রাজধানীর বিজয়নগরে দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান বলেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিভাজন তৈরি হয়েছে। বিএনপি চায় জাতীয় নির্বাচনের দিনেই গণভোট অনুষ্ঠিত হোক, অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামী চাইছে নভেম্বরে গণভোটের আয়োজন। এ পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে নির্বাচন আয়োজন জটিল হয়ে উঠবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য না হলে নির্বাচন অনিশ্চিত হয়ে পড়বে এবং প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসকে পদত্যাগ করে সরে দাঁড়াতে হতে পারে এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেছে আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি। বৃহস্পতিবার বিকেলে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান এই সতর্কবার্তা দেন। তিনি বলেন, এখনই রাজনৈতিক দলগুলোকে অহমিকা পরিহার করে জাতীয় ঐকমত্যে পৌঁছানো জরুরি, নইলে সংকট ভয়াবহ হতে পারে।
মজিবুর রহমান বলেন,আমরা আশা করি সরকার এমন একটি তারিখ নির্ধারণ করবে যা সব দল মেনে নিতে পারে। কিন্তু যদি ঐকমত্য না হয়, তাহলে নির্বাচন আয়োজন অনিশ্চিত হবে এবং প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসকে পদত্যাগ করতে হতে পারে।
সংবাদ সম্মেলনে এবি পার্টির পক্ষ থেকে আবারও সব দলকে অহমিকা ও ক্ষমতার দ্বন্দ্ব ভুলে জুলাই সনদ বাস্তবায়নে একমত হওয়ার আহ্বান জানানো হয়। দলটির নেতারা বলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাব অনুসারে অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাহী আদেশ জারি করতে পারে। সংবিধান সংস্কার পরিষদ সময়মতো কাজ শেষ না করলে প্রস্তাবগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানে যুক্ত হবে বলেও তারা উল্লেখ করেন।
আরো পড়ুৃন : বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে কি কথা বলেন মোঃ ডক্টর ইউনুস
এবি পার্টির চেয়ারম্যান জানান, গণভোটের দিন নির্ধারণ সম্পূর্ণ সরকারের এখতিয়ার। কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারির পর থেকে জাতীয় নির্বাচনের দিন পর্যন্ত যেকোনো সময়ে গণভোট আয়োজন করা সম্ভব। সংবাদ সম্মেলনে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন, আনোয়ার সাদাত ও ব্যারিস্টার নাসরিন সুলতানাসহ শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।


 

