দেশের শিক্ষাঙ্গনে নেমেছে হতাশার ছায়া। সদ্য প্রকাশিত এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল দেখিয়ে দিল, এখনও আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় অনেক ঘাটতি রয়ে গেছে। এবার সারাদেশে ২০২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একজন শিক্ষার্থীও পাস করতে পারেনি, যা সত্যিই উদ্বেগজনক খবর।
ফলাফল প্রকাশের দিনেই ধাক্কা
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ১০টায় দেশের সব শিক্ষা বোর্ড থেকে একযোগে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়। শিক্ষার্থীরা তাদের ফলাফল জানতে পারছে নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইট ও এসএমএসের মাধ্যমে। কিন্তু অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য আজকের দিনটি পরিণত হয়েছে হতাশার দিনে।
আরো পড়ুন: দিনাজপুরের ৪৩ কলেজে কেউ পাশ করেনি
ফেল করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেড়েছে উদ্বেগজনক হারে
গত বছর (২০২৪ সালে) দেশে শতভাগ ফেল করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল ৬৫টি, আর এবছর তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০২টি। অর্থাৎ মাত্র এক বছরের ব্যবধানে ১৩৭টি প্রতিষ্ঠান বেশি ফেল করেছে। এই সংখ্যা শুধু পরিসংখ্যান নয়, এটি আমাদের শিক্ষার গুণগত মান, শিক্ষক প্রশিক্ষণ, ও শিক্ষার্থীদের শেখার পরিবেশ নিয়ে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করছে।
শিক্ষাবিদদের মতে, এই ফলাফল শুধুমাত্র শিক্ষার্থীদের ব্যর্থতা নয়, এটি সমগ্র শিক্ষা ব্যবস্থার এক বড় সংকেত। অনেক এলাকায় পর্যাপ্ত শিক্ষক না থাকা, শিক্ষার উপকরণের অভাব, পরীক্ষার আগে প্রয়োজনীয় গাইডলাইন না পাওয়া—সব মিলিয়ে এই ব্যর্থতার পেছনে রয়েছে বহু কারণ।
তবে এখনই হতাশ না হয়ে প্রয়োজন সমস্যার মূল কারণগুলো চিহ্নিত করা এবং দ্রুত সমাধানে এগিয়ে আসা। প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে আধুনিক শিক্ষণপদ্ধতি, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষক, এবং প্রযুক্তিভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা জরুরি। তবেই ভবিষ্যতে এমন বিব্রতকর পরিস্থিতি এড়ানো সম্ভব হবে।