১৯৯৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ওম কন্নড় সিনেমা শুধু একটি চলচ্চিত্র নয়, এটি হয়ে উঠেছে একটি কাল্ট ক্লাসিক ও পপ কালচারের অংশ। শশী ও রহস্যময় ‘সত্যা’-এর গল্প দর্শকদের এতটাই মুগ্ধ করেছে যে, ছবি ৫৫০ বার হলে মুক্তি পেয়েছে। হিন্দি, তেলুগু এবং এমনকি বাংলাদেশেও এর রিমেক হয়েছে।
‘ওম’-এর কেন্দ্রীয় চরিত্র শশী, একজন তরুণ সাংবাদিক। তিনি বেঙ্গালুরুর আন্ডারওয়ার্ল্ডের কুখ্যাত গ্যাংস্টারদের খুঁজে বের করে তাঁদের নিয়ে বই লেখেন। বইটির নামও প্রতীকী ‘ওম’। এক পর্যায়ে তিনি জানতে পারেন রহস্যময় চরিত্র সত্যমূর্তি শাস্ত্রী, সংক্ষেপে ‘সত্যা’-এর কথা। এরপরই শুরু হয় গল্পের উত্তেজনা।
১৯৯৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই সিনেমা কেবল কন্নড় চলচ্চিত্রকেই নয়, পুরো দক্ষিণ ভারতের চলচ্চিত্র জগৎকেই প্রভাবিত করেছে। মাত্র ৭৫ লাখ রুপি বাজেটে নির্মিত হলেও সিনেমার জনপ্রিয়তা এতটাই বেড়ে যায় যে, পরবর্তী কয়েক দশকে ৫৫০ বার হলে মুক্তি পেয়েছে।
‘ওম’-এর চিত্রনাট্য, বাস্তবধর্মী গল্প এবং শক্তিশালী অভিনয় দর্শকদের আকৃষ্ট করে। বেঙ্গালুরুর কাপালি সিনেমা হলে একাই ছবিটি ৩০ বার মুক্তি পেয়েছে। লিমকা বুক অব রেকর্ডসে এই তথ্য নথিভুক্ত হয়েছে।
‘ওম’ কেবল জনপ্রিয় হয়নি, এটি কন্নড় সিনেমার ভাষা ও ধারাকেও বদলে দিয়েছে। এর আগে দক্ষিণ ভারতীয় সিনেমায় গ্যাংস্টার গল্প থাকলেও, এই বাস্তবধর্মী চিত্রায়ণ এবং শক্তিশালী চরিত্রপ্রদর্শন নজিরবিহীন ছিল।
শিবরাজকুমার এই ছবির মাধ্যমে কন্নড় ইন্ডাস্ট্রির শীর্ষ তারকায় পরিণত হন। পরিচালক উপেন্দ্রও মাত্র তৃতীয় পরিচালনায় এই মাইলফলক অর্জন করেন। পরবর্তীতে তিনি নিজেকে পাকা নির্মাতা ও অভিনেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন।
‘ওম’-এর গল্প ও আবেদন এতটাই তীব্র ছিল যে এটি বিভিন্ন ভাষায় রিমেক হয়েছে। হিন্দিতে ‘অর্জুন পণ্ডিত’, তেলুগুতে ‘ওমকারাম’, এবং বাংলাদেশে ‘পাঞ্জা’ নামে মুক্তি পেয়েছে। তবে মূল কন্নড় সংস্করণের জনপ্রিয়তার সঙ্গে কোনো সংস্করণই পাল্লা দিতে পারেনি।
আরো দেখুন: “এই বিয়ে টিকবে না” – মালাইকার খোলামেলা স্বীকারোক্তি নিয়ে আলোচনায় বলিউড
২০২৩ সাল থেকে ভারতে পুরোনো হিট সিনেমা আবার থিয়েটারে মুক্তি পাচ্ছে। ‘ওম’ তার মধ্যে বিশেষ দর্শকরা হল থেকে নামালে আবারও দেখার জন্য দাবি জানাতেন। এই প্রবণতা ছবিকে বারবার পর্দায় ফিরিয়েছিল।অনেক কাল্ট সিনেমা থাকলেও ‘ওম’-এর বিশেষত্ব হলো এটি দর্শকদের কাছে একেবারেই নিজস্ব। চরিত্রগুলো যেন বাস্তব জীবনের অংশ হয়ে গেছে। এই মিলন, আবেগ এবং নস্টালজিয়া এখনো দর্শকদের মুগ্ধ রাখে।