টানা তিনটি টি–টোয়েন্টি সিরিজ জিতে এবার এশিয়া কাপে শিরোপার স্বপ্ন নিয়ে মাঠে নামছে বাংলাদেশ। আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে আজ শুরু হচ্ছে সেই অভিযাত্রা। কঠিন বি–গ্রুপে বাংলাদেশের প্রথম প্রতিপক্ষ হংকং, যারা উদ্বোধনী ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে মাত্র ৯৪ রানে গুটিয়ে গিয়ে ৯৪ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরেছে।
বড় স্বপ্নের পথে প্রথম ধাপ
তিনবারের রানার্সআপ বাংলাদেশ এবার মরুর দেশে গেছে নতুন আত্মবিশ্বাস নিয়ে। ক্ষুরধার পেস আক্রমণ আর শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপ তাদের বড় ভরসা। বিশেষ করে জুলিয়ান উডের কোচিংয়ে জাকের আলীরা পেয়েছেন পাওয়ার–হিটিংয়ের নতুন দীক্ষা। আশা করা হচ্ছে, ব্যাট হাতে টি–টোয়েন্টি সুলভ আক্রমণাত্মক রূপ দেখাতে পারবে লাল–সবুজরা।
তবে ইতিহাসের হতাশার এক অধ্যায়ও মনে করিয়ে দিচ্ছে সবাইকে। ২০১৪ টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে চট্টগ্রামে হংকংয়ের কাছেই হারতে হয়েছিল বাংলাদেশকে। সেই দলের দুই খেলোয়াড় বাবর হায়াত ও নিজাকাত খান এখনও রয়েছেন বর্তমান দলে।
বোলিংয়ে তাসকিন–মোস্তাফিজ ভরসা
বাংলাদেশ প্রথম ১০ ওভারে যত বেশি উইকেট নিতে চায়। এই কাজে তাসকিন আহমেদ ও মোস্তাফিজুর রহমান মূল ভরসা। তাসকিন নতুন বলে গতি–ঝড়ে আঘাত হানতে সক্ষম, আর ডেথ ওভারে কাটার দিয়ে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারেন মোস্তাফিজ। সঙ্গে থাকবেন তরুণ তানজিম হাসান। স্পিন বিভাগে মেহেদী হাসান মিরাজ ও রিশাদ হোসেনও রাখতে পারেন কার্যকর ভূমিকা।
ব্যাটিংয়ে ছক্কার ঝড়ের প্রত্যাশা
ব্যাটিংবান্ধব আবুধাবির উইকেটে বাংলাদেশ চাইবে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক হতে। দুই ওপেনার তানজিদ হাসান ও পারভেজ হোসেন পাওয়ারপ্লেতে ছক্কার ঝড় তুলতে প্রস্তুত। এ বছরই তারা বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি ছক্কা হাঁকিয়েছেন—তানজিদ ২৩টি, পারভেজ ২২টি। শেষ ওভারে শামীম হোসেন ও জাকের আলীর কাছ থেকেও বিধ্বংসী ব্যাটিং আশা করছে দল।
প্রতিপক্ষ হংকংয়ের প্রস্তুতি
হংকংয়ের কোচ কুশল সিলভা স্বীকার করেছেন, “বাংলাদেশ মানসম্পন্ন দল। তাদের স্পিনার ও ব্যাটিং লাইনআপ খুবই শক্তিশালী। আমরা যা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি, সেটিতেই মনোযোগ দেব।” তবে হংকংয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশ সতর্ক থাকতে চাইছে, কারণ অতীতের অভিজ্ঞতা তাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছে অবমূল্যায়নের মাশুল কতটা ভয়াবহ হতে পারে।
আবুধাবির কন্ডিশন
এশিয়া কাপের ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে দিনে প্রচণ্ড গরম আর রাতে শিশিরে ভেজা আবুধাবির পরিবেশে। কন্ডিশন অনেকটা বাংলাদেশের মতো হওয়ায় লাল–সবুজরা বাড়তি সুবিধা পেতে পারে। তবে এই মাঠে এখন পর্যন্ত দুটি টি–টোয়েন্টি খেললেও দুটিতেই হেরেছে বাংলাদেশ। তাই জয় দিয়ে শুরু করতে বাড়তি মনোযোগই মূল চাবিকাঠি হতে পারে।

