ইতালির বিভিন্ন শহরে সোমবার ব্যাপক বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির নেতৃত্বাধীন সরকারের ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি না দেওয়ার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে। “গাজায় গণহত্যা বন্ধ করো” স্লোগানে হাজারো মানুষ সড়কে নেমে এ দিনটিকে আন্দোলনের দিন ঘোষণা করে বিক্ষোভ করে। এতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে বহুজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
মিলানে সংঘর্ষ, পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া
মিলানে বিক্ষোভকারীরা স্থানীয় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, শহরের কেন্দ্রীয় রেলস্টেশনে দাঙ্গা পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাস ব্যবহার করছে। বিক্ষোভকারীরা পাল্টা ইট-পাটকেল ছোড়ে এবং জানালা ভাঙচুর করে। স্থানীয় গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, অন্তত ৬০ জন পুলিশ আহত হয়েছেন।
রাজধানী রোমে প্রধান টার্মিনি ট্রেন স্টেশনের সামনে প্রায় ২০ হাজার মানুষ সমবেত হন। অধিকাংশই ছিলেন শিক্ষার্থী। তাঁরা “ফ্রি প্যালেস্টাইন” শ্লোগান দেন এবং হাতে ফিলিস্তিনি পতাকা উঁচিয়ে ধরেন। এদিকে রোমে গণপরিবহন বিঘ্নিত হয়। স্থানীয় বাস এবং মেট্রো সেবা ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি জাতীয় ট্রেন সার্ভিসও দেরি ও বাতিলের সম্মুখীন হয়।
আরো পড়ুন: এনসিপির নেতা আখতার ও তাসনিম জারার উপর ডিম ছুড়লেন
উত্তরাঞ্চলের মিলানে আয়োজকরা দাবি করেন, প্রায় ৫০ হাজার মানুষ বিক্ষোভে অংশ নেন। সেখানে একদল বিক্ষোভকারী মার্কিন পতাকা পোড়ান। বোলোনিয়ায় প্রায় ১০ হাজার মানুষ সড়কে নেমে মহাসড়ক অবরোধ করলে পুলিশ পানি ছিটিয়ে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে। তুরিন, ফ্লোরেন্স, নেপলস ও সিসিলিতেও একই ধরনের বিক্ষোভ হয়। জেনোয়া ও লিভোর্নোতে ডক শ্রমিকরা বন্দর অবরোধ করেন।
শ্রমিক সংগঠনের ধর্মঘট
ইউএসবি (USB) ইউনিয়নের ডাকে ২৪ ঘণ্টার জাতীয় ধর্মঘট পালিত হয়। সংগঠনটির দাবি ছিল, ইতালিয়ান সরকারকে অবিলম্বে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে এবং ফিলিস্তিনি জনগণের সঙ্গে সংহতি জানাতে হবে।
সরকারের অবস্থান
মেলোনির সরকার জানিয়েছে, তারা গাজায় ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানালেও এখনই ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে না। সরকার দাবি করেছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের আক্রমণের পর থেকে ইসরায়েলের কাছে কোনো অস্ত্র বিক্রি করা হয়নি। পাশাপাশি, ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রস্তাবিত বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন নিয়েও ইতালি অনাগ্রহ