আগামীকাল বুধবার পৃথিবীর একেবারে কাছ ঘেঁষে ছুটে যাবে একটি বিশাল গ্রহাণু। যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার তথ্য অনুযায়ী, গ্রহাণুটি তিনটি ফুটবল মাঠের চেয়েও বড় আকারের এবং ঘণ্টায় প্রায় ২২ হাজার মাইলের বেশি গতিতে মহাকাশ পাড়ি দেবে।
পৃথিবীর জন্য কি কোনো ঝুঁকি আছে?
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, গ্রহাণুটির নাম ‘১৯৯৭ কিউকে ১’। এটি পৃথিবীর প্রায় ৩০ লাখ কিলোমিটার দূর থেকে অতিক্রম করবে। তাই আপাতত পৃথিবীতে আঘাত হানার কোনো আশঙ্কা নেই। তবে আকারে বড় হওয়ায় যদি ভবিষ্যতে কখনো এর গতিপথ পরিবর্তিত হয়ে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসে, তাহলে তা ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।
কবে আবিষ্কৃত হয়েছিল ‘১৯৯৭ কিউকে ১’?
গ্রহাণুটি ১৯৯০ দশকের শেষ দিকে প্রথম আবিষ্কার করে নাসা। সেই সময় থেকেই এর গতিপথ ও অবস্থান নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এটি অ্যাটেন গ্রুপের অন্তর্গত হওয়ায় সূর্যের চারপাশে এর কক্ষপথ বিস্তৃত। এই শ্রেণির গ্রহাণুগুলো মাঝে মাঝে বিভিন্ন গ্রহের কাছাকাছি চলে আসে, ফলে সংঘর্ষের আশঙ্কা থেকে যায়।
আরো পড়ুন:
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় মহাজাগতিক রহস্য উন্মোচন, কৃষ্ণগহ্বর ও নক্ষত্র বিস্ফোরণের নতুন আবিষ্কার
গ্রহাণুর প্রভাব কতটা ভয়াবহ হতে পারে?
বিজ্ঞানীদের মতে, ছোট আকারের গ্রহাণু সাধারণত পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করেই পুড়ে যায় এবং উল্কাপাতের মতো দৃশ্য তৈরি করে। কিন্তু বড় গ্রহাণু, বিশেষ করে ১৪০ মিটারের বেশি আকারের যেগুলো পৃথিবীর ৭৪ লাখ কিলোমিটারের মধ্যে আসে, সেগুলোকে ঝুঁকিপূর্ণ ধরা হয়। আর ‘১৯৯৭ কিউকে ১’ আকারে এতটাই বিশাল যে, এটি পৃথিবীতে আঘাত হানলে অঞ্চলভিত্তিক বড় ধরনের ধ্বংসযজ্ঞ ঘটাতে পারে।
আপাতত পৃথিবী নিরাপদ
বর্তমানে গ্রহাণুটি পৃথিবীর জন্য কোনো সরাসরি হুমকি নয়। তবে বিজ্ঞানীরা সতর্ক করেছেন—কোনো মহাকর্ষীয় প্রভাব বা ‘ইয়ারকোভস্কি এফেক্ট’-এর কারণে এর কক্ষপথ পরিবর্তিত হলে ভবিষ্যতে ঝুঁকি তৈরি হতে পারে। তাই নিয়মিত পর্যবেক্ষণ চালিয়ে যাচ্ছে নাসা।
সূত্র: প্রথম আলো