৯ম শ্রেণির ডিজিটাল প্রযুক্তি মূল্যায়ন প্রশ্ন ও উত্তর ২০২৪

ষান্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়ন ৯ম শ্রেণি ডিজিটাল প্রযুক্তি প্রশ্ন ২০২৪

যান্মাষিক সামষ্টিক মূল্যায়ন – 2024

নৰম শ্রেণি

বিষয়: জিটাল প্রযুক্তি শিক্ষার্থীর জন্য নির্দেশনা

প্রকল্পের নাম : ‘সাইবার নিরাপত্তা’ বিষয়ক সচেতনতামূলক তথ্য উপস্থাপন

ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধির সাথে সাথে এর নিরাপত্তা ঝুঁকিও ক্রমাগত বেড়ে চলেছে। এলাকার সাধারণ নাগরিক যারা এ ব্যাপারে সচেতন না তারা বিভিন্ন সময় নানামুখী সমস্যায় পড়ছেন। মোবাইল বা অন্য যেকোন ডিভাইস ব্যবহারে তেমন নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা না থাকায় এলাকার লোকজন প্রায়শঃ সমস্যায় পড়ে ব্যক্তিগত, আর্থিক এমনকি সামাজিক সমস্যায় পড়ছেন। এই বিষয়ে স্থানীয় লোকজনের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য তোমাদের এগিয়ে আসা জরুরি যার একটি চেষ্টা এই প্রকল্পের মাধ্যমে শুরু করতে হবে। সেজন্য তোমাদের বিদ্যালয়ের বার্ষিক সম্মেলন বা অনুষ্ঠানে ‘সাইবার নিরাপত্তা’ বিষয়ে স্থানীয় নাগরিকদের মাঝে সচেতনতা তৈরির প্রস্তুতির লক্ষ্যে চারজনের দলগত একটি সৃজনশীল উপস্থাপনা প্রণয়ন করতে হবে।

Table of Contents

এই উপস্থাপনায় যে বিষয়গুলো তুলে ধরতে হবে তা অবশ্যই হতে হবে শুধুমাত্র তোমাদের এলাকার নাগরিকদের জন্য সাইবার ঝুঁকি সম্পর্কিত নিরাপত্তা বিষয়ক। বিভিন্ন উৎস থেকে তথ্য নিয়ে তার তুলনামলুক বিশ্লেষণ করে কোন কোন ঝুঁকিগুলোর জন্য নিরাপত্তা কৌশলসমূহ তোমাদের উপস্থাপনার জন্য বিবেচনা করবে সেটা বাছাই করতে হবে। প্রতিটি উপস্থাপনার উপর দলভিত্তিক বুকলেট তৈরি করতে হবে যা সম্মেলন বা অনুষ্ঠানের দিন তোমাদের শ্রেণির স্টলে প্রদর্শন করতে হবে। সম্মেলন/অনুষ্ঠানে তোমাদের উপস্থাপনা বিষয়ক একটি প্রচারণার তথ্য স্কুলের গুগল সাইটে প্রদর্শন করতে হবে।

কাজের ধারাবাহিকতা

কাজ ১: নিজ এলাকার নাগরিকদের জন্য সাইবার ঝুঁকি চিহ্নিত করার জন্য সম্ভাব্য সাইবার নিরাপত্তা ঝুঁকিগুলোর নাম ও কতজন কোন ঝুঁকির কথা উল্লেখ করেছে তার উপাত্ত অন্য দলের সদস্যদের নিকট হতে সংগ্রহ করো:

কাজ ১ উত্তরঃ

নিজ এলাকার নাগরিকদের জন্য সাইবার ঝুঁকি চিহ্নিত করে সম্ভাব্য সাইবার নিরাপত্তা ঝুঁকিগুলোর নাম ও কতজন কোন ঝুঁকির কথা উল্লেখ করেছে তার উপাত্ত লেখা হলোঃ

সাইবার নিরাপত্তা ঝুঁকিগুলোর নাম এবং তার উপাত্ত অন্য দলের সদস্যদের নিকট হতে সংগ্রহ করা হয়েছে যেমন নিম্নলিখিত ঝুঁকিগুলো:

১. ফিশিং অ্যাট্যাক (Phishing Attacks): এই ঝুঁকিতে হ্যাকাররা প্রতারণা বা মিথ্যা সম্প্রচারের মাধ্যমে লক্ষ্যবহনের তথ্য অথবা অ্যাকাউন্টের তথ্য লাভ করতে চেষ্টা করে। এটির মাধ্যমে হ্যাকাররা ব্যবহারকারীদের সতর্কতার ব্যতিক্রম করতে পারেন।

২. ম্যালওয়ার (Malware): ম্যালওয়ার হলো কম্পিউটারের সিস্টেমে আক্রমণ করে ক্ষতিকারক প্রোগ্রাম ইনস্টল করার জন্য ব্যবহৃত হয়। এটির মাধ্যমে হ্যাকাররা ব্যবহারকারীর তথ্যের অপরিচিত অ্যাক্সেস অর্জন করতে পারেন।

৩. র্যানসমওয়্যার (Ransomware): এটি হলো একটি ধরনের ম্যালওয়ার যা হ্যাকাররা ব্যবহারকারীর ডেটা বা সিস্টেমের প্রবেশের কোষ্ট প্রতিশোধ হিসাবে অর্জন করতে পারে। এই ধরনের হামলার ফলে ব্যবহারকারীর তথ্য প্রাণান্তিক হয়ে যেতে পারে।

৪. সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং (Social Engineering): এটি হলো মানুষের মনোভাব ব্যবহার করে হ্যাকাররা তথ্য অথবা অ্যাক্সেস অর্জন করার কৌশল ব্যবহার করে লক্ষ্যবহনের চেষ্টা করতে পারে।

এই ঝুঁকিগুলো সাধারণত ব্যবহারকারীর তথ্য লুকানো বা তথ্যের অপরিচিত অ্যাক্সেস অর্জনের জন্য ব্যবহৃত হয়। এই ধরণের ঝুঁকি বিশেষভাবে প্রাথমিক জানতে হয় এবং সাইবার নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত।

কতজন কোন ঝুঁকির কথা উল্লেখ করেছে তা হলোঃ

মনে করি আমাদের বিষয় কোন ধরনের ঝুকির মুখে পড়েছে।

ব্যক্তি ১: আপনি কোন ধরনের ঝুকির মুখে পড়েছেন?

উত্তর: ফিশিং অ্যাট্যাক

ব্যক্তি ২: আপনি কোন ধরনের ঝুকির মুখে পড়েছেন?

উত্তর: ম্যালওয়ার

ব্যক্তি ৩: আপনি কোন ধরনের ঝুকির মুখে পড়েছেন?

উত্তর: রার্নসমওয়‍্যার

ব্যক্তি ৪: আপনি কোন ধরনের ঝুকির মুখে পড়েছেন?

উত্তর: সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং

ব্যক্তি ৫: আপনি কোন ধরনের ঝুকির মুখে পড়েছেন?

উত্তর: ম্যালওয়ার

কাজ ২: ঝুঁকিগুলোকে ১, ২, ৩… ক্রমানুসারে রূপান্তর করে সংগৃহিত উপাত্তের ভিত্তিতে নিচের নমুনার মতো স্প্রেডশীটে উল্লেখ করে ফর্মুলা ব্যবহার করে শতকরা কজন কোন সাইবার নিরাপত্তার ঝুঁকি চিহ্নিত করেছে এবং শতকরার অন্য একটি বার চার্ট বা পাই চার্ট বের করবে:

কাজ ২ উত্তরঃ

শতকরা কতজন কোন সাইবার নিরাপত্তার ঝুঁকি চিহ্নিত করেছে এবং শতকরার জন্য একটি বার চার্ট বা পাই চার্ট:

কাজ ৩: এই চার্ট হতে সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে কোন কোন সাইবার ঝুঁকির জন্য তোমাদের এলাকার নাগরিকদের সচেতনতা প্রযোজন;

কাজ ৩ উত্তরঃ

তোমাদের এলাকার নাগরিকদের জন্য প্রধান সাইবার ঝুঁকির জন্য সচেতনতা প্রযোজন হতে পারে:

১. ফিশিং হামলা (Phishing Attacks): এই ধরণের হামলার মাধ্যমে হ্যাকাররা মেসেজ, ইমেল, বা সামাজিক মাধ্যমে প্রেরিত মেসেজ ব্যবহার করে ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য অপরিচিতের হাতে পৌঁছানোর চেষ্টা করে। ব্যবহারকারীদের এই প্রকার হামলার প্রতি সচেতন হওয়া উচিত এবং প্রেরকের পরিচিতি এবং মেসেজের গুরুত্ব মূল্যায়ন করতে হবে।

২. ম্যালওয়ার হামলা (Malware Attacks): এই ধরণের হামলার মাধ্যমে হ্যাকাররা ব্যবহারকারীদের কম্পিউটারে ম্যালওয়ার ইনস্টল করে দিতে পারে যা তাদের ব্যক্তিগত তথ্য অপরিচিতের হাতে পৌঁছাতে সক্ষম হতে পারে। ব্যবহারকারীদের এই ধরণের হামলার প্রতি সচেতন হওয়া উচিত এবং অজানা সোর্স থেকে কোনো ধরণের সফটওয়্যার ইনস্টল না করার জন্য নির্দেশনা পাওয়া উচিত।

৩. রানসমওয়্যার হামলা (Ransomware Attacks): এই ধরণের হামলার মাধ্যমে হ্যাকাররা ব্যবহারকারীর তথ্য বা সিস্টেম ব্লক করে দিতে পারে এবং রাজস্বের মূল্য বলে দেওয়া হতে পারে। এই প্রকার হামলার প্রতি সচেতনতা এবং প্রতিরক্ষা করার জন্য ব্যবহারকারীদের এনক্রিপ্ট করা ডেটা ও ফাইলের ব্যাকআপ রাখা উচিত।

৪. সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং হামলা (Social Engineering Attacks): এই ধরণের হামলার মাধ্যমে হ্যাকাররা ব্যবহারকারীদের বিশ্বাস জিতে তাদের থেকে তথ্য অথবা সিস্টেমে প্রবেশ পাওয়ার চেষ্টা করে। এই প্রকার হামলার প্রতি সচেতনতা এবং প্রতিরক্ষা করার জন্য ব্যবহারকারীদের সতর্ক থাকা ও অজানা সোর্স থেকে প্রাপ্ত অনুরোধ বা তথ্য না দেওয়ার জন্য সমর্থন দেওয়া উচিত।

এই সমস্যাগুলির প্রতি সচেতনতা ও প্রতিরক্ষা করার মাধ্যমে নাগরিকদের এলাকার নিরাপত্তা বাড়ানো যায়।

কাজ ৪: সাইবার ঝুঁকিগুলোর জন্য কী কী সামাজিক প্রভাব পড়তে পারে সেগুলো দলের সদস্যদের মধ্যে আলোচনা করে চিহ্নিত করো।

কাজ ৪ উত্তরঃ

সাইবার ঝুঁকিগুলোর জন্য সামাজিক প্রভাব হতে পারে অনেকগুলো বিষয়ের উপর ভিত্তি করে। নিচে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উল্লেখ করা হলো:

১. মানসিক স্বাস্থ্য এবং ভীতির প্রভাব: সাইবার হামলার মাধ্যমে ব্যক্তিগত তথ্য লিক হওয়ার ফলে ভীতির ভাবনা ও মনস্তাত্তিক সমস্যা তৈরি হতে পারে। সাইবার বুলি এবং হুমকির কারণে ব্যক্তি একমাত্র অথবা সম্প্রতি হামলার জন্য বা তার অনুভূতির জন্য অনুসন্ধান করতে বিশেষ ধরণের অভিজ্ঞতা অর্জিত করতে পারে।

২. সামাজিক সম্পর্ক এবং পরিবার জীবন: ব্যক্তিগত তথ্য লিকের ফলে সাইবার হামলার জন্য ব্যক্তিগত সামাজিক সম্পর্ক প্রভাবিত হতে পারে। এটি পরিবার জীবনের জন্য দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব সৃষ্টি করতে পারে এবং অভিভাবক এবং অন্যান্য সম্প্রদায়ের সদস্যদের মধ্যে ভেঙ্গে যাওয়ার ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারে।

৩. অর্থনৈতিক প্রভাব: সাইবার হামলার জন্য অসুবিধা প্রভাবিত হওয়া প্রতিষ্ঠানের অর্থনৈতিক অবস্থার জন্য দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব তৈরি হতে পারে। এটি নির্ভুল অর্থনৈতিক সহানুভূতি এবং কর্মসংস্থানের অভিভাবকের সাথে সম্পর্ক প্রভাবিত হতে পারে এবং অনুসারীর মধ্যে ভেঙ্গে যাওয়ার ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারে।

কাজ ৫: প্রতিটি সাইবার ঝুঁকি হতে নিরাপদ থাকার সম্ভাব্য কৌশল কী কী হতে পারে সেগুলো নিজ দলে আলোচনা, অন্যদলের সদস্যদের সাক্ষাৎকার ও সুযোগ থাকলে ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহ করে সেই তথ্যগুলো খাতার কাগজে নিচের ছকের মতো করে নিজ নিজ খাতায় লিখো;

কাজ ৫ উত্তরঃ

শক্তিশালী পাসওয়ার্ড এবং মাল্টি-ফ্যাক্টর প্রমাণীকরণ: কর্মীদের শক্তিশালী, অনন্য পাসওয়ার্ড ব্যবহার করতে এবং লগইনগুলিতে নিরাপত্তার একটি অতিরিক্ত স্তর যোগ করতে মাল্টি-ফ্যাক্টর প্রমাণীকরণ প্রযোগ করতে উৎসাহিত করুন।

নিয়মিত ডেটা ব্যাকআপ: নিয়মিতভাবে গুরুত্বপূর্ণ ডেটা ব্যাক আপ করুন এবং এটি একটি নিরাপদ স্থানে সংরক্ষণ করুন, যাতে সাইবার-আক্রমণ বা ডেটা হারানোর ঘটনায় ব্যবসাটি দ্রুত তার ডেটা পুনরুদ্ধার করতে পারে।

নেটওয়ার্ক বিভাজন: নেটওয়ার্কের কম সুরক্ষিত এলাকা থেকে সংবেদনশীল ডেটা এবং সিস্টেমগুলিকে আলাদা করার জন্য নেটওয়ার্ক বিভাজন প্রযোগ করুন, আক্রমণকারীদের জন্য নেটওয়ার্ক জুড়ে পার্শ্বীয়ভাবে সরানো আরও কঠিন করে তোলে।

নিয়মিত সফ্টওয়্যার আপডেট এবং প্যাচ: সমস্ত সফ্টওয়্যার এবং সিস্টেমগুলিকে সর্বশেষ সুরক্ষা প্যাচ এবং আপডেটগুলির সাথে আপ টু ডেট রাখুন যাতে পরিচিত দুর্বলতাগুলিকে কাজে লাগাতে না পারে।

কম্পিউটার সুরক্ষা: এন্টিভাইরাস/এন্টি মালওয়্যার সফটওয়্যার ব্যবহার করুন এবং এটি সম্পর্কে সময়ে সময়ে আপডেট করুন। ফাইরওয়াল সফটওয়্যার ব্যবহার করুন যাতে আপনার কম্পিউটারের ইন্টারনেট সংযোগ রক্ষিত থাকে।

সোশ্যাল মিডিয়া সুরক্ষা: সক্রিয় থাকার পরিবর্তে অন্য নিরাপদ সোশ্যাল মিডিয়া প্রকৃতি ব্যবহার করুন। অজানা ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধ সতর্ক থাকুন এবং প্রাসঙ্গিক ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ না করুন।

ডাটা নিরাপত্তা: গোপনীয়তা রক্ষা করতে সব সময় ক্রিপ্টোগ্রাফি ব্যবহার করুন যেমন এনক্রিপ্টেড কনফিগারেশন অথবা সন্ধান ইত্যাদি।

কর্মচারী প্রশিক্ষণ: একটি ব্যবসার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপগুলির মধ্যে একটি হল ফিশিং ইমেল এবং সন্দেহজনক ওয়েবসাইটগুলির মতো সম্ভাব্য নিরাপত্তা হুমকিগুলি সনাক্ত এবং এড়ানোর বিষয়ে তার কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া।

অ্যাক্সেস নিয়ন্ত্রণ: কর্মচারীদের তাদের কাজের প্রযোজনীয়তার উপর ভিত্তি করে সংবেদনশীল ডেটা এবং সিস্টেমে অ্যাক্সেস সীমিত করুন এবং একটি ন্যূনতম বিশেষাধিকার নীতি প্রযোগ করুন, যেখানে কর্মচারীদের শুধুমাত্র তাদের কাজের দায়িত্ব পালনের জন্য প্রযোজনীয় ন্যূনতম স্তরের তথ্যে অ্যাক্সেস থাকে।

নিয়মিত সফ্টওয়্যার আপডেট এবং প্যাচ: সমস্ত সফ্টওয়্যার এবং সিস্টেমগুলিকে

সর্বশেষ সুরক্ষা প্যাচ এবং আপডেটগুলির সাথে আপ টু ডেট রাখুন যাতে পরিচিত দুর্বলতাগুলিকে কাজে লাগাতে না পারে।

কাজ ৬: প্রতিটি ঝুঁকির জন্য একটি করে স্লাইড বা পোস্টার তৈরি করতে হবে। দলের প্রত্যেকে একটি করে ঝুঁকি বেছে নিতে হবে যেন ঐ ঝুঁকির প্রভাব ও তা হতে নিরাপদ থাকার কৌশলসমূহের তথ্য নিয়ে স্লাইড বা পোস্টার তৈরি করতে হবে।

কাজ ৬ উত্তরঃ

আমাদের বাছাইকরা ঝুঁকিসমূহ:

১. ফিশিং অ্যাট্যাক।

২. ম্যালওয়ার।

৩. হ্যাকিং।

৪. রানসামওয়ার।

৫. সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং।

ফিশিং অ্যাট্যাকের ঝুঁকির প্রভাব ও তা হতে নিরাপদ থাকার কৌশলসমূহ:

ফিশিং অ্যাট্যাকের ঝুঁকির প্রভাব অনেকগুলো হতে পারে যেমন:

• ব্যক্তিগত তথ্য অপসারণ: ফিশিং হ্যাকাররা আপনার ব্যক্তিগত তথ্য প্রাপ্ত করতে পারে, যেমন ব্যবহারকারীর নাম, পাসওয়ার্ড, ইমেইল ঠিকানা, ফোন নম্বর, ব্যাংক একাউন্ট তথ্য ইত্যাদি। এই তথ্য ব্যবহার করে হ্যাকাররা অন্যান্য প্রতারকদের সাথে সন্ধান সংবাদ করতে পারে বা অস্তিত্ব অধিগ্রহণ করতে পারে।

• আর্থিক হানি: ফিশিং হ্যাকাররা আপনার অ্যাকাউন্ট অথবা অনলাইন অর্থ লেনদেনের তথ্য প্রাপ্ত করে আর্থিক হানি করতে পারে। এটি আপনার জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর হতে পারে এবং আপনার অর্থ লুকিয়ে ফেলতে পারে।
ফেক ওয়েবসাইট এবং ম্যালওয়্যার ইনস্টলেশন: ফিশিং হ্যাকাররা ফেক ওয়েবসাইট তৈরি করে ব্যবহারকারীদেরকে প্রাপ্ত তথ্য প্রদান করার জন্য প্রেরণ করতে পারেন।

এই ওয়েবসাইট বাংলাদেশফিশিং অ্যাট্যাক হতে নিরাপদ থাকার কৌশল:

• সন্দেহজনক ইমেইল এবং লিংক থেকে দূরে থাকুন: আপনি যদি একটি ইমেইল বা লিংক পেয়ে থাকেন যা অস্বীকৃত অনুরোধ বা সন্দেহজনক লাগতে পারে, তবে সেগুলি চালানোর আগে সতর্কতা অবলম্বন করুন।ম্যালওয়ার অ্যাট্যাক ঝুঁকির প্রভাব ও তা হতে নিরাপদ থাকার কৌশল:

ম্যালওয়্যার অ্যাট্যাক হলো এমন অপরাধ যা ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের অন্ধকার রুপে আঘাত হয়ে থাকে। এটি হ্যাকারদের সাধারণত তথ্য পেতে, প্রাইভেট তথ্য চুরি করতে, অর্থনৈতিক সংকট সৃষ্টি করতে ব্যবহৃত হয়। ম্যালওয়্যার ব্যবহার করে হ্যাকাররা ব্যবহারকারীদের ডিভাইসে অনিয়ন্ত্রিত অ্যাক্সেস অর্জন করতে পারে এবং তাদের ব্যক্তিগত তথ্য উদ্ধার করতে পারে।ম্যালওয়্যার থেকে নিরাপদ থাকতে নিচের কৌশলগুলি অনুসরণ করা যেতে পারে:

(১) সঠিক এন্টিভাইরাস ও সেকিউরিটি সফটওয়্যার ব্যবহার করা: এন্টিভাইরাস এবং অন্যান্য সেকিউরিটি সফটওয়্যার ইনস্টল করুন এবং নিয়মিতভাবে আপডেট করুন। এই সফটওয়্যার গুলি অন্যদের দ্বারা অনুশীলিত ম্যালওয়্যারের পরিচিত স্বাক্ষরগুলি অনুসরণ করে এবং আপনার ডিভাইসে যে কোনও অস্থিরতা সনাক্ত করতে সাহায্য করে।

(২) সুরক্ষা আপডেট রাখুন: আপনার অপারেটিং সিস্টেম, ব্রাউজার, অ্যাপসগুলি এবং অন্যান্য সফটওয়্যার গুলি নিয়মিতভাবে আপডেট করুন। নতুন সিকিউরিটি প্যাচ এবং মোডিফিকেশনগুলি নিয়ন্ত্রণ করা হয় যা ম্যালওয়্যার অ্যাট্যাকের ঝুঁকিগুলি মোকাবেলা করতে সাহায্য করে।

(৩) পপ-আপ ব্লকার এবং ব্রাউজার সিকিউরিটি সেটিংস: এই সেটিংগুলি সক্রিয় রাখুন যাতে আপনি অনিচ্ছাকৃত ওযেবসাইটগুলির থেকে পপ-আপ এবং অন্যান্য সনাক্তকরণ অত্যাহার করতে পারেন না।৪. সুরক্ষিত ইন্টারনেট ব্রাউজিং প্রথা: অজানা ওয়েবসাইটগুলি থেকে বিরত থাকুন এবং কেবল সতর্কতার সাথে ফাইল ডাউনলোড করুন।

(৫) সতর্কতা সম্পর্কে শিক্ষিত হন: সামগ্রিক অনলাইন সুরক্ষা সম্পর্কে আপনার জ্ঞান প্রসারিত করুন এবং ম্যালওয়্যার অ্যাট্যাকের পরিচিতি করার জন্য আপনার কোম্পিউটারের সুরক্ষা নিয়ে সাধারণ জ্ঞান অর্জন করুন।

(৬) সংগ্রহস্থল অনুসন্ধান এবং ব্যবহার: সংগ্রহস্থলের জন্য সুরক্ষিত সম্প্রসারণ ব্যবহার করুন এবং অবশ্যই স্বীকৃতি থাকলেই এবং অনিচ্ছাকৃত অ্যাক্সেসের থেকে বিরত থাকুন। এগুলি সবসময় মনে রাখবেন যা ম্যালওয়্যার অ্যাট্যাক থেকে নিরাপদ থাকার কৌশলগুলি বোঝানোর জন্য।

হ্যাকিং অ্যাট্যাক ঝুঁকির প্রভাব ও তা হতে নিরাপদ থাকার কৌশল:

হ্যাকিং অ্যাট্যাক হলো এমন অপরাধ যা হ্যাকাররা বিভিন্ন উদ্দেশ্যে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের অপরাধগ্রস্ত করতে পারেন, যেমন ব্যক্তিগত তথ্য চুরি, অর্থনৈতিক সংকট সৃষ্টি, প্রতিষ্ঠানের তথ্য লিক ইত্যাদি। এই অপরাধটির পরিণাম হতে পারে কোনও গুরুত্বপূর্ণ সুরক্ষা সোজা হতে পারে।

হ্যাকিং অ্যাট্যাক থেকে নিরাপদ থাকার কৌশলগুলি হলো:

১. কম্পিউটার সুরক্ষা সুরক্ষা: আপনার কম্পিউটারের জন্য শক্তিশালী এন্টিভাইরাস এবং এন্টি-মালওয়্যার সফটওয়্যার ইনস্টল করুন এবং নিয়মিতভাবে আপডেট করুন। এটি ম্যালওয়্যার এবং অন্যান্য প্রতিক্রিয়াশী কোডের সনাক্তকরণ করতে সাহায্য করে।

২. সুরক্ষার জন্য স্থানীয় নেটওয়ার্ক অনুপ্রবেশ সীমাবদ্ধ রাখুন**: আপনার হোম নেটওয়ার্ক সুরক্ষার জন্য সীমাবদ্ধ রাখুন। সুরক্ষার জন্য একটি শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন এবং আপনার রাউটারের মাধ্যমে অতিরিক্ত সুরক্ষা প্রকাশ করুন।

৩. প্রাইভেট তথ্য পরিচালনা: মোবাইল ফোন নম্বর, ইমেইল ঠিকানা, ব্যক্তিগত তথ্য ইত্যাদি যেসব তথ্য সামগ্রীর ক্ষেত্রে আপনার নিরাপত্তা জন্য জরুরি হয়। এই তথ্য প্রকাশ করা হোক না যেন হ্যাকাররা এগুলি সহজেই অ্যাক্সেস করতে পারে।

৪. সময়ের প্রশাসন: প্রতিদিনের কাজের পর্যায়ে অপারেটিং সিস্টেম, অ্যাপ্লিকেশন এবং ব্রাউজার নিয়মিত ভাবে আপডেট করুন। প্রতিদিনের মুহূর্তে অ্যাপসগুলি যেন একটি সমযের কোনও অনুমতি পাওয়া না হয় সম্ভব।

৫. বিশ্বস্ত ওয়েবসাইটগুলি ব্যবহার করুন**: আপনি প্রায় শপিং, ব্যাঙ্কিং এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অনলাইন কাজ করার সময় সবসময় বিশ্বস্ত ওয়েবসাইটগুলি ব্যবহার করুন। একটি ভয়াবহ সাইটে প্রবেশ করবার আগে সাইটটির ভেরিফিকেশন করুন।

৬.) ফিশিং প্রতিরোধ করুন: ফিশিং হলো অনলাইনে ম্যাসেজ স্পেসিফিক হোস্ট করে যা আপনার কাজ করতে পারে।

রানসামওয়ার ঝুঁকির প্রভাব ও তা হতে নিরাপদ থাকার কৌশল:

রানসামওয়ার (ransomware) একটি ধরনের ম্যালওয়্যার যা হ্যাকাররা ব্যবহার করে ডাটা এনক্রিপ্ট করে রাখতে পারে এবং তাদের বিরুদ্ধে মুক্তির দাবি করতে পারে। যখন একটি সিস্টেমে রানসামওয়ার সক্রিয় হয়, তখন সেই সিস্টেমের তথ্য এনক্রিপ্ট হয়ে থাকে এবং ব্যবহারকারীদের সহজেই সে তথ্যে অ্যাক্সেস প্রাপ্ত হয় না। হ্যাকাররা তাদের দাবি মেনে নিতে বলে একটি ফি অথবা রানসম প্রদান করতে বলে।

কিছু সহজ কৌশল হলো:

১. ব্যবহারকারীর শিক্ষা: সচেতন থাকুন ফিশিং ইমেইল এবং অজানা সোর্স থেকে ডাউনলোড বা ক্লিক করা সম্ভব হতে পারে।

২. ডেটা ব্যাকআপ: গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এবং ডেটা নির্দিষ্ট সময়ে পর্যালোচনা করুন এবং নির্ধারিত ব্যাকআপ করুন।

৩. সুরক্ষিত সফটওয়্যার: অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার ইনস্টল করুন এবং নির্দিষ্ট সমযে আপডেট করুন।

৪. সময়ের নয়ন: আপনার অপারেটিং সিস্টেম, অ্যাপ্লিকেশন এবং ব্রাউজার নির্ধারিত সময় পর্যন্ত আপডেট করুন।

৫. ব্যবহারকারীর প্রশিক্ষণ: সাধারণ ব্যবহারকারীদের জন্য প্রশিক্ষণ দিতে সমর্থ হন যাতে তারা ফিশিং ইমেইল এবং অন্যান্য সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ট্রিক বিষয়ে সচেতন থাকেন।

সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং প্রভাব ও তা হতে নিরাপদ থাকার কৌশল

সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং হলো এমন একটি তথ্য অনুদান বা মস্তিষ্কবিদ্ধ কৌশল যা হ্যাকাররা ব্যবহার করে ব্যবহারকারীদেরকে ভুল ধারণায় প্রেরণ করতে পারে। এর মাধ্যমে তারা সাধারণত ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করতে সক্ষম হন, যেমন ব্যক্তিগত তথ্য, অ্যাকাউন্ট তথ্য, বা আরও গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের গোপনীয় তথ্য।

সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে নিরাপদ থাকার কিছু সহজ কৌশল হলো:

১. সতর্কতা ও সচেতনতা: সামাজিক যোগাযোগে সব সময় সতর্ক থাকুন। অজানা মোবাইল নম্বর, ইমেইল বা অন্যান্য ব্যক্তিগত তথ্য দিয়ে যেকোনো অজানা প্রকল্পে প্রবেশ করবেন না।

২. দূরদর্শী হোন: আপনার একক তথ্য শতর্কতা অধিকতর পর্যাপ্ত কিন্তু অন্য ব্যক্তিদের সঙ্গে তথ্য ভাগ করার জন্য স্বাবলম্বী।

৩. বিশ্বস্ততা সনাক্ত করুন: যখন সম্ভব, কোনও বিশ্বস্ত ওয়েবসাইট বা সেবা ব্যবহার করুন। এটি সাইটের ভেরিফিকেশন এবং সম্ভবত সবচেয়ে বাস্তবায়িত সংস্করণটি ব্যবহার করা হোক।

৪. সাধারণ কাজ হলে সাধারণ সতর্কতা: যখন কেউ অপ্রযোজনীয়ভাবে ব্যবহার করে বা অপ্রযোজনীয় তথ্য চায়, তখন সতর্ক থাকুন এবং প্রশ্ন করুন।

৫. স্বতন্ত্র সোসাল মিডিয়া প্রোফাইল: অত্যন্ত গোপনীয়তা মেনে রাখুন এবং কেবল পরিচিত ব্যক্তিদের সাথে তথ্য ভাগ করুন।

এই সহজ কৌশলগুলি মস্তিষ্কবিদ্ধ কৌশল থেকে নিরাপদ থাকার জন্য সাহায্য করতে পারে।

কাজ ৭: সকল তথ্য, ছবি, চার্ট, ইনফোগ্রাফ, ভিডিও, সাক্ষাৎকার ইত্যাদি দিয়ে একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি এডিট করার ক্ষেত্রে নিচের সফটওয়্যারের স্ক্রীনশটে ভিডিও এডিটিং টুলগুলো ব্যবহারের ধারাবাহিকতা চিহ্নিত করে সংখ্যার ক্রমানুসারে চিহ্নিত করে দেখাতে হবে। সেই ক্রমানুসারে ভিডিও এডিট করার ধাপগুলো ফ্লোচার্ট নিজ নিজ খাতায় উল্লেখ কর।

কাজ ৭ উত্তরঃ

১. Camtasia ডাউনলোড এবং ইনস্টল

  • ডাউনলোড় ও ইনস্টল: Camtasia সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করুন এবং কম্পিউটারে ইনস্টল করুন।

২. নতুন প্রজেক্ট তৈরি

  • Camtasia ওপেন করুন: সফটওয়্যারটি ওপেন করে নতুন প্রজেক্ট তৈরি করুন।
  • মিডিয়া ইম্পোর্ট: আপনার এডিট করতে চাওয়া ভিডিও বা অডিও ফাইলগুলি ইম্পোর্ট করুন।

৩. টাইমলাইনে মিডিয়া যোগ করা

  • ড্যাগ ও ড্রপ: ইম্পোর্ট করা মিডিয়া ফাইলগুলি টাইমলাইনে ড্রাগ ও ড্রপ করুন।

৪. ভিডিও এডিটিং

  • ক্লিপ কাটাঃ টাইমলাইনে ক্লিপ সিলেক্ট করে কাঁচি আইকন ব্যবহার করে ক্লিপ কাটুন।
  • ট্রিমিং: ক্লিপের শুরু বা শেষ থেকে মাউস দিয়ে ড্রাগ করে ট্রিম করুন।
  • স্পিট: নিদিষ্ট জায়গায় ক্লিপটি স্পিট করতে “S” বাটন চাপুন।

৫. অডিও এডিটিং

  • ভলিউম অ্যাডজাস্ট: অডিও ক্লিপ সিলেক্ট করে ভলিউম বাড়ানো বা কমানোর জন্য স্লাইডার ব্যবহার করুন।
  • ফেড ইন/আউট: অডিও ক্লিপের শুরুতে বা শেষে ফেড ইন/আউট ইফেক্ট যোগ করুন।

(৬) ট্রানজিশন এবং ইফেক্টস যোগ করা

  • ট্রানজিশন: “Transitions” ট্যাব থেকে পছন্দের ট্রানজিশন ইফেক্ট টাইমলাইনে ক্লিপের মাঝে ড্রাগ ও ড্রপ করুন।
  • ইফেক্টস: “Visual Effects” ট্যাব থেকে পছন্দের ইফেক্ট ক্লিপে অ্যাপ্লাই করুন।

(৭) টেক্সট এবং অ্যানিমেশন যোগ করা

  • টেক্সট: “Annotations” ট্যাব থেকে টেক্সট বক্স টাইমলাইনে ড্রাগ করুন এবং টেক্সট লিখুন।
  • অ্যানিমেশন: “Animations” ট্যাব থেকে পছন্দের অ্যানিমেশন ক্লিপে অ্যাপ্লাই করুন।

৮. প্রিভিউ এবং ফাইনাল টাচ

  • প্রিভিউ: “Play” বাটন চেপে সম্পূর্ণ ভিডিওটি প্রিভিউ করুন।
  • ফাইনাল টাচ: যদি কোন সংশোধন প্রযোজন হয়, তাহলে সেটি সম্পন্ন করুন।

৯. ভিডিও এক্সপোর্ট করা

  • শেয়ার: “Share” বাটন চেপে “Local File” সিলেক্ট করুন।
  • এক্সপোর্ট সেটিংস: এক্সপোর্ট সেটিংস সেট করুন (ফাইল ফরম্যাট, রেজোলিউশন ইত্যাদি) এবং “Next” চাপুন।
  • ফাইনাল এক্সপোর্ট: “Finish” বাটন চেপে ভিডিও ফাইল এক্সপোর্ট করুন।
কাজ ৮: সম্মেলন/অনুষ্ঠানে তোমাদের উপস্থাপনা বিষয়ক একটি প্রচারণার নোটিশ স্কুলের গুগল সাইটে প্রকাশ করো অথবা ধাপসমূহ খাতায় লিখো

কাজ ৮ উত্তরঃ

১. গুগল সাইটে লগইন করা

• গুগল সাইটে লগইন করুন: আপনার গুগল অ্যাকাউন্ট দিয়ে Google Sites এ লগইন করুন।

২. স্কুলের সাইট খুলুন

• সাইট সিলেক্ট করুন: আপনার স্কুলের সাইটটি সিলেক্ট করুন, যেখানে নোটিশটি প্রকাশ করতে চান।

৩. পেজ নির্বাচন বা তৈরি করা

• পেজ নির্বাচন করুন: যদি আগে থেকেই একটি “নোটিশ বোর্ড” বা “ঘোষণা” পেজ থাকে, তাহলে সেটি খুলুন।

• নতুন পেজ তৈরি করুন: যদি না থাকে, তাহলে একটি নতুন পেজ তৈরি করুন। এর জন্য:

• Insert ট্যাবে যান: গুগল সাইটের ডানদিকে Insert ট্যাবে ক্লিক করুন।

• Text Box যোগ করুন: Text Box আইকনে ক্লিক করে একটি নতুন টেক্সট বক্স যোগ করুন।

• নামকরণ করুন: নতুন পেজের নাম দিন, যেমন “সম্মেলন/অনুষ্ঠানের নোটিশ”।

৪. নোটিশের তথ্য যোগ করা

• শিরোনাম যোগ করুন: Text Box এ নোটিশের শিরোনাম লিখুন, যেমন “সম্মেলন/অনুষ্ঠানে আমাদের উপস্থাপনা সম্পকে নোটিশ”।

• বিস্তারিত তথ্য লিখুন: নোটিশের মধ্যে নিচের বিষয়গুলি লিখুন: • উপস্থাপনার বিষয়: “সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ে সচেতনতা”

০ তারিখ এবং সময়: উপস্থাপনার তারিখ এবং সময় উল্লেখ করুন।

• স্থান: সম্মেলন/অনুষ্ঠানের স্থান উল্লেখ করুন।

• যোগাযোগ তথ্য: যদি কোন প্রশ্ন থাকে, তাহলে যোগাযোগের তথ্য দিন।

৫) নোটিশটি স্টাইল করা

• ফরম্যাটিং: টেক্সট হাইলাইট করে ফন্ট সাইজ, কালার, এবং স্টাইল পরিবর্তন করুন।

• ইমেজ যোগ করুন: যদি প্রযোজন হয়, তাহলে Insert ট্যাব থেকে ইমেজ যোগ করুন যা উপস্থাপনার সাথে সম্পর্কিত হতে পারে।

. নোটিশটি প্রকাশ করা

• Publish বাটনে ক্লিক করুন: পেজের উপরের ডানদিকে থাকা “Publish” বাটনে ক্লিক করুন।

• URL চেক করুন: নিশ্চিত করুন যে সাইটের URL সঠিক এবং শেয়ারিং সেটিংস পাবলিক করা হয়েছে।

৭. নোটিশটি শেয়ার করা

• শেয়ার লিঙ্ক কপি করুন: প্রকাশিত পেজের লিঙ্ক কপি করুন।

• ইমেইল বা সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন: লিঙ্কটি ইমেইল বা স্কুলের সোশ্যাল মিডিয়া পেজে শেয়ার করুন।

কাজ ৯: পোস্টার ও ভিডিও প্রস্তুতিতে ব্যবহৃত তথ্য ও মিডিয়ার ক্ষেত্রে মেধাসত্ত্ব বা কপিরাইট সংরক্ষণ করতে হবে। এজন্য তোমার ভিডিওর ক্ষেত্রে মেধাসত্ত্বের কোন কোন বিষয়গুলো প্রযোজ্য তা যুক্তিসহ লিখ।

কাজ ৯ উত্তরঃ

পোস্টার এবং ভিডিও প্রস্তুতিতে ব্যবহৃত তথ্য এবং মিডিয়ার ক্ষেত্রে মেধাসত্ত্ব বা কপিরাইট সংরক্ষণ করতে অনেকটাই গুরুত্বপূর্ণ। এটি কোনও ধরনের ক্রিয়াকলাপ, যেমন ছবি, ভিডিও কন্টেন্ট, লেখা, গান, ছবি, অথবা অন্য কোনও সৃষ্টির অধিকার বা সংরক্ষণের কাজ।

কপিরাইট সংরক্ষণের জন্য অনুসরণীয় কিছু ধাপ:

১. ব্যবহারের অনুমতি: অন্য কাউরো কাজ ব্যবহার করার আগে, আপনাকে তাদের অনুমতি প্রাপ্ত করতে হবে। এটা সাধারণত লেখকের সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে করা হয়।

২. অধিকার সংকেত: আপনার সৃষ্টির প্রতিটি পোস্টার বা ভিডিওতে কপিরাইট সংকেত দেওয়া উচিত। এটি আমাদেরকে বুঝিয়ে দেয় যে আপনি আপনার কাজের একান্ত নিজ অধিকার।

৩. ব্যবহারের শর্ত: যেখানে প্রযোজ্য, ব্যবহারের শর্ত স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা উচিত। এটি ব্যবহারকারীদের জানিয়ে দেয় যে কোন পরিবর্তন বা ব্যবহারের পূর্বানুমতি ছাড়া সাম্প্রতিক নীতি বা আইন দ্বারা দৃষ্টিগত হতে পারে।

৪. যোগাযোগ: আপনি যদি কোনও কপিরাইট সম্পর্কিত প্রশ্ন বা অনুমতি প্রাপ্ত করার প্রযোজন হয়, তাদের যোগাযোগ করার জন্য পূর্বাবস্থা করতে পারেন।

পোস্টার এবং ভিডিও তৈরির পরে কি করবেন:

• সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের জন্য কোনও অভিযোগ বা বিচারের সম্ভাব্য ক্ষেত্রে কপিরাইট সংরক্ষণ সুনিদিষ্ট করতে সম্ভবটি বিবেচনা করা উচিত।

কাজ ১০: প্রত্যেকে যার যার খাতায় আজকের প্রজেক্টে দলের সদস্য হিসেবে নিজের দ্বারা সম্পন্নকৃত কাজগুলো উল্লেখ করো।

কাজ ১০ উত্তরঃ

তুমি আজকে যা যা করেছো তা লিখতে হবে……

Post Share Now

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

1 Comment