রাজনৈতিক অঙ্গনে ফের আলোচনায় মনিরুল হক সাক্কু। কুমিল্লা-৬ (আদর্শ সদর-সদর দক্ষিণ) আসনে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন সাবেক মেয়র ও বিএনপির বহিষ্কৃত এই নেতা। সম্প্রতি গণসংযোগে নেমে তিনি জানান, বিএনপি যদি যোগ্য প্রার্থী না দেয়, তাহলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবেই লড়বেন তিনি। তার এই ঘোষণা ঘিরে বিএনপি ও স্থানীয় রাজনীতিতে তৈরি হয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ও নতুন সমীকরণ।
কুমিল্লার রাজনীতিতে ফের সরব হয়েছেন মনিরুল হক সাক্কু। দীর্ঘদিন দলীয় রাজনীতি থেকে দূরে থাকা এই সাবেক মেয়র এখন ঘোষণা দিয়েছেন-ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লা-৬ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন তিনি।
দলীয় মনোনয়ন না পেলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়বেন বলেও প্রকাশ্যে জানিয়েছেন তিনি।
বিএনপির ভেতরে অস্বস্তি, বাড়ছে জল্পনা
সাক্কুর ঘোষণায় বিএনপির ভেতরে শুরু হয়েছে নানামুখী আলোচনা। কেউ বলছেন, তিনি দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন প্রত্যাশী; আবার কেউ বলছেন, তিনি স্বাধীনভাবে নিজের জনভিত্তি যাচাই করছেন।
তবে বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, কুমিল্লা বিএনপিতে বর্তমানে দুই প্রভাবশালী নেতার মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে সাবেক এমপি ও বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা হাজী আমিনুর রশিদ ইয়াছিন বনাম সাবেক মেয়র সাক্কু।
কুসিক নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে অংশ নেওয়ায় সাক্কুকে বহিষ্কার করা হয়েছিল, ফলে তিনি দলীয় রাজনীতি থেকে কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন।
জামায়াতের সুবিধা পেতে পারে কুমিল্লা-৬ আসনে
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, সাক্কু স্বতন্ত্র প্রার্থী হলে আসনটিতে জামায়াতের প্রার্থী কাজী দীন মোহাম্মদ বাড়তি সুবিধা পেতে পারেন। কারণ, বিএনপির ভোট ব্যাংক বিভক্ত হলে সেই সুযোগ নিতে পারে জামায়াত।
তবে বিএনপি নেতারা এ নিয়ে উদ্বিগ্ন নন। তাদের দাবি, কুমিল্লা-৬ হলো বিএনপির ‘অভেদ্য ঘাঁটি’, যেখানে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা প্রভাব ফেলতে পারবেন না।
নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ মোল্লা টিপু বলেন,সাক্কু কুমিল্লার রাজনীতিতে এখন অপ্রাসঙ্গিক। ধানের শীষের প্রার্থীর জয়ে তার মতো কেউ প্রভাব ফেলতে পারবে না।
নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করলেন সাক্কু
অন্যদিকে সাক্কু বলেন, “বিএনপি থেকে যদি আমার চেয়ে যোগ্য কেউ মনোনয়ন পান, আমি তাকে সমর্থন করব। কিন্তু তদবিরের কারণে অযোগ্য কাউকে দেওয়া হলে আমি অবশ্যই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব।”
তিনি আরও যোগ করেন,আমি মেয়র হিসেবে জনগণের জন্য কাজ করেছি। এখন জাতীয় পর্যায়ে সেবা দিতে চাই। তাই গণসংযোগ শুরু করেছি।
আরো পড়ুন : নির্বাচন ঘিরে সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন
সাক্কু বলেন,কিছু নেতা আছেন সুখের পায়রার মতো-পদবি আছে, কাজ নাই, জনগণের পাশে নাই। আমি করে দেখিয়েছি, ভবিষ্যতেও জনগণের জন্য কাজ করব।

