গ্রাফিকস-চিপ নির্মাতা এনভিডিয়া আজ বিশ্বের সবচেয়ে মূল্যবান সেমিকন্ডাক্টর প্রতিষ্ঠান। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির বিস্ফোরণ এই কোম্পানিকে নিয়ে গেছে নতুন উচ্চতায়, যেখানে এর বাজারমূল্য দাঁড়িয়েছে প্রায় চার ট্রিলিয়ন ডলার। এই সাফল্যের পেছনে আছেন এনভিডিয়ার প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জেনসেন হুয়াং। দ্রুতগতির কম্পিউটিং থেকে শুরু করে রোবোটিকস ও এআই চিপ সবখানেই তাঁর দূরদর্শী সিদ্ধান্ত প্রযুক্তি খাতকে নতুন পথে পরিচালিত করছে। সম্প্রতি তিনি এআই নিয়ে পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন, যা আগামী দশকের প্রযুক্তি বিশ্বকে নাড়িয়ে দিতে পারে।
১. এজেন্টিক এআইয়ের উত্থান
এআই আর শুধু চ্যাটবট বা টেক্সট জেনারেটরে সীমাবদ্ধ থাকবে না। এজেন্টিক এআই মানুষের হয়ে পরিকল্পনা তৈরি, সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করবে। জেনসেন হুয়াংয়ের মতে, এই প্রযুক্তি কার্যকর করতে বর্তমানের তুলনায় ১০০–১,০০০ গুণ বেশি কম্পিউটিং শক্তি প্রয়োজন হবে। সেই কারণেই এনভিডিয়া জিপিইউ ও ডেটা সেন্টার প্ল্যাটফর্ম আরও শক্তিশালী করছে।
২. রোবোটিকস হবে শিল্পবিপ্লবের হাতিয়ার
হুয়াং মনে করেন, ভবিষ্যতের শিল্পপ্রতিষ্ঠানে রোবট একটি অপরিহার্য অংশ হয়ে উঠবে। ২০৩৫ সালের মধ্যে শুধু হিউম্যানয়েড রোবটের বাজারই পৌঁছাতে পারে ৩৮ বিলিয়ন ডলারে। তাঁর মতে, প্রতিটি শিল্পকারখানার থাকবে দুটি অবকাঠামো একটি প্রচলিত ও একটি রোবটচালিত।
আরও পড়ুন: রেড সাগরে ক্যাবল কাটা, মাইক্রোসফট অ্যাজুরে বিঘ্ন
৩. ট্রিলিয়ন ডলারের এআই অবকাঠামো
বিশ্বজুড়ে আগামী দশকে সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ হবে এআই ডেটা সেন্টার ও অবকাঠামোতে। হুয়াংয়ের হিসাব অনুযায়ী, ২০২৯ সালের মধ্যে এই খাতের বাজার দাঁড়াতে পারে ৩ থেকে ৪ ট্রিলিয়ন ডলারে। ব্ল্যাকওয়েল ও রুবিনের মতো নতুন আর্কিটেকচার এই প্রবৃদ্ধিকে আরও ত্বরান্বিত করবে।
৪. এআই তথ্যভান্ডারে বাড়বে বিনিয়োগ
অ্যামাজন, গুগল, মাইক্রোসফট ও মেটার মতো প্রযুক্তি জায়ান্টরা ইতোমধ্যে এআইনির্ভর তথ্যভান্ডারে ব্যাপক বিনিয়োগ করছে। ২০২৫ সাল থেকে এই খাতে ব্যয় আরও দ্রুত বাড়বে বলে অনুমান করছেন হুয়াং।
৫. জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে এআই
এনভিডিয়া প্রধান বিশ্বাস করেন, ভবিষ্যতে মানুষের জীবনের প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই এআই প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়বে। ক্লাউড কম্পিউটিং থেকে রোবোটিকস পর্যন্ত – সবখানেই এনভিডিয়ার প্রভাব থাকবে, এবং আগামী দশকে কোম্পানিটি প্রযুক্তি নেতৃত্ব ধরে রাখবে।