এশিয়া কাপ ২০২৫-এ এবার ওমানের বিপক্ষে ম্যাচটা ভারতের জন্য ছিল একধরনের প্রস্তুতির লড়াই। যদিও জয়টা সহজ হয়নি, তবু শেষ পর্যন্ত ২১ রানে এগিয়ে থেকে ভারত শুধু দু’পয়েন্টই পায়নি, বরং সুপার ফোরে নামার আগে নিজেদের কিছু ঘাটতি ও সম্ভাবনা স্পষ্টভাবে দেখতে পেরেছে। ম্যাচটা যেন নিখুঁত না হলেও এক অর্থে ছিল তাদের ‘ড্রেস রিহার্সাল’।
প্রথম দুই ম্যাচে ভারতের মিডল অর্ডার তেমন সুযোগ পায়নি। ওমানের বিপক্ষে অবশেষে তারা পেল সময় কাটানোর সুযোগ। শুভমান গিল ও অভিষেক শর্মা ওপেনিং করলেও, এবার তিন নম্বরে সুযোগ পান সঞ্জু স্যামসন। যদিও শুরুতে বেশ সংগ্রাম করেছেন, পরে অর্ধশতক তুলে নিয়ে আত্মবিশ্বাস বাড়ান তিনি।
তিলক ভার্মা দেখালেন আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলার ক্ষমতা, আর অক্ষর প্যাটেল স্পিনের বিপক্ষে ব্যাট হাতে শক্তি দেখালেন। হার্দিক পান্ডিয়া ও শিভম দুবে ব্যর্থ হলেও দলের টপ ও মিডল অর্ডার অন্তত ম্যাচ প্র্যাকটিসে ভালোই ঝালিয়ে নিল।
হার্দিক পান্ডিয়া পেলেন নতুন বলে বোলিংয়ের সুযোগ সম্ভবত ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই। আর্শদীপ সিং দারুণ সুইং করালেও নতুন পেসার হর্ষিত রানা ছিলেন বেশ অনিয়মিত। কুলদীপ যাদব তার স্বাভাবিক রূপেই ব্যাটারদের বিভ্রান্ত করেছেন, তবে অক্ষর চোট পেয়ে মাঠ ছাড়ায় ভারতকে বাড়তি বোলার ব্যবহার করতে হয়
হার্দিক পান্ডিয়ার দারুণ এক ক্যাচে আউট হন ওমানের অভিজ্ঞ ব্যাটার আমির কালীম। ডাগআউটে তখন কোচিং স্টাফদের উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মতো। ফিল্ডিং কোচ টি দিলিপের বিশেষ ট্রেনিং যেন মাঠেই সফল হলো।
আরো পড়ুন : পাকিস্তান ম্যাচের আগে সতীর্থদের ফোন দরজা বন্ধ করার পরামর্শ সূর্যকুমারের।
ওমানের জয়ের সম্ভাবনা একসময় বাস্তব মনে হচ্ছিল। ৪০ রান দরকার ছিল ১৬ বলে। যদিও শেষ পর্যন্ত পারেনি তারা, তবে প্রতিপক্ষ হিসেবে ভুগিয়েছে ভারতকে। এই লড়াই শুধু ম্যাচকেই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করেনি, বরং বিতর্কের ভিড়ে থাকা এশিয়া কাপে নতুন উত্তেজনাও যোগ করেছে।
উপসংহার
ভারতের জয়টা নিখুঁত না হলেও অনেকদিক থেকেই কার্যকর ছিল। মিডল অর্ডারের ব্যাটিং, বোলিং কম্বিনেশন, ফিল্ডিং সবই তারা পরীক্ষা করে দেখেছে। তাই সুপার ফোরে পাকিস্তানের বিপক্ষে নামার আগে এই ম্যাচটাই তাদের জন্য সবচেয়ে বড় প্রস্তুতি হয়ে উঠল।