আবারও পুরোনো ব্যাটিং বিপর্যয়ের গল্প লিখল বাংলাদেশ। বল হাতে শুরুটা দারুণ হলেও, ব্যাট হাতে সেই ধার বজায় রাখতে পারলেন না মিরাজরা। আফগানিস্তানের দেওয়া সামান্য ১৯১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মাত্র ১০৯ রানেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। ফলে ৮১ রানের বড় ব্যবধানে হেরে সিরিজও খোয়ালো টাইগাররা।
শনিবার (১১ অক্টোবর) প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৪৪.৫ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৯০ রান তোলে আফগানিস্তান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ২৮.৩ ওভারের মধ্যেই অলআউট হয় বাংলাদেশ।
ব্যাটিং লাইনআপ যেন টেলিফোন নাম্বার! স্কোরকার্ডে চোখ রাখলেই বোঝা যায় কতটা ভয়াবহ ব্যর্থতা- ০, ২২, ৭, ২৪, ৪, ১৮, ১৫, ০, ৫, ০, ৫। তানজিদ হাসান তামিম শূন্য হাতে ফিরলে শুরু হয় ধস। তার পথ ধরে ফেরেন শান্ত (৭), সাইফ হাসান (২২) ও হৃদয় (২৪)। কেউই বড় ইনিংস গড়তে পারেননি।
দায়িত্ব নিতে পারেননি অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজও। মাত্র ৪ রানে আউট হন তিনি। কিছুটা লড়াই করেছিলেন সোহান (১৫) ও জাকের (১৮), কিন্তু দলকে বাঁচাতে তা যথেষ্ট ছিল না। আফগানদের হয়ে রশিদ খান একাই ধস নামান- ৮.৩ ওভারে ১৭ রানে ৫ উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন। সহায়তা করেন ওমরজাই, যিনি ৩ উইকেট নেন।
আরো পড়ুন:আর্জেন্টিনা বনাম মেক্সিকো: জ্বলে উঠল তরুণদের, সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনা
এর আগে টস হেরে বোলিংয়ে নামা বাংলাদেশ শুরু থেকেই নিয়ন্ত্রণে ছিল। পেসার তানজিম সাকিব ও তানভীর ইসলামের দারুণ স্পেলে দ্রুতই আফগানিস্তান হারায় টপ অর্ডারের চার ব্যাটার। ওপেনার ইব্রাহীম জাদরান একপ্রান্ত আগলে রেখে ১৪০ বলে ৯৫ রানের লড়াকু ইনিংস খেলেন। শেষ দিকে নবী (২২) ও গজনফার (২২) কিছুটা যোগ করলে দলটি পৌঁছায় ১৯০ রানে।
বাংলাদেশের হয়ে মিরাজ নেন ৩ উইকেট, রিশাদ ও সাকিব শিকার করেন ২টি করে উইকেট।
শেষ পর্যন্ত সেই স্বপ্নভঙ্গের গল্পই আবারও শোনা গেল মিরাজদের ব্যাটে। বল হাতে লড়াই করলেও ব্যাট হাতে ব্যর্থতা যেন দলের অগ্রগতির পথে সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
আফগানিস্তান: ১৯০/৯ (জাদরান ৯৫; মিরাজ ৩/৪২)
বাংলাদেশ: ১০৯/১০ (হৃদয় ২৪; রশিদ ৫/১৭)
ফলাফল: আফগানিস্তান জয়ী ৮১ রানে