আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কায় অনুষ্ঠিত শীর্ষ বৈঠক নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। পর্যবেক্ষকদের মতে, এ বৈঠকে কূটনৈতিকভাবে এগিয়ে গেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। অন্যদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ফিরেছেন কোনো সমঝোতা ছাড়াই।
ট্রাম্প নির্বাচনের আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, ক্ষমতায় বসার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ইউক্রেন যুদ্ধ থামাবেন। কিন্তু ছয় মাস পার হলেও যুদ্ধ বন্ধ হয়নি। ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিকে দায়ী করার পর এবার তিনি সরাসরি আলোচনায় বসেন পুতিনের সঙ্গে। আলোচনার মূল বিষয় ছিল ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতি, তবে আশ্চর্যজনকভাবে সেখানে ইউক্রেনের কোনো প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন না।
ট্রাম্পের আশা ছিল, সরাসরি আলোচনার মাধ্যমে তিনি পুতিনকে যুদ্ধবিরতিতে রাজি করাতে পারবেন। কিন্তু আড়াই ঘণ্টার বৈঠকের পরও কোনো সমঝোতা হয়নি। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ট্রাম্প শুধু বলেন, আলোচনা ভালো হয়েছে তবে কোনো ডিল হয়নি।
বিশ্লেষকরা বলছেন, যুদ্ধক্ষেত্রে বর্তমানে রুশ সেনারা তুলনামূলকভাবে শক্ত অবস্থানে থাকায় পুতিনের যুদ্ধবিরতিতে রাজি হওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। বরং বৈঠকের সুযোগে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিজের উপস্থিতি জানান দিতেই তিনি আলাস্কায় এসেছিলেন।
আরো পড়ুন: বাংলাদেশ সীমান্তে আবারও বিএসএফের গুলি, পঞ্চগড়ে নিহত ১
ট্রাম্প যদিও বৈঠকের আগে ঘোষণা দিয়েছিলেন, প্রথম কয়েক মিনিটেই বুঝে যাবেন যুদ্ধবিরতি সম্ভব কি না। প্রয়োজনে সভা ছেড়ে চলে যাবেন। কিন্তু বাস্তবে তিনি আড়াই ঘণ্টা আলোচনায় কাটিয়েছেন এবং শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্ন না নিয়েই প্রস্থান করেছেন।
পর্যবেক্ষকদের মতে, এই বৈঠকে পুতিনের কূটনৈতিক অবস্থান আরও দৃঢ় হয়েছে আর ট্রাম্প ফিরে এসেছেন ‘খালি হাতে’।