আওয়ামী লীগের তিন সংসদকালীন শাসনামলের নানা অভ্যন্তরীণ ঘটনা নিয়ে সাবেক সংসদ সদস্য ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক একাধিক কাহিনি তুলে ধরেছেন। তাঁর বর্ণনায় উঠে এসেছে ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর শেখ হাসিনার বিস্ময়, মন্ত্রিসভা গঠনের অন্তরাল কাহিনি এবং দলীয় নেতাদের নানা অভিজ্ঞতা।
শেখ হাসিনার অপ্রত্যাশিত জয়
২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিপুল বিজয় ছিল দলের কাছেও বিস্ময়ের। নতুন সংসদের প্রথম বৈঠকে উপস্থিত হয়ে শেখ হাসিনা এমপিদের সংখ্যা দেখে অবাক হয়ে বলেন, “এ-ও কি সম্ভব!” তিনি জানান, এক-এগারোর সময় কারাগারে থাকা অবস্থায় ক্ষমতায় ফেরার স্বপ্ন দেখার সাহসও করেননি। ফলাফল ঘোষণার পর তা তাঁর জন্য ছিল একপ্রকার অলৌকিক ঘটনা।
এক-এগারোর শিক্ষা ও দৃঢ় সংকল্প
ঘটনার বর্ণনায় বলা হয়েছে, শেখ হাসিনা স্পষ্ট করে দেন যে ভবিষ্যতে কারও পরামর্শে নয়, নিজের অভিজ্ঞতা ও রাজনৈতিক বোধের ভিত্তিতেই সরকার পরিচালনা করবেন। এক-এগারোর সময় দলের ভেতরে বিভাজন তাঁর চোখে খুলে দিয়েছিল কে কতটা বিশ্বস্ত।
২০০৯ সালে বঙ্গভবনে মন্ত্রিসভা গঠনের দিন ছিল উত্তেজনায় ভরা। প্রত্যাশিত তালিকায় কারও নাম থাকলে তাঁর মুখে ফুটেছিল আনন্দ, আর নাম না থাকলে হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ পেয়েছিল প্রকাশ্যেই। সেখানে উপস্থিত ছিলেন তৎকালীন প্রবীণ নেতা অ্যাডভোকেট শাহজাহান মিয়া। অনেকে ধারণা করেছিলেন, তিনি জেলা বা বিভাগীয় কোটায় মন্ত্রী হতে পারেন। কিন্তু শেষ মুহূর্তে তালিকায় তাঁর নাম না থাকায় তিনি হতাশ হলেও মেনে নেন বাস্তবতা।
আরো পড়ুন: বাংলাদেশে কোন রাজাকারি স্লোগান শুনতে চাই না: ফজলুর রহমান
বঙ্গভবনের মূল অনুষ্ঠানে কে কোথায় বসবেন তা নিয়েও তৈরি হয়েছিল হাস্যরস ও বিব্রতকর পরিস্থিতি। প্রবীণ নেতাদের মধ্যে কেউ কেউ সামনে বসে টেলিভিশন ক্যামেরায় ধরা পড়ার চেষ্টা করলেও সবসময় সফল হননি। অনুষ্ঠান চলাকালে অনেকেই দাঁড়িয়ে ছবি তোলার সুযোগ নিতে চেয়েছিলেন, আবার কেউ কেউ ঘুমের ভান করে বিব্রতকর পরিস্থিতি এড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন।
লেখকের বর্ণনায় এ পর্যন্ত প্রকাশিত হয়েছে মাত্র দুটি ঘটনা। তিনি জানিয়েছেন, পাঠকের আগ্রহ থাকলে এবং প্রকাশনা কর্তৃপক্ষের অনুমোদন মিললে আওয়ামী লীগের তিন কালের নয়টি গোপন কাহিনির বাকি অংশও প্রকাশ করা হবে।
ডিসক্লেইমার: এই প্রতিবেদনটি সাবেক সংসদ সদস্য ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকের লেখা তথ্যের ভিত্তিতে প্রস্তুত। এখানে প্রকাশিত মতামত সম্পূর্ণই লেখকের ব্যক্তিগত।