islami bank dual currency prepaid card – ইসলামী ব্যাংক ডুয়েল কারেন্সি কার্ড
ইসলামী ব্যাংকের ডুয়েল কারেন্সি ভিসা লোগোযুক্ত প্রিপেইড কার্ড নেওয়ার জন্য অনেকেই আগ্রহ রয়েছে। কারণ এই কার্ডটি সম্পূর্ণ ফ্রিতে নেওয়া যাবে। তাই সবাই এই কার্ডটি ব্যবহার করার জন্য নিতে চাচ্ছে।
আপনি যদি ইসলামী ব্যাংকের ডুয়েল কারেন্সি প্রিপারেট কার্ডের ভিসাযুক্ত লোগো এই কার্ডটি নিতে চান। তাহলে কিন্তু আপনি ইসলামী ব্যাংকের কোন এজেন্ট থেকে এই কার্ডটি ইস্যু করতে পারবেন না। আপনি যদি এই কাজটি ইস্যু করতে চান তাহলে আপনাকে ইসলামী ব্যাংকের উপ শাখা অথবা ব্রাঞ্চ থেকে আপনাকে এই কার্ডটি ইস্যু করতে হবে।
ইসলামী ব্যাংকের ডুয়েল কারেন্সি প্রিপেইড কার্ড নেওয়ার জন্য কি কি লাগবে?
যিনি কার্ড নিবেন শুধুমাত্র তার
১. জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি অথবা পাসপোর্ট কার্ডের ফটোকপি।
২. পাসপোর্ট সাইজের দুই কপি ছবি।
৩. যিনি নমিনীযর থাকবেন তার এক কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি প্রয়োজন হবে।
৪. নমিনীর জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি অথবা জন্ম নিবন্ধন এর ফটোকপি।
প্রথম খরচ সর্বনিম্ন কত টাকা?
এই কার্ডটি আপনাকে নিতে প্রথমে ১০০০ টাকা ডিপোজিট করতে হবে। আপনি এই কার্ডের ১০০০ টাকা ডিপোজিটের যেকোনো সময় তুলে নিতে পারবেন। শুধুমাত্র আপনার কার্ডটি একটিভ করার জন্য আপনাকে প্রথমে ১০০০ টাকা ডিপোজিট করতে হবে। এই টাকা যখন আপনি এটিএম থেকে তুলে নিবেন তখন আপনাকে কোন ভ্যাট দিতে হবে না।
ইসলামী ব্যাংকের ডুয়েল কারেন্সি প্রিপেইড কার্ড দিয়ে কি কি কাজ করতে পারবেন?
- এই কার্ডটি দিয়ে আপনি ফেসবুক, ইউটিউব সহ সকল সোশ্যাল মিডিয়ায় বুস্ট বা যে কোন কাজে ব্যবহার করতে পারবেন।
- দেশি-বিদেশী ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম যেমন দারাজ, অ্যামাজন, আলি এক্সপ্রেস ব্যবহার করা যাবে।
- এছাড়া এর মাধ্যমে গ্রাহকরা দেশি-বিদেশি সিএনজি স্টেশন, হাসপাতাল, কনফারেন্স হল, কমিউনিটি সেন্টার, চিকিৎসা ইত্যাদি বিল প্রদান করতে পারবেন।
- গুগল প্লে স্টোর থেকে অ্যাপ্লিকেশন করে করা বা গুগলের প্লে স্টোরে সার্চ কনসোল আইডি এর সকল কাজ করতে পারবেন এই কার্ডটি দ্বারা।
- এই কার্ডটি ব্যবহার করার ফলে আপনাকে কোন ভ্যাট দিতে হবে না। অন্যান্য কার্ডটি ব্যবহার করলে ১% ভ্যাট দিতে হয়। কিন্তু আপনি এই কার্ডটি সম্পূর্ণ ফ্রিতে ট্রাকসেশন করতে পারবেন।
কিভাবে কার্ডে ডলার অনুমোদন করবেন?
বাংলাদেশে বর্তমান সময়ে ডলারের সংকট রয়েছে সকল ব্যাংকে। কিছু কিছু ব্যাংকে ডলারের সংকট রয়েছে আবার কিছু ব্যাংকে ডলারের কোন ঘাটতি নাই। তাই আপনি যদি ইসলামী ব্যাংকের ডুয়েল কারেন্সি প্রিপেড কার্ডে ডলার অনুমোদন করতে চান তাহলে আপনাকে ইসলামী ব্যাংকের ব্রাঞ্চ থেকে অথবা ইসলামী ব্যাংকের হেল্পলাইন থেকে আপনাকে ডলারের অনুমতি নিতে হবে। এতে করে আপনার প্রায় ৭-১৫ দিনের মতন সময় লাগতে পারে আপনার কার্ডটি একটিভ হতে। এরপরই কিন্তু আপনি এই কার্ডটি ব্যবহার করতে পারবেন। এই কার্ডটি দিয়ে বাংলাদেশ থেকে যেকোনো মার্কেট প্লেসে জন্য কাজ করতে পারবেন।
এটিএম থেকে ফান্ড ট্রান্সফার ফি?
( অন্যান্য নেটওয়ার্ক/ অন্য ব্যাংকের এটিএম বুথ) ভিসা/ এন পি এস বি / মাস্টার কার্ড/ অন্যান্য সার্ভিস প্রোভাইডারের সাথে চুক্তি অনুযায়ী প্রযোজ্য হবে।
সাধারণত ফান্ড ট্রান্সফার ফি আইবিবিএল একাউন্টে ট্রাকজেশন অ্যামাউন্টের ০.০২৫% ও সর্বনিম ৫ টাকা। এন পি এস বি একাউন্টে ট্যাক্সেশন অ্যামাউন্ট এর ০.০২৫% ও সর্বনিম্ন ১০ টাকা এবং ভিসা প্রতি ট্রানজেকশন এর ক্ষেত্রে ৩০ টাকা হয়ে থাকে।
কার্ডের ব্যালেন্স চেক?
আইবিবিএল ভিসা প্রিপেইড কার্ডের বৎসরিক কোনো অতিরিক্ত চার্জ নেই। এই কার্ড সেলফিনে নেই এড করা যায় না। ইসলামী ব্যাংকের এটিএম থেকে এই কার্ডের ব্যালেন্স ফ্রি দেখা যায়। অন্য ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে এই কার্ডের ব্যালেন্স দেখতে ৫ টাকা চার্জ কাটা হয়।
বিদেশ থেকে কার্ডের ব্যালেন্স চেক করতে হলে আপনাকে 0.50$ করে চার্জ কাটবে।
কার্ডের মেয়াদ?
ইসলামী ব্যাংকের ডুয়েল কারেন্সি প্রিপেইড কার্ডের মেয়াদ ৩ বছর। এবং ৩ বছর পরে এই কার্ডটি আপনাকে রিপ্লেস করতে হবে। এই কার্ডটি ইসলামী ব্যাংক থেকে রিপ্লেস করতে আপনাকে ২৩০ টাকার মতো খরচ করতে হবে। রিপ্লেস করতে ২০০ টাকা নেওয়া হয় এবং বাকি ৩০ টাকা হল 15% ভ্যাট কাটা হয়।
- বিকাশ একাউন্ট কার NID দিয়ে খোলা চেক করুন ২ মিনিটে
- নগদে সেন্ড মানি হয় না কেন – নগদ লিমিট সমস্যা সমাধান
কার্ডের পিন ভুলে গেলে?
আপনি যদি কার্ডের পিন নাম্বার ভুলে যান তাহলে আপনাকে পিন নাম্বার রিপ্লেস করার জন্য ৫০ টাকার মতো খরচ করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনি ইসলামী ব্যাংকের হেল্পলাইন থেকে পিন নাম্বারটি সংগ্রহ করতে পারবেন।
ইসলামী ব্যাংকের ডুয়েল কারেন্সি প্রিপেইড কার্ড নিতে হলে ব্যাংকের শাখা উপ-শাখা অথবা ব্রাঞ্চ থেকে নিতে হবে। আপনি কোন এজেন্ট পয়েন্ট থেকে এই কার্ডটি কালেক্ট করতে পারবেন না।
সর্বশেষে:
এই ধরনের সকল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট এর সকল টিপস পেতে আমাদের গুগল নিউজ ফলো করে রাখুন।