ক্রিকেটপ্রেমীরা জানেন, কখনো কখনো ম্যাচের ফল নির্ধারণ হয় ছোট ছোট সিদ্ধান্তেই। দুবাইয়ে এশিয়া কাপের সুপার ফোরে বাংলাদেশ যখন শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হবে, তখন প্রশ্ন উঠেছে পাঁচ নম্বর বোলারের দায়িত্ব কে নেবে? আফগানিস্তান ম্যাচে চারজন বিশেষজ্ঞ বোলারের সঙ্গে পার্টটাইম বোলার হিসেবে সাইফ হাসান ও শামীম হোসেন নামলেও ৪ ওভারে ৫৫ রান খরচ হয়ে গিয়েছিল। তাই এই সিদ্ধান্তের গুরুত্ব স্বাভাবিকভাবেই বেড়ে গেছে।
আফগানিস্তান ম্যাচের শিক্ষা
আবুধাবিতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশ চারজন মূল বোলারের উপর নির্ভর করেছিল নাসুম আহমেদ, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ ও মোস্তাফিজুর রহমান। কিন্তু ৪ ওভারের খরচ ৫৫ রান দিয়ে পার্টটাইম বোলাররা দলের ভারসাম্যকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। বিশেষজ্ঞদের নজরেও এই চিত্র ধরা পড়েছে।
বাংলাদেশ স্কোয়াডে মেহেদী হাসান একমাত্র বিশেষজ্ঞ অফ স্পিনার। শ্রীলঙ্কার মিডল অর্ডারে চারজন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান থাকায় তাঁর ফিরিয়ে আনা সম্ভবত যুক্তিসঙ্গত। নাসুম–মেহেদী জুটি শুরু থেকেই উইকেটে থাকলে স্পিন-ভিত্তিক কন্ডিশনে চাপ সৃষ্টিতে সুবিধা হবে।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গ্রুপ পর্বে ২০ ওভারে বাংলাদেশ তুলতে পেরেছিল মাত্র ১৩৯ রান। আফগানিস্তানের বিপক্ষে চার পরিবর্তন করার ফলে ব্যাটিং শক্তি কিছুটা বাড়লেও শেষ পর্যন্ত পার্টটাইম বোলারদের দিয়ে ৫৫ রান খরচের খেসারত দিতে হয়েছে। তাই প্রশ্ন থেকে যায় একজন ব্যাটিংও করতে পারার বিশেষজ্ঞ বোলার থাকলে দল আরও ভারসাম্যপূর্ণ হতো।
সুপার ফোরের চূড়ান্ত বিবেচনা
সব হিসাব মিলিয়ে দেখা যায়, বাংলাদেশ যদি আবারও পার্টটাইমারদের উপর নির্ভর করে, তবে রান খরচের ঝুঁকি বাড়বে। অন্যদিকে, মেহেদী হাসানকে ফিরিয়ে আনা দলকে কৌশলগত সুবিধা দিতে পারে। নতুন বলের সঙ্গে শুরুতে নাসুম–মেহেদী জুটি আনা হলে প্রতিপক্ষের ব্যাটিং আক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হবে।
আরো পড়ুন :হাসিবুল শান্ত জাতীয় দলের নির্বাচক, প্রথমবার সালমা খাতুন নারীদের নির্বাচক।
শেষ পর্যন্ত সমাধানটি স্পষ্ট দলে বিশেষজ্ঞ বোলারের উপস্থিতি অপরিহার্য। সুপার ফোরে রান রেটই শেষ পর্যন্ত ‘পাস ফেল’ নির্ধারণ করবে। বাংলাদেশ যদি এই বাস্তবতাকে মাথায় রাখে, তাহলে জয়ের পথে আরও দৃঢ় হতে পারবে।