উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন দেশের সেনাদের তত্ত্বাবধানে দুটি নতুন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছেন। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে জানানো হয়েছে, শনিবারের এ উৎক্ষেপণটি এমন সময়ে করা হয়েছে যখন দক্ষিণ কোরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র ও সিউলের বার্ষিক যৌথ সামরিক মহড়া চলছে।
রবিবার কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি (কেসিএনএ) জানিয়েছে, পরীক্ষিত ক্ষেপণাস্ত্রগুলো আকাশপথের হুমকি মোকাবিলার জন্য তৈরি, যা হামলা চালানো ড্রোন ও ক্রুজ মিসাইল প্রতিহত করতে সক্ষম। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এগুলো পূর্ববর্তী মডেলের উন্নত সংস্করণ এবং ‘বিশেষ ও অনন্য প্রযুক্তি’ ভিত্তিক।
আরো পড়ুন
যৌথ মহড়াকে ‘অস্থিতিশীল’ বলছে পিয়ংইয়ং
গত সোমবার শুরু হওয়া “উলচি ফ্রিডম শিল্ড ২৫” নামের মার্কিন-দক্ষিণ কোরিয়ার মহড়াটি চলবে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত। এতে লাইভ-ফায়ারসহ বিভিন্ন সামরিক অনুশীলন অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, এই মহড়ার মূল উদ্দেশ্য হলো যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যকার “আটল সমর্থন” প্রদর্শন এবং নিজেদের ভূখণ্ড রক্ষার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করা।

তবে উত্তর কোরিয়ার সামরিক কর্মকর্তারা একে কোরীয় উপদ্বীপে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির দায়ী করেছেন। রদং সিনমুন পত্রিকায় প্রকাশিত এক বিবৃতিতে কোরিয়ান পিপলস আর্মির মুখপাত্র বলেন, “এই বেপরোয়া মহড়া যুদ্ধবাজদের কাজ, যা অঞ্চলকে চরম উত্তেজনার দিকে ঠেলে দিচ্ছে।”
কিমের ‘যুদ্ধের আশঙ্কা’ সতর্কবার্তা
কেসিএনএ প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায়, কিম জং উন সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করছেন এবং ক্ষেপণাস্ত্রগুলো মাঝ আকাশে উড়ছে। তবে উৎক্ষেপণ কোথায় হয়েছে তা জানানো হয়নি।
মহড়ার প্রথম দিনেই কিম উত্তর কোরিয়ার একটি নৌবাহিনীর ডেস্ট্রয়ার জাহাজ পরিদর্শনে যান। সেখান থেকে তিনি সতর্ক করে বলেন, মার্কিন-দক্ষিণ কোরিয়ার এই মহড়া “যুদ্ধ উসকে দিতে পারে” এবং উত্তর কোরিয়াকে অবশ্যই “অস্ত্রাগারের দ্রুত পারমাণবিকীকরণ” নিশ্চিত করতে হবে।