আফগানিস্তানে পাকিস্তানি বিমান হামলা আবারও দুই দেশের সীমান্ত উত্তেজনা চরমে তুলেছে। কান্দাহারের স্পিন বোলদাক শহরে এ হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৪০ জন, আহত হয়েছেন আরও ১৭০ জনের বেশি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, নিহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু, যা স্থানীয়দের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে।
আফগান সীমান্তে নতুন করে রক্তক্ষয়
আফগানিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলীয় কান্দাহার প্রদেশের সীমান্তবর্তী শহর স্পিন বোলদাকে শুক্রবার ভোরে এই হামলা চালায় পাকিস্তানের বিমানবাহিনী। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম তোলো নিউজ জানিয়েছে, শহরজুড়ে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে একাধিক বাড়িঘর। নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে কেন্দ্রীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে, যেখানে শত শত মানুষ জানাজায় অংশ নেন।
স্পিন বোলদাকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা করিমুল্লাহ জুবাইর আগা জানান, আহতদের অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তিনি বলেন, “হাসপাতালে জায়গা সংকট হয়ে পড়েছে। নিহতদের মধ্যে শিশু ও নারী সবচেয়ে বেশি।
যুদ্ধবিরতি শেষ হতেই শুরু নতুন হামলা
পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সীমান্তে ১১ থেকে ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত সংঘাতের পর দুই পক্ষ ১৫ অক্টোবর থেকে ৪৮ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতিতে গিয়েছিল। তবে সেই বিরতির মেয়াদ শেষ হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই নতুন করে হামলা চালায় পাকিস্তান। স্থানীয় সময় শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে যুদ্ধবিরতি শেষ হয়, আর বিকেলেই ঘটে ভয়াবহ বিমান হামলা।
আরো পড়ুন : আফগানিস্তানে ভারত-পাকিস্তান “ছায়াযুদ্ধ”: সীমান্তে উত্তেজনা ও কূটনৈতিক চাপ
স্থানীয়দের ক্ষোভহামলায় আহত হাজি বাহরাম নামের এক বাসিন্দা বলেন, “আমি জীবনে এমন নির্মমতা দেখিনি। নিজেদের মুসলিম দাবি করা একটি দেশ কীভাবে নারী-শিশুদের ওপর বোমা বর্ষণ করতে পারে?
আফগান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, হামলাটি আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের শামিল এবং বিষয়টি জাতিসংঘে উত্থাপনের প্রস্তুতি চলছে।