দুবাইয়ের বড় মাঠে পাকিস্তানের ১৩৬ রানের সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমেও বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ব্যাটসম্যানরা যেন একেবারেই মাথা খাটাতে ভুলে গেলেন। চার-ছক্কার লোভে বারবার উইকেট বিলিয়ে দেওয়া, পরিস্থিতি বুঝে এক-দুই রান না নেওয়া এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন শট—সব মিলিয়ে ম্যাচটা হাতছাড়া হলো অদ্ভুতভাবে। এ যেন ক্রিকেটের সবচেয়ে সহজ সমীকরণটাই তারা ভুলে গেলেন।
এলোমেলো ব্যাটিংয়ে হার
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে একই মাঠে ১৬৯ রান তাড়া করে জেতার আত্মবিশ্বাস নিয়েও ব্যাটসম্যানদের ব্যাটিংয়ে দেখা গেল অদ্ভুত অস্থিরতা। শুরু থেকেই মনে হচ্ছিল, ম্যাচটা ১৫–১৮ ওভারের মধ্যেই শেষ করে ফেলতে হবে! অথচ সামান্য ধৈর্য আর কৌশল দিয়ে সহজেই জয় পাওয়া যেত। পারভেজ হোসেন মাত্র দুই বল খেলেই ফেরেন সাজঘরে। তিন নম্বরে নামা তাওহিদ হৃদয়ও ইনিংস গড়ার বদলে ব্যস্ত ছিলেন ঝুঁকিপূর্ণ শটে।
আরো পড়ুন: Xiaomi 15T Pro রিভিউ: নতুন ‘ফ্ল্যাগশিপ কিলার’ নিয়ে এলো শাওমি
অভিজ্ঞতার অভাব নাকি মাথার ঘোর?
অভিজ্ঞ নুরুল হাসান সুযোগ পেয়েছিলেন ম্যাচের নায়ক হওয়ার, কিন্তু উইকেটে এসে তাঁর ব্যাটিংও ছিল অস্থিরতায় ভরা। কখনো স্কুপ, কখনো এলোমেলো শট—শেষ পর্যন্ত ২১ বলে মাত্র ১৬ রানে ফিরে গেলেন। জাকের আলীও একই পথে হাঁটলেন, অমনোযোগী শট খেলে দলের চাপ আরও বাড়ালেন।
সহজ সমীকরণ, কঠিন বাস্তবতা
অল্প রানের ম্যাচে কৌশল হলো ইনিংস টেনে নেওয়া এবং হাতে উইকেট রেখে শেষ দিকে আক্রমণ করা। বিশ্বের সব দলই এই সহজ তত্ত্ব জানে, কিন্তু বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা কবে শিখবেন—সেই প্রশ্ন আবারও সামনে এলো। কোচ ফিল সিমন্স ম্যাচ শেষে বলেছেন, “আমরা খারাপ সিদ্ধান্ত নিয়েছি, শট নির্বাচনও ভালো ছিল না।” কথাটা ঘুরিয়ে বললে দাঁড়ায়—মাথা খাটাতে না পারার কারণেই হেরেছে বাংলাদেশ।