শনিবার সকাল থেকে রাজশাহীর কাদিরগঞ্জের রাস্তায় নেমে এসেছে আতঙ্ক। চারপাশে শুধু সেনাসদস্য আর পুলিশের উপস্থিতি। শিক্ষার্থীরা যারা প্রতিদিন কোচিংয়ে যেতেন, আজ হঠাৎ করেই সেই জায়গাটি ঘিরে রাখা হয়েছে ক্রাইম সিনের ফিতায়। এলাকার দোকানপাট বন্ধ, যানবাহন চলাচল বন্ধ। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “আমরা জানি না আসলে কী ঘটছে। সকাল থেকে শুধু গুঞ্জন আর ভয়ের পরিবেশ।”
অভিযানের টার্গেট ছিল কাদিরগঞ্জের বহুল পরিচিত কোচিং সেন্টার ‘ডক্টর ইংলিশ’। ভবনটির মালিক শফিউল আলম (লাট্টু) যিনি রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাবেক সহসভাপতি। কোচিং পরিচালনা করেন তাঁর ছেলে মোন্তাসেবুল আলম (অনিন্দ্য), যিনি পূর্বে আলোচিত শিক্ষক রেজাউল করিম হত্যা মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন, যদিও পরে মামলা থেকে অব্যাহতি পান।
অভিযানের সুনির্দিষ্ট কারণ এখনো জানা যায়নি। সেনাবাহিনী এ বিষয়ে কোনো বক্তব্য দেয়নি।
- পুলিশের পক্ষ থেকে রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র গাজীউর রহমান বলেছেন: সেনাবাহিনী ব্রিফিং করলে সাংবাদিকেরা বিস্তারিত জানতে পারবেন। থানায় মামলা হলে পুলিশ আনুষ্ঠানিকভাবে জানাবে।
- স্থানীয় মানুষের প্রতিক্রিয়া: স্থানীয় দোকানদার জসিম উদ্দিন বলেন, আমাদের দোকান খোলা রাখা যাচ্ছে না। পরিবার নিয়ে সবাই আতঙ্কে আছি।
এলাকার মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা স্থবির হয়ে গেছে। শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা বন্ধ হয়ে গেছে। রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার কারণে ঘটনাটি বড় রাজনৈতিক ইস্যু হয়ে উঠতে পারে।
আরো পড়ুন: চীনের চাহিদা কমায় বিশ্ববাজারে আকরিক লোহার দামের পতন
রাজনীতি বিশ্লেষক (কাল্পনিক) ড. রাশেদ আহমেদ বলেন, এ ধরনের অভিযান কেবল নিরাপত্তা নয়, রাজনৈতিক বার্তাও বহন করে। যেহেতু অভিযুক্ত পরিবারের রাজনৈতিক পরিচয় আছে তাই এটি বড় পরিসরে আলোচনার জন্ম দিতে পারে।