আজ ১২ রবিউল আউয়াল, সারা বিশ্বের মুসলমানরা উদযাপন করছেন পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)। এই দিনে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্ম ও ওফাতের পুণ্য স্মরণ করা হয়। মুসলিম উম্মাহ নফল ইবাদত, দরুদ পাঠ, কোরআন তিলাওয়াত এবং দান-খয়রাতের মাধ্যমে দিনটি পালন করে, যা ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত পবিত্র ও মহিমান্বিত একটি সময়।
মহানবীর জীবন ও শিক্ষার প্রাসঙ্গিকতা
হজরত মুহাম্মদ (সা.) ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দে মক্কার কুরাইশ বংশে জন্মগ্রহণ করেন। জন্মের আগেই তিনি পিতৃস্নেহ হারান এবং ছয় বছর বয়সে মাতৃহারা হন। তাঁর জীবন জাহেলিয়ার যুগের অন্ধকার ও অনাচারের মধ্যে আলোর প্রদীপ হিসেবে উদ্ভাসিত হয়েছিল।
আরো পড়ুন: 20+ ঈদে মিলাদুন্নবীর শুভেচ্ছা ছবি ২০২৫
মহানবী (সা.) ছিলেন দয়া, সহমর্মিতা, বিনয় ও মানবিক সদগুণের সর্বোচ্চ প্রতীক। ধর্ম, বর্ণ বা সম্প্রদায় নির্বিশেষে সকলের জন্য তিনি উদাহরণ স্থাপন করেছিলেন। ইসলামের শান্তির বাণী প্রচারের মাধ্যমে তিনি সমগ্র মানবজাতির জন্য রহমতস্বরূপ প্রেরিত হন।
প্রধান উপদেষ্টার বাণী
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন,
“মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবনাদর্শ ও সুন্নাহ অনুসরণ দ্বন্দ্ব-সংঘাতময় বিশ্বেও শান্তি, ন্যায় ও কল্যাণ নিশ্চিত করতে পারে। তাঁর আদর্শ মুসলমানদের জন্য কল্যাণ, সফলতা ও শান্তির উৎস।”
তিনি দেশবাসীসহ সমগ্র মুসলিম উম্মাহকে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)-এর আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগ
ইসলামিক ফাউন্ডেশন ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে আয়োজন করেছে ১৫ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালা। উদ্বোধন করা হয়েছে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে। অনুষ্ঠানে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব গভর্নরস এবং অন্যান্য ধর্মীয় ব্যক্তিত্বরা অংশগ্রহণ করেছেন।
অনুষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে ওয়াজ, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল, হামদ-নাত, সেমিনার, ইসলামি বইমেলা, কবিতা পাঠ এবং ক্বিরাত প্রতিযোগিতা। এছাড়া, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য আরবি খুতবা লিখন এবং বক্তৃতা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে।
পবিত্র দিনে মুসলমানদের প্রতিফলন
আজকের দিনটি শুধু মহানবীর জন্মস্মরণ নয়, বরং মুসলিম উম্মাহর জন্য আদর্শ অনুসরণের সময়। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা বিভিন্ন ইবাদত ও নফল রোজার মাধ্যমে তাঁর জীবন ও শিক্ষার প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন।