বাংলাদেশের ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশন (ইসি) প্রকাশ করেছে রোডম্যাপ। ঘোষিত কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী, নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে এবং তফসিল ঘোষণা হবে চলতি বছরের ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে। এ লক্ষ্যে ভোটার তালিকা চূড়ান্তকরণ, রাজনৈতিক দল নিবন্ধন, আসন সীমানা নির্ধারণ ও আইন সংস্কারসহ মোট ২৪টি গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম নির্ধারণ করেছে কমিশন।
রোডম্যাপ ঘোষণা
বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে এক ব্রিফিংয়ে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ আনুষ্ঠানিকভাবে রোডম্যাপ ঘোষণা করেন। তিনি জানান, আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে রাজনৈতিক দল ও অংশীজনদের সঙ্গে সংলাপ শুরু হবে, যা চলবে অক্টোবর পর্যন্ত। এছাড়া নভেম্বর মাসে প্রকাশিত হবে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা।
কমিশনের বৈঠকে অনুমোদন
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে চার নির্বাচন কমিশনারের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এই কর্মপরিকল্পনা অনুমোদন দেওয়া হয়। নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার জানান, “সব কিছু চূড়ান্ত হয়ে গেছে, এখন শুধু টাইপিং চলছে।”
আরো পড়ুন:
সাবেক মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকী আটক, ‘মঞ্চ ৭১’-এর অনুষ্ঠানে উত্তেজনা
কী থাকছে কর্মপরিকল্পনায়
রোডম্যাপে উল্লেখিত কার্যক্রমগুলোর মধ্যে রয়েছে—
- রাজনৈতিক দল ও অংশীজনদের সঙ্গে সংলাপ
- ভোটার তালিকা হালনাগাদ ও প্রকাশ
- নির্বাচনি আইন ও বিধি সংস্কার
- সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ
- নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধন
- দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষক নিবন্ধন
- ভোটকেন্দ্র চূড়ান্তকরণ ও কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ
- প্রবাসী ও কারাবন্দিদের জন্য পোস্টাল ভোটের ব্যবস্থা
- নির্বাচনি সামগ্রী সংগ্রহ ও ব্যালট মুদ্রণ
- আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বিশেষ পরিকল্পনা
তফসিল ও নির্বাচন সময়সূচি
ইসির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নির্বাচন সংক্রান্ত প্রস্তুতিমূলক কাজগুলো চলমান রয়েছে। রোডম্যাপে প্রতিটি কাজ কোন সময়ের মধ্যে শেষ করতে হবে তা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। তবে রোডম্যাপে তফসিল ঘোষণার তারিখ বা ভোটের দিন স্পষ্টভাবে উল্লেখ নেই। কমিশন সূত্র জানিয়েছে, চলতি বছরের ডিসেম্বরের প্রথমার্ধেই তফসিল ঘোষণা করা হবে এবং সেই অনুযায়ী আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ভোট অনুষ্ঠিত হবে।