বাংলাদেশকে হারিয়ে এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠেছে পাকিস্তান। আর এই জয়ের নেপথ্যে ছিলেন দুই পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি ও হারিস রউফ। তাঁদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে পাকিস্তান সহজেই ম্যাচ জিতেছে। এখন প্রশ্নফাইনালে ভারতের মতো শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপের বিপক্ষেও কি তাঁরা একইভাবে সাফল্য পাবেন?
আফ্রিদি: পাওয়ারপ্লের রাজা
শাহিন আফ্রিদি বরাবরই নতুন বলে মারাত্মক। বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচে পাওয়ারপ্লেতে মাত্র ১১ রান খরচ করে ২ উইকেট নেন তিনি। শুধু বোলিং নয়, ব্যাট হাতে ১৯ রানের ক্যামিও খেলেও দলকে বিপদ থেকে টেনে তোলেন। এই পারফরম্যান্সে ম্যাচসেরাও হন তিনি। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এ নিয়ে তাঁর ম্যাচসেরা পুরস্কার দাঁড়াল ১০টি যা বিশ্ব ক্রিকেটে কোনো পেসারের জন্য সর্বোচ্চ।
আরো পড়ুন : শারজাহতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে উল্লাসে মেতেছেন নেপাল ক্রিকেটাররা
রউফ: গতিই যার ভরসা
হারিস রউফকে প্রায়ই বলা হয় পাওয়ারপ্লেতে খরুচে বোলার। তবে টি-টোয়েন্টি পরিসংখ্যান অন্য কথা বলছে। অভিষেক থেকে এখন পর্যন্ত তিনি পাওয়ারপ্লেতে নিয়েছেন ৩৪ উইকেটআফ্রিদির পরই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। গতির ঝড়ে উইকেট তুলে নেওয়ার স্বভাব তাঁর। বাংলাদেশের বিপক্ষে সাইফ হাসানকে ফেরানোই ছিল মোড় ঘোরানো মুহূর্ত। ভারতের বিপক্ষেও সেই গতির অস্ত্রই হতে পারে পাকিস্তানের মূল ভরসা।
স্পিন সহায়ক উইকেটে কেন ভরসা পেসাররা?
দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম সাধারণত স্পিনারদের জন্য সহায়ক ধরা হলেও এবারের এশিয়া কাপে পাকিস্তানি পেসাররাই বেশি কার্যকরী প্রমাণিত হয়েছেন। এখন পর্যন্ত ২৩ উইকেট শিকার করেছেন তাঁরা, গড় মাত্র ১৫.৯১। এর তুলনায় স্পিনাররা নিয়েছেন ১৮ উইকেট, গড় প্রায় ২০। এই পরিসংখ্যানই প্রমাণ করে ভারতের বিপক্ষেও ফাইনালে পাকিস্তানের জয়ের ফর্মুলা হবে গতি আর সুইং।
পাকিস্তানের জয়ের রোডম্যাপ
ফাইনালে যদি পাকিস্তান ভারতকে থামাতে চায়, তবে প্রথম কাজ হবে পাওয়ারপ্লেতেই উইকেট নেওয়া। আফ্রিদির সুইং ও রউফের গতি মিলে ভারতের ওপেনারদের ব্যাকফুটে ঠেলে দিতে পারলে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ চলে আসতে পারে পাকিস্তানের হাতে। এরপর বাকি কাজটা শেষ করবেন দলের স্পিনাররা।