আজ মধ্যরাতে আকাশে ঘটতে যাচ্ছে এক চমকপ্রদ দৃশ্য পৃথিবীর খুব কাছ দিয়ে অতিক্রম করবে ২০২৫ কিউভি৯ নামের এক বিশাল গ্রহাণু। প্রায় ১০০ ফুট চওড়া এই মহাজাগতিক বস্তুটি ঘণ্টায় ১০ হাজার মাইলেরও বেশি গতিতে ছুটে যাবে। নাসার তথ্য অনুযায়ী, এটি পৃথিবীর থেকে প্রায় ১২ লাখ ৫০ হাজার মাইল দূর দিয়ে যাবে, যা জ্যোতির্বিজ্ঞানের হিসেবে অত্যন্ত কাছের। বিপজ্জনক না হলেও এই দৃশ্য মহাকাশপ্রেমীদের জন্য এক দারুণ অভিজ্ঞতা হয়ে উঠবে।
প্রযুক্তি নিউজ:
আজকের রাত পৃথিবীর মহাকাশপ্রেমীদের জন্য এক ভিন্ন অভিজ্ঞতা বয়ে আনতে যাচ্ছে। নাসার দেওয়া তথ্যমতে, প্রায় ১০০ ফুট প্রশস্ত এক বিশাল গ্রহাণু, যার নাম ২০২৫ কিউভি৯, বাংলাদেশ সময় ১০ সেপ্টেম্বর মধ্যরাতে পৃথিবীর খুব কাছ দিয়ে অতিক্রম করবে। এই গ্রহাণুটি একটি বিমানের সমান আকারের এবং ঘণ্টায় প্রায় ১০ হাজার মাইলের বেশি গতিতে ছুটে আসছে। এর বিশাল গতি ও উপস্থিতি বিজ্ঞানী এবং মহাকাশ অনুসন্ধানীদের কাছে বিশেষ কৌতূহলের জন্ম দিয়েছে।
২০২৫ কিউভি৯ গ্রহাণুটি নাসার জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরির তথ্যমতে, পৃথিবী থেকে প্রায় ১২ লাখ ৫০ হাজার মাইল দূরে দিয়ে যাবে। দূরত্বটি শুনতে অনেক হলেও জ্যোতির্বিজ্ঞানের হিসেবে এটি তুলনামূলকভাবে খুব কাছের ধরা হয়। চাঁদের দূরত্ব পৃথিবী থেকে প্রায় পাঁচ গুণ বেশি, আর এই গ্রহাণুটি সেই সীমার মধ্যেই অতিক্রম করবে। এই কারণে বিশেষ নজরে রেখেছে গবেষকরা।
এই গ্রহাণুটি অ্যাটেন গ্রুপের অন্তর্ভুক্ত, যেগুলো পৃথিবীর কক্ষপথ অতিক্রম করে। তাই ভবিষ্যতে এ ধরনের গ্রহাণুর সঙ্গে পৃথিবীর আরও ঘনিষ্ঠ মিথস্ক্রিয়ার সম্ভাবনা অস্বীকার করা যাচ্ছে না। এ কারণে বিজ্ঞানীরা এমন গ্রহাণুগুলোর গতিবিধি নিয়মিতভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন, যাতে ভবিষ্যতে কোনো ঝুঁকি এড়ানো যায়।
নাসার নিয়ম অনুযায়ী, পৃথিবীর জন্য বিপজ্জনক ধরা হয় সেই গ্রহাণুকে, যার আকার অন্তত ৮৫ মিটারের বেশি এবং পৃথিবীর ৭.৪ মিলিয়ন কিলোমিটারের মধ্যে আসে। তুলনায় ২০২৫ কিউভি৯ প্রস্থের দিক থেকে ছোট এবং পৃথিবী থেকে দূরত্বও অনেক বেশি। তাই এটি বিপজ্জনক নয়, তবে পর্যবেক্ষণ করার মতো অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ।