এক স্বপ্নের ফাইনালের পথে
ফুটবল মানেই আবেগ, আর আর্জেন্টিনার নাম শুনলেই চোখে ভেসে ওঠে নীল–সাদা জার্সির ঝলক। চিলির সান্তিয়াগোর রোদেলা বিকেলে সেই আবেগ আবারও জেগে উঠল যখন অনূর্ধ্ব–২০ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে কলম্বিয়াকে হারিয়ে ফাইনালে জায়গা পাকা করল তরুণ আর্জেন্টিনা। এক গোলের জয়ে তারা এখন আরও একবার স্বপ্নপূরণের একদম দোরগোড়ায়।
সেমিফাইনালের গল্প: যখন কৌশল বদলে দিল খেলার ভাগ্য
প্রথমার্ধে দুই দলই ছিল সতর্ক, যেন কেউই ঝুঁকি নিতে চাইছিল না। কলম্বিয়ার আক্রমণভাগ ছিল তীক্ষ্ণ, কিন্তু আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক সান্তিনো বারবি বারবার দেয়াল হয়ে দাঁড়ান। প্রথম ৪৫ মিনিট শেষ হয় গোলশূন্য অবস্থায়।
দ্বিতীয়ার্ধে কোচ দিয়েগো প্লাসেন্তে সাহসী সিদ্ধান্ত নেন—রক্ষণভাগ থেকে এক ডিফেন্ডার তুলে এনে আক্রমণ বাড়ান। আর তাতেই বদলে যায় খেলার চিত্র।
৭১ মিনিটে লিওনেল মেসির ইন্টার মায়ামি সতীর্থ মাতেও সিলভেত্তি দুর্দান্ত ফিনিশিংয়ে গোল করে এগিয়ে দেন দলকে। বাঁ দিক থেকে আসা পাসে তাঁর নিখুঁত শট আর্জেন্টিনাকে এনে দেয় ফাইনালের টিকিট।
গোলরক্ষকের দেয়াল, কলম্বিয়ার লাল কার্ডে পতন
ম্যাচজুড়ে সান্তিনো বারবি ছিলেন আর্জেন্টিনার রক্ষাকবচ। প্রথমার্ধে কলম্বিয়ার জোয়েল ক্যানচিম্বো ও হুয়ান আরিজালার দুটি বিপজ্জনক শট তিনি ফিরিয়ে দেন অসাধারণ প্রতিক্রিয়ায়।
আরো পড়ুন : আইসল্যান্ড থেকে কেপ ভার্দে: সবচেয়ে কম জনসংখ্যার দেশ যারা বিশ্বকাপে খেলেছে
৭৮ মিনিটে কলম্বিয়ার জন রেনতেরিয়া দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লে, ১০ জন নিয়ে নামতে হয় দলটিকে। এরপরও তারা চেষ্টা চালিয়ে যায়, কিন্তু গোলের দেখা পায়নি। শেষ বাঁশি বাজতেই স্কোরলাইন দাঁড়ায় ১–০, আর উল্লাসে ভাসে নীল–সাদা সমর্থকরা।
সামনে মরক্কো, সামনে ইতিহাস
আগামী ১৯ নভেম্বর (রবিবার) ফাইনালে আর্জেন্টিনার প্রতিপক্ষ মরক্কো। এই ম্যাচে জিততে পারলে তারা রেকর্ড সপ্তমবারের মতো অনূর্ধ্ব–২০ বিশ্বকাপের শিরোপা জয়ের গৌরব অর্জন করবে।
তরুণদের এই দলটা যেন ভবিষ্যতের আর্জেন্টিনা ফুটবলের এক ঝলক দৃঢ়তা, আবেগ আর বিশ্বাসে ভরপুর।