি গোল করার সুযোগ তৈরি করেছিল, কিন্তু কিছু সুযোগ নষ্ট হয়েছে ফিনিশিংয়ের ভুল এবং একটিও অফসাইডের কারণে বাতিল হয়েছে।
আরো পড়ুন : নতুন দিনের আলোয় ঝলমল ব্রাজিল: ভিনি–রদ্রিগো–এস্তেভাওদের জোড়ে দক্ষিণ কোরিয়াকে উড়িয়ে দিল ৫–০ গোলে
দ্বিতীয়ার্ধে ঝড় তুলল সেলেসাওরা
দ্বিতীয়ার্ধে ব্রাজিলের ছন্দ যেন আরও তীক্ষ্ণ হয়ে ওঠে। ৪৭ মিনিটে আবারও স্কোরশিটে নাম তোলেন এস্তেভাও, এরপর রদ্রিগো পেয়ে যান নিজের দ্বিতীয় গোল। শেষ গোলটি আসে ভিনিসিয়ুসের পায়ের জাদুতে, যিনি মাতেউস কুনিয়ার পাস ধরে বল জালে পাঠিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার কফিনে শেষ পেরেক ঠোকেন। এই মুহূর্তে পুরো দল যেন এক হৃদয়ের মতো খেলে ওঠে।
ছেলেখেলার মতো ফুটবল
ব্রাজিল আজ মাঠে দেখিয়েছে শুধু জয়ের ছাপ নয়, বরং ‘জোগো বনিতো’ বা সৌন্দর্যময় ফুটবলের আসল মজা। দ্রুতগতির আক্রমণ, নিখুঁত পাসিং এবং সমন্বয়—সব মিলিয়ে যেন দর্শকদের চোখ জুড়িয়ে দেয়। এই জয় শুধু স্কোর বোর্ড নয়, বরং নতুন আশা ও আত্মবিশ্বাসের বার্তা বহন করছে।