কেন মশা বেশি কামড়ায় কিছু মানুষকে জানুন

কেন মশা বেশি কামড়ায় কিছু মানুষকে জানুন

গত ১০০০০ বছরের মধ্যে একাধিকবার মশার বংশধর স্বাধীনভাবে মানুষের প্রতি আকর্ষণ বিকশিত করেছে। মানববর্ষতি গুলো যত স্থায়ী হয়ে উঠেছে তত বেশি করে স্থির পানি সরবরাহ করেছে। এমনকি তীব্র শুষ্ক মৌসুমেও যাতে করে সারাবছর মশার প্রজনন সম্ভব হয়েছে।

মেয়ে মশারা গন্ধ অনুভবকারী রিসেপ্টর এবং নিউরোনের সমন্বয় গঠিত লোমের মতো অঙ্গ দিয়ে ঢাকা এন্টিনা দিয়ে সজ্জিত থাকে। এগুলো তাদের পছন্দের হোস্টেল সংকেত গুলো ধরে হাজার হাজার বছর ধরে মানুষকে টার্গেট করে।

মশারা আমাদের টার্গেট করে নেওয়ার ক্ষেত্রে অত্যন্ত দুঃখ হয়ে উঠেছে। এরা আমাদের শরীরের সেই অংশ গুলোকেই টার্গেট করে যেখানে আমরা এদের কম লক্ষ্য করতে পারি এরা দৃষ্টিগত সংকেত এবং বায়ু প্রবাহের পরিবর্তনের সংবেদনশীল।

তাই যখনই আমরা নিজেদের রক্ষা করার চেষ্টা করি কার্বনডাই অক্সাইড প্রায় ১০মিটার দূর থেকেই শনাক্ত করতে পারে। এই নিঃশ্বাসের গন্ধ পেয়ে তারা বিশেষভাবে আগ্রহী হয়ে উঠে গাড়ু রঙের অথবা বেশি চোখে পড়ে এমন জিনিসের উপর এবং মানুষের ত্বকের মত রঙের দিকে কার্বোন্ডাক্সাইডের ধোঁয়া অনুসরণ করে।

তার উচ্চের দিকে যাওয়ার সময় শরীরের তাপমাত্রা এবং গন্ধ অনুভব করে। এই গন্ধগুলো আমাদের ত্বকে বসবাসকারী অনেক সুক্ষ্ম জীবের দ্বারা উৎপন্ন হয়। তারা আমাদের শরীর থেকে নিশ্চিত ঘাম এবং সিবামের মত নিস্বরণগুলোকে ভেঙে দেয়।

এই কাজ করার সময় আমাদের ত্বকের জীবাণু ছোট্ট জৈবিক উপাদান তৈরি করে যা বাশপাকৃত হয়ে গন্ধ হিসেবে ধরা পড়ে। এই গন্ধের প্রতি মানুষের খোঁজকারী মশারা বিশেষভাবে সজাগ থাকে অতিরিক্ত ঘাম হওয়া অস্থায়ীভাবে মানুষকে মশার জন্য আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে পারে।

যেমন অ্যালকোহল গ্রহণ করা বা গর্ভবতী হওয়া এবং ক্লাস মরিয়াম পরজীবী যা ম্যালেরিয়া সৃষ্টি করে। তাও মানুষকে মশার জন্য আরো আকর্ষণীয় করে তোলে। আপনি যদি এদের মধ্যে একজন হয়ে থাকেন তাহলে আপনি সম্ভবত এ বিষয়ে ভালো করেই জানেন। সো সরি ফরদ্যাট তবে এটি কেন ঘটে?

সেটা মূলত ত্বকের কিছু বিশেষ বৈশিষ্ট্যের উপর নির্ভর করে বলা যায় কার্বন্ড একসেপ্ট সমৃদ্ধ নিঃশ্বাস এবং শরীরের গরম ভাব সব সময় চলমান রক্ত বা উষ্ণ রক্তের প্রাণীর উপস্থিতির ইঙ্গিত দেয়। কিন্তু পশুদের থেকেও মানুষের শরীরের গন্ধ আরো আলাদা এবং প্রত্যেকের তকে বিভিন্ন ধরনের সুক্ষ জীবাণু থাকে যা অন্য মানুষের থেকে আলাদা শরীরের গন্ধ তৈরিতে সাহায্য করে।

গবেষকরা জানিয়েছেন যে, মশারা যে রিসিপটরগুলো এসিডিক কম্পাউন্ড শনাক্ত করতে ব্যবহার করে মানুষের দিকে চলে আসতে সেগুলো বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ এবং সত্যিই যাদের ত্বকে অতিরিক্ত গন্ধ থাকে তারাই মশাদের কাছে স্থায়ীভাবে বেশি আকর্ষণীয়।

এটি এতটাই স্থায়ী বৈশিষ্ট্য বিধায় এর কারণে কিছু জীনেরও ভূমিকা থাকতে পারে। সম্ভবত ত্বকের সূক্ষ্ম জীবাণু গঠনে সাহায্য করে সাইন্টিস্টরা লক্ষা করেছেন যে বিভিন্ন জমজদের ক্ষেত্রে মশারা একই রকম আকর্ষণ প্রদর্শন করে। অপরদিকে সমুজাতীয় জমজদের ক্ষেত্রে আকর্ষণের তারতম বেশি দেখা যায় যা জীনগত ভিত্তি থাকার সম্ভাবনাকে সমর্থন করে

তবে মশারা আমাদের মধ্যে কাউকে বিশেষভাবে টার্গেট করে, কেউ কেউ শপথ করে বলেন আমাকে মনে হয় মশারা ভালো চিনে, মনে হয় আমাকে টার্গেট করে রেখেছে। তাহলে সত্যিই বিষয়টা নিয়ে ভাবা দরকার ঠিক কি কারণে এমনটা হচ্ছে আর আমরা এ ব্যাপারে কি করতে পারি?

আসলে এটা নির্ভর করে মশারা আমাদের কিভাবে এবং কেন খুঁজে বের করে তার উপর পুরুষ মশারা টিকে থাকার জন্য নির্যাস খায় কিন্তু মেয়ে মশারা ডিমের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করতে রক্ত খুঁজে বের করে। ডিফারেন্ট মশার প্রজাতি বিভিন্ন প্রাণীদের রক্ত খাওয়ার জন্যই বিবর্তিত হয়েছে।

Post Share Now

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *